টেস্ট কিংবা ওয়ানডে বা টি–টোয়েন্টি। যে ফরম্যাটেই হোকনা কেন হারের পর একটা অজুহাত দাঁড় করায় বাংলাদেশ দল। এবারেও ভারতের বিপক্ষে হারের পরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এবারেও হারের জন্য ব্যাটিং ব্যর্থতাকেই দায়ী করলেন টাইগার অধিনায়ক। অথচ পাকিস্তানকে তাদের ঘরের মাঠে ধবলধোলাই করে ভারতে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু সেখানে গিয়ে মুদ্রার উল্টোপিঠ দেখলো তারা। রোহিত–কোহলিদের কাছে বেশ শোচনীয়ভাবে হারলো শান্তবাহিনী। পেতে হলো ধবলধোলাইয়ের লজ্জাও। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ দুই টেস্টের সিরিজের প্রথমটিতে বাংলাদেশ হারে ২৮০ রানে। এরপর কানপুরে আড়াই দিন বৃষ্টি ভেসে যাওয়ায় ম্যাচ ড্র হওয়ার সম্ভাবনা জাগে। কিন্তু ভারত রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশকে। ‘বাজবল‘ ক্রিকেট খেলে আড়াই দিনেরও কম সময়ে ৭ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে ভারত। দলের এমন খারাপ ফলাফলের পেছনে ব্যাটিং ব্যর্থতাকে দুষলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘দুই টেস্টেই আমাদের ব্যাটিং ভালো হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের আরও ভালো ব্যাটিং করতে হবে। আমরা ৩০–৪০ বল খেলে আউট হয়ে গিয়েছি। টেস্ট ম্যাচে বড় রান করতে হবে। এটাই গুরুত্বপূর্ণ। অশ্বিন ও জাদেজা চেন্নাই টেস্টে যেভাবে ব্যাট করেছিল। ওই জুটিটাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। কানপুর টেস্টের চতুর্থ দিনে ঝড়ের গতিতে রান তুলে শেষ সেশনে ৫২ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করেছিল ভারত। টি–টোয়েন্টি সুলভ ব্যাটিং করেছে তারা। মাত্র ৩৪.৪ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৮৫ রান তুলে বাংলাদেশকে ফের ব্যাটিংয়ে পাঠায় ভারত। ভারতীয় ওপেনার যশস্বী জয়সোয়াল ৫১ বলে করেন ৭২ রান। এছাড়া লোকেশ রাহুল ৪৩ বলে ৬৮ রান ও কোহলি ৩৫ বলে ৪৭ রান করেন। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে দুই পেসার হাসান মাহমুদ ও খালেদ আহমেদ রান খরচ করেছেন ওভারপিছু ১০ এর বেশি করে। স্পিনাররাও রান খরচ করেছেন ওয়ানডের গতিতে। শেষদিকে সাকিব ও মিরাজ ৪টি করে উইকেট নিলে ভারতের লিড বড় হয়নি। শান্ত বলেন বোলিং ইউনিট হিসেবে কিভাবে সেই উইকেটগুলো নিতে পারি সেটা দেখতে হবে। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে মাত্র ২৩৩ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ। এর মধ্যে একাই সেঞ্চুরি করেন মোমিনুল হক। ব্যাটিং ধসের মধ্যেই তার এমন অনবদ্য ব্যাটিংয়ে দুইশ পার করে বাংলাদেশ। ১৫ মাস পর পাওয়া মুমিনুলের টেস্ট সেঞ্চুরির প্রশংসায় শান্ত বলেন এই টেস্টে মোমিনুল যেভাবে ব্যাটিং করেছেন তা দলকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। কিন্তু বাকিরা তাকে অনুসরন করতে পারিনি। টেস্ট ক্রিকেটে কোন মেজাজে ব্যাটিং করতে হয় সেটা মোমনিুল দেখিয়েছেন। কিন্তু আমরা সে পথে হাটতে পারিনি। যা হারের অন্যতম কারন। বোলিংয়ে মিরাজ দুই ইনিংসেই ৬ উইকেট নিয়ে ভালো বোলিং করেছেন।