চেক জালিয়াতি মামলায় কারাগারে গেলেন সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ বাবুল মিয়া। তার বিরুদ্ধে অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের স্বাক্ষর ও সিল জাল করার অভিযোগে মো. মহিউদ্দিন নামে এক ব্যক্তির মামলায় আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গ্রেপ্তার বাবুল মিয়া সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাদশা মিয়ার ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২২ এপ্রিল বাদী মহিউদ্দিনের ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের একটি চেক (নম্বর–ঊ–১৪৮৫৯৬০) উপজেলার কদমরসুল এলাকায় হারিয়ে যায়। ওই চেকটি অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া না যাওয়ায় ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে বাদীর হারানো চেক আসামি ইউপি সদস্য বাবুল মিয়া পান। কিন্তু তিনি ওই চেকের মধ্যে এম এম ট্রেডিং নামে জাল সিল বানিয়ে বাদীর স্বাক্ষর জাল করে চেকের ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা নিজের নগরীর আগ্রাবাদ শাখার মেঘনা ব্যাংকে জমা দেন। কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তা ডিজঅনার করেন। চেকটি স্বাক্ষর ডিফার ও মিসিং মন্তব্যে ফেরত আসা সত্ত্বেও প্রতারণার আশ্রয়ে টাকা দাবি করেন এবং বাদীপক্ষকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেন তিনি। পরে বাদী মহিউদ্দিন আহম্মদ ২০২৩ সালের ২৩ মে আদালতে আসামি বাবলু মিয়ার বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির মামলা দায়ের করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আসামির বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআই চট্টগ্রাম জেলাকে নির্দেশ দেন। পিবিআই গত ২০ নভেম্বর ২০২৩ চেক জালিয়াতির ঘটনা সত্য মর্মে রিপোর্ট দাখিল করেন। আদালত পিবিআই রিপোর্ট পর্যালোচনা করে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করে।
আসামি ইউপি সদস্য বাবুল মিয়া গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট–২ এর বিচারক আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান।