বাংলাদেশ দল টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটটা সেভাবে পারে না। এই অভিযোগটা অনেক পুরানো। তবে ইদানীং কালেও এই প্রবাদের সত্যতা পাওয়া যাচ্ছে। ভারত সফরের টি–টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ শেষেই সেই সত্যটা স্বীকার করে নিয়েছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি বলেছিলেন, দলের ব্যাটাররা জানে না কিভাবে ১৮০ রান করতে হয়। দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টিতে সেই বাংলাদেশের সামনেই ভারত ছুড়ে দেয় ২২২ রানের বিশাল লক্ষ্য। আর বাংলাদেশ সেই আগের মত টেনেটুনে ১৩৫। বলা যায় দ্বিতীয় ম্যাচে এক ইনিংস যেতেই আসলে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। ৮৬ রানে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিনিধি হয়ে এসে পেসার তাসকিন আহমেদ বলেন বড় রান হওয়াতেই আমরা আগেই হেরে গিয়েছি। আসলে আমাদের এতরান করার যেমন অভিজ্ঞতা নেই তেমনি এতরান তাড়া করারতো প্রশ্নই আসেনা।
দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে বোলিং বেছে নিয়েছিল বাংলাদেশ অধিনায়ক। প্রশ্ন উঠেছে এই বোলিং নেওয়া কি ভুল ছিল? তাসকিন অবশ্য তা মনে করেন না। পাওয়ার প্লেতে ভারতের রান ছিল ৩ উইকেটে মাত্র ৪৫। সেটি মনে করিয়ে তাসকিন বলেন দেখুন, পাওয়ারপ্লেতে আমরা ভালো করেছি। কিন্তু এরপর আমরা ম্যাচের লাগাম ধরে রাখতে পারিনি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে স্পিনারদের খারাপ দিন গিয়েছে এদিন। যেহেতু মাঠে শিশির ছিল সে কারণে বোলারদের বল গ্রিপ করতে সমস্যা হচ্ছিল। এটাতো সত্যি যে বড় রান হওয়ায় হেরে গিয়েছি আমরা । ভারতকে ১৮০ থেকে ১৯০–এর মধ্যে রাখা গেলেও রান তাড়া সম্ভব ছিল। কিন্তু দুইশ পার হয়ে গেলে সেটা টপকানো কঠিনই শুধু নয় আমাদের জন্য অসম্ভব একটি কাজ।
দিল্লির উইকেট নিয়ে তাসকিন বলেন আমরা জানতাম, দিল্লির উইকেটে অনেক রান হবে। কিন্তু আমরা ভালো ব্যাটিং করিনি। শুধু দিল্লি নয়, দুটি ম্যাচেই উইকেট ভালো ছিল। আমরাই ভালো খেলিনি। আমরা পারিনি টি–টোয়েন্টির সাথে তাল মিলিয়ে ব্যাটিং করতে। ক্রিকেটের এই সংস্করনে যেভাবে শুরু করতে হয় আমরা সেটা পারিনি দুই ম্যাচেই। বিশেষ করে দ্বিতীয় ম্যাচে বোলাররা দারুনভাবে শুরু করেছিল। কিন্তু সময় গড়ানোর সাথে সেটা আর ধরে রাখতে পারিনি। বিশেষ করে আমাদের স্পিনাররা ভাল বল করতে পারেনি। যে চাপটা আমরা শুরুতেই দিয়েছিলাম তাদের তারা সেখান থেকে ঠিকই বেরিয়ে চলে এসেছে। বিশেষ করে নিশিথ কুমার এবং রিংকু সিং যেভাবে ব্যাট করেছে তা একেবারেই টি–টোয়েন্টির চাহিদা পুরনের মত। যেটা আমরা পারিনি। আমাদের ব্যাটাররাতো দুই ম্যাচেই ভাল করতে পারেনি। অথচ এই উইকেটে অনেক রান করার সুযোগ ছিল। তাসকিনদের সামনে এখন হোয়াইট ওয়াশের শংকা। এখন সে শংকা কাটাতে পারে কিনা সেটাই দেখার অপেক্ষা।