মীরসরাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে প্রাকৃতিকভাবে তুলা আহরণের একমাত্র অবলম্বন অর্থকরি শিমুল গাছ। বিগত এক-দেড় যুগ আগেও উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের অধিকাংশ বাড়ির আনাচে-কানাচে আর রান্তার ঢালে প্রচুর শিমুল গাছ দেখা যেত। বিশেষ করে মাঘ ফাল্গুন মাসে শিমুল গাছে লাল কিংবা গোলাপী রংয়ের নয়নাভিরাম ফুলই জানান দিত কোন এলাকায় শিমুল গাছ আছে। বলা যায়, কালের আবর্তে হারিয়ে যাচ্ছে শিমুল গাছ। রক্তচূড়া গাছকে যদি ফুলের মধ্যে গণ্য করা হয়, তাহলে শিমুল গাছকেও তার সাথে তালিকাভূক্ত করতে হবে বৈকি! দিনদিন এই গাছটি হারিয়ে গেলেও সরকারিভাবে এর রোপণের জন্য কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না।
এক সময় বসত বাড়ি ছাড়াও মীরসরাই উপজেলার বিভিন্ন সড়কের পাশে, পাহাড়ি এলাকায় প্রচুর শিমুল গাছ চোখে পড়তো। শিমুল গাছ প্রাকৃতিকভাবেই বেড়ে উঠে। পরিত্যক্ত ভূমিতে অনাদরে বেড়ে উঠা শিমুল গাছে ২/৩ বছরের মধ্যেই ফুল ও ফল ধরে। কিন্তু কেউই শিমুল গাছ বাণিজ্যিকভাবে রোপণ করেনা। দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে শিমুল গাছ। এতে এক দিকে মানুষ তাদের লেপ, তোষক আর বালিশ তৈরির প্রধান উপকরণ মানসম্মত তুলা পাচ্ছে না। তুলার জন্য গার্মেন্টের ঝুটের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে সবাই। অপরদিকে শিমুল গাছ বিলুপ্তির জন্য প্রকৃতিও হারাচ্ছে তার ভারসাম্য। এই গাছ বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষার জন্য এখনই উদ্যোগ নেওয়া দরকার।
এ বিষয়ে মীরসরাইয়ের কৃষি সুপারভাইজার নুরুল আলম বলেন, শিমুল গাছ একটি ওষুধ ও প্রকৃতিবান্ধব গাছ। তাই বিশেষ করে সড়কের পাশে লাগানোর জন্য উদ্বুদ্ধ করা হবে।