শৈশবের কথা মনে হলে মানসপটে ভেসে উঠে হাজারো মধুর স্মৃতি। মনে পড়ে শৈশবের সঙ্গীদের সাথে নিয়ে সে দুরন্তপনা খেলাধুলার কথা, লাটিম, ডাংগুলি, মারবেল, গুলতি, কানামাছি, লুকোচুরি, ঘুড়ি উড়ানো, বলখেলা ইত্যাদি। শৈশবে আমরা ঘুমিয়ে যেতাম তাড়াতাড়ি, সকালে সূর্য্য উদয়ের আগেই ঘুম থেকে জেগে উঠতাম, শীতের সকালে খড়কুটো দিয়ে আগুন পোহাতাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে মক্তবে গিয়ে সুর করে বড় বড় করে আরবি পড়া, মক্তব থেকে এসে স্কুলে যাওয়া স্কুলে ছুটির ঘণ্টা বাজার সাথে সাথে প্রতিযোগিতায় লেগে যেতাম কার আগে কে বের হবো। দুপুরে আশপাশের সকলে এক হয়ে আম, বরই(কুল) গাছে ঢিল মেরে আম বরই পেড়ে খাওয়া অতঃপর পুকুরে ঝাঁপাঝাপি সাঁতার কাটা বড়দের তাড়া খেয়ে ঘরে দৌড়ানো, মাঝে মাঝে আয়োজন হতো চুড়ুইভাতি। মনে পড়ে বিকেলে খড় কাপড় দিয়ে বানানো বল দিয়ে ফুটবল খেলার কথা, সন্ধ্যায় ঘরের দরজায় গলা ছেড়ে দরুদ শরীফ পড়া অতঃপর হারিকেনের মিট মিট আলোতে উচ্চৈস্বরে ছড়া পড়া। রাতে চাঁদের জ্যোৎস্নায় বাড়ির উঠোনে খেলতাম হরেক রকম খেলা। আমাদের শৈশবের সে দুরন্তপনা খেলাধুলা দৌড়াদৌড়ি ছিল শারীরিক মাসিক বিকাশের জন্য সহায়ক। আমাদের শৈশব ছিল গ্রামীণ আবহে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মোড়ানো, আজ হারিয়ে গেছে আমাদের সে শৈশব।