হারিছ চৌধুরীর পরিচয় নিশ্চিতে তোলা হল লাশ

মাহমুদুর রহমান নামে দাফন

| বৃহস্পতিবার , ১৭ অক্টোবর, ২০২৪ at ৮:১৬ পূর্বাহ্ণ

উচ্চ আদালতের আদেশে বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএন পরীক্ষার জন্য মাহমুদুর রহমান নামে দাফন করা লাশ কবর থেকে তোলা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে সাভার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট এস এম রাসেল ইসলাম নূরের উপস্থিতিতে উপজেলার বিরুলিয়া ইউনিয়নের কমলাপুর জালালাবাদ এলাকার জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন মাদরাসা কবরস্থান থেকে মরদেহটি তোলা হয়। হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামিরা তানজিম চৌধুরীর করা একটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুবউল ইসলামের বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাসেল ইসলাম নূর বলেন, হারিছ চৌধুরীর কবর থেকে তার দেহাবশেষ উত্তোলনের জন্য আদলত তাকে ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে নিয়োগ করেছেন। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মাহমুদুর রহমান নামে দাফন করা একটি কবর থেকে দেহাবশেষ সংগ্রহ করা হয়েছে। এরপর ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। তিনি বলেন, আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে আদালতের নির্দেশনা পালন করেছি। খবর বিডিনিউজের।

বিএনপিজামায়াত সরকারের সময় হারিছ চৌধুরী ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব। ওয়ানইলাভেনে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলে আর প্রকাশ্যে ছিলেন না তিনি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হারিচ চৌধুরী ৬৮ বছর বয়সে ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান। তারপর ঢাকার অদূরে সাভারে একটি মাদরাসায় মাহমুদুর রহমান নামে তাকে দাফন করা হয়। তখন আবার হঠাৎ করেই আলোচনায় আসে হারিছ চৌধুরীর নাম।

ছাত্রজনতার প্রবল আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর চলতি বছরের ৫ সেপ্টেম্বর বাবার পরিচয় শনাক্তে মেয়ে সামিরা তানজিম চৌধুরী হাই কোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। আদালত লাশ উত্তোলন করে ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি দেয়। সহকারী কমিশনার রাসেল জানান, মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশনায় বলা হয়েছেহারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামিরা তানজিম সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন দায়ের করেন। পিটিশনে তার বাবা হারিছ চৌধুরীকে কমলাপুর জালালাবাদ এলাকায় অবস্থিত জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন মাদরাসার কবরস্থানে মাহমুদুর রহমান নামে দাফন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। ফলে হারিছ চৌধুরীর দেহাবশেষ কবর থেকে উত্তোলন করে তার পরিচয় প্রমাণের জন্য ডিএনএ পরীক্ষা, মৃত্যু সনদ, ইন্টারপোলের রেড নোটিশ থেকে নাম মুছে ফেলা এবং নিজ জেলায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যথাযথ সম্মানের সঙ্গে দাফন করার জন্য আবেদন করেন তার মেয়ে। লাশ উত্তোলনের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামিরা তানজিন চৌধুরী বলেন, ১৫ বছর ধরে আমার বাবার বিরুদ্ধে যা ইচ্ছা তাই লেখা হয়েছে। এখানে যাকে প্রফেসর মাহমুদুর রহমান নামে দাফন করা হয়েছিল তিনিই হারিছ চৌধুরী। বিগত স্বৈরাচার সরকার তাকে গ্রামে নিয়ে দাফন করতে দেয়নি। বাধ্য হয়ে করোনাভাইরাসের সময় সাভারের এই মাদরাসায় বাবাকে কবর দেওয়া হয়। পরবর্তীতে বাবার মৃত্যু সনদ চেয়ে আবেদন করা হলেও স্বৈরাচার সরকার আমাদের কথা শুনেনি। আপনারা এবার সত্যটা তুলে ধরুন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনবম ও দশম শ্রেণিতে ফের বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা চালু হচ্ছে
পরবর্তী নিবন্ধপতিত স্বৈরাচারের দোসর মুক্ত ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা করতে চায় ছাত্রদল