
গত নির্বাচনের মতো ফল আঁচ করে এবারের নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার বিএনপি আগেভাগেই নেমেছে বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এই লক্ষ্যে দলটি সরকারের উপর আন্তর্জাতিক চাপ আনতে লবিস্ট নিয়োগ দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। গতকাল সোমবার আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে সাংবাদিকদের সামনে আসেন কাদের।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘খুবই চ্যালেঞ্জিং’ হবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখানে জাতীয় সংকট বিশ্ব সংকটের সঙ্গে একাকার হয়ে গেছে। অর্থনৈতিক সংকট রাজনৈতিক সংকটের সঙ্গে একাকার হয়ে গেছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে এখানে আমাদের দেশে একটা পোলারাইজেশন হচ্ছে এবং একটা ডিভাইসিভ অ্যাটিচিউড গড়ে উঠছে। এখানে পরস্পরবিরোধী মতের প্রদর্শন হচ্ছে। আমরা আশা করব, দেশে শান্তিপূর্ণভাবে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে পারব। খবর বিডিনিউজের।
বিএনপির নেতৃত্বে একটি মহল এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় অভিযোগ করে তিনি বলেন, তারা নিজেরা ব্যর্থ হয়ে এখন বিদেশি শক্তিকে কাজে লাগাতে চায়। বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচার তারা করছে।
শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে বিএনপির এই নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয় আছে মন্তব্য করে কাদের বলেন, তারা (বিএনপি) বোঝে শেখ হাসিনার যে জনপ্রিয়তা, এই অবস্থায় নির্বাচন হলে তারা নির্বাচনে করতে পারবে না। কাজেই এই নির্বাচনটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা, এই নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করা, এটা হল এখন তাদের কাজ। এই কাজ করতে গিয়ে তারা বিদেশিদের কাছে নালিশ করছে। এখন পরিষ্কারভাবে যেটা দেখতে পাচ্ছি, তারা লবিস্ট নিয়োগ করেছে। আমেরিকা, ইউরোপে তারা লবিস্ট নিয়োগ করেছে। সর্বশেষ যে খবর পেয়েছি, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের অপপ্রচারের সঙ্গে তাদের অপপ্রচার একাকার হয়ে গেছে। বাংলাদেশে যে বিষয়টি বাইরে অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে দেখা হয়, সেটা হচ্ছে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনী। আমাদের সেনাবাহিনী দেশে দেশে শান্তিরক্ষায় নিয়োজিত, তাদের সেই মিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে বলেন তিনি। বিএনপির ‘অগ্নিসন্ত্রাস’ প্রতিহত করতে আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীদের ‘শান্তি কর্মসূচি’ নিয়ে রাজপথে থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।