হাটহাজারীতে সরকারি স্থাপনায় তাণ্ডবের ঘটনায় নগরীর লালখান বাজার থেকে গ্রেপ্তার হওয়া হেফাজত ইসলামের নেতা মুফতি হারুন ইজহারকে আরও দুদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। গতকাল মঙ্গলবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কৌশিক আহমেদ খন্দকার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে হাটহাজারী থানার একটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করে পুলিশ। আদালতের পেশকার মো. আতিক আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পেশকার মো. আতিক বলেন, এর আগে হাটহাজারী থানার তিনটি মামলায় ৯ দিনের রিমান্ডে ছিলেন হারুন ইজহার। রিমান্ড শেষ হলে পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করেন এবং পুনরায় একটি মামলায় রিমান্ড আবেদন করেন। এর আগে গত ২৮ এপ্রিল গভীর রাতে লালখান বাজার মাদ্রাসা থেকে হারুন ইজহারকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৭। হাটহাজারীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় গত ২৫ ও ২৬ মার্চ হেফাজাতে ইসলামের তাণ্ডবের ঘটনায় দায়ের করা তিনটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে আদালতে উপস্থাপন করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
হারুন ইজহার হেফাজতে ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন। জঙ্গি সংঘটনের সাথে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার পিতা মুফতি ইজহার ২০ দলীয় জোটভুক্ত ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের সভাপতি ও হেফাজতের বিলুপ্ত কমিটির নায়েবে আমির। ২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর মুফতি ইজহার পরিচালিত নগরীর লালখান বাজার মাদ্রাসায় গ্রেনেড বিস্ফোরণের ঘটনায় কমপক্ষে পাঁচজন আহত হন। তাদের মধ্যে দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সে সময় পুলিশ ওই মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে চারটি তাজা গ্রেনেড এবং ১৮ বোতল এসিড উদ্ধার করেছিল। ওই ঘটনায় তিনি গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন। জানা যায়, হারুন ইজহার লালখান বাজারের ওই মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক এবং তার বাবা মুফতি ইজহার পরিচালক।