হারবেন জেনেও তারা প্রার্থী

| বুধবার , ১৪ অক্টোবর, ২০২০ at ৫:৩৭ পূর্বাহ্ণ

আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হচ্ছে গত ২৩০ বছর ধরে । কিন্তু রিপাবলিকান বা ডেমোক্র্যাটিক – এই দুই পার্টির বাইরের কেউ কি কখনো প্রেসিডেন্ট হয়েছেন? হ্যাঁ, হয়েছেন, মাত্র একবার। তিনি হলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন। তিনি ছিলেন একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
মার্কিন রাজনীতির এই দুই স্তম্ভ রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এমনভাবে মিডিয়ায় নির্বাচনী প্রচারে আধিপত্য করে, এবং প্রচারণার জন্য চাঁদা তোলার ক্ষেত্রেও তারা এমনভাবে এগিয়ে আছে যে এই দুই পার্টির বাইরের কারো জেতার সম্ভাবনা প্রায় শূন্য। কিন্তু এই প্রায়-অনতিক্রম্য বাধার কথা জেনেও কেউ কেউ কিন্তু ভাবেন – যাই ঘটুক, আমি নির্বাচন করবোই। বিবিসি কথা বলেছে এমন তিন জনের সাথে। এদের একজন পিয়ানোবাদক এবং বক্তা। আরেকজন আমেরিকান আদিবাসী এবং তথ্য প্রযুক্তিবিদ। শেষ জন শত কোটি টাকার ক্রিপটোকারেন্সির মালিক – সোজা কথায় বিলিওনিয়ার।
পেশাদার পিয়ানোবাদক জেড সিমন্স একজন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী নারী। তিনি একজন সাবেক বিউটি কুইন। তিনি নিজেই বলছেন, তিনি একজন ব্যতিক্রমী প্রার্থী – কিন্তু এখন সময়টাই ব্যতিক্রমী। তবে তার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল – তিনি যে প্রতিযোগিতায় আছেন তা মানুষকে জানানো। তিনি স্বীকার করেন যে তার জয়ের সম্ভাবনা খুবই কম কিন্তু তিনি মনে করেন এ বছর না হলেও পরবর্তীতে কোন এক সময় তিনি হোয়াইট হাউসে যেতে পারবেন।
.এদিকে ব্রক পিয়ার্স শিশু বয়সে অভিনেতা হিসেবে নাম করেছিলেন। ১৯৯৬ সালে ফার্স্ট কিড নামে একটি কমেডিতে তিনি প্রেসিডেন্টের পুত্র হিসেবে অভিনয় করেছিলেন। পরে তিনি টেক উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন এবং এখন তাকে একজন ক্রিপটোকারেন্সি বিলিওনিয়ার বলা যায়। কিন্তু তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন কেন? তার জবাব- দেশের অবস্থা নিয়ে তিনি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, তাই। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, পিয়ার্স প্রচারাভিযানের জন্য ৩৭ লক্ষ ডলার খরচ করেছেন। তার কথায়, তিনি সরাসরি নির্বাচনে জেতার কৌশল নেননি। তিনি চান একটি মাত্র রাজ্যে জিততে। এবার নভেম্বরে তার বয়স হবে ৪০। তাই তার হাতে সময় আছে, এবং এইভাবে তিনি ভবিষ্যতে শুধু তার জন্য নয় – যে কোন স্বতন্ত্র প্রার্থীর জন্যই মাঠ তৈরি করে রাখতে চান। আরেক প্রার্থী মার্ক চার্লস আদিবাসী এবং অশ্বেতাঙ্গ আমেরিকানদের জীবনে প্রভাব ফেলে এমন ইস্যুতে সামাজিক আন্দোলনের নিষ্ঠাবান কর্মী। তিনি বলছেন, তিনি সবাইকে নিয়ে এক আধুনিক আমেরিকা গড়ে তুলতে চান – যা অসাম্যকে প্রত্যাখ্যান করবে।- বিবিসি বাংলা

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রধানমন্ত্রীত্বের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিলেন আনোয়ার ইব্রাহিম
পরবর্তী নিবন্ধখুব শক্তিশালী বোধ করছি