হামাস ফুরিয়ে যায়নি, আল-শিফায় নতুন অভিযান তারই ইঙ্গিত

| শনিবার , ২৩ মার্চ, ২০২৪ at ৫:০২ পূর্বাহ্ণ

গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আলশিফায় হামাসের কমান্ড এবং নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র রয়েছে, এমন দাবিতে চার মাস আগে সেখানে হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এখন আবারো বলা হচ্ছে হামাস সেখানে ফিরে এসেছে। ইসরায়েলি বাহিনী বলছে, তাদের কাছে ‘সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্য’ রয়েছে, হামাস যোদ্ধারা সেখানে পুনরায় সংগঠিত হয়েছেন। নতুন করে ভয়াবহ যুদ্ধের মাঝখানে পড়ে যাওয়ার শঙ্কায় আছেন ফিলিস্তিনিরা। এতে তীব্র মানবিক সংকটের বিষয়টি যেমন টের পাওয়া যায়, এটিও স্পষ্ট হয়, হামাস এখনো ফুরিয়ে যায়নি। খবর বাংলানিউজের।

কোনো কোনো বিশ্লেষকের মতে, এ থেকে বোঝা যায়, সশস্ত্র গোষ্ঠীটিকে মোকাবিলা করার জন্য কতটা বিস্তৃত কৌশল অবলম্বন করা প্রয়োজন। গাজায় যুদ্ধপরবর্তী শাসনব্যবস্থা নিয়ে সুস্পষ্ট পরিকল্পনাও জরুরি বলে মত তাদের। ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) দাবি, তারা আলশিফায় চলমান লড়াইয়ে ‘১৪০ জনেরও বেশি সন্ত্রাসীকে (যোদ্ধা)’ হত্যা করেছে, গ্রেপ্তার করেছে প্রায় ৬০০ জনকে। যার মধ্যে হামাসের শীর্ষ পর্যায়ের অনেক কমান্ডার রয়েছেন। ইসলামিক জিহাদের কয়েকজনও আছেন তাদের সঙ্গে। দুই ইসরায়েলি সেনা নিহত হওয়ার কথাও জানিয়েছে আইডিএফ। ইসরায়েলি প্রতিবেদনে বলা হয়, সমপ্রতি হামাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আলশিফায় পুনরায় কার্যক্রম শুরু করেছেন। কেউ কেউ তাদের পরিবারকেও হাসপাতালটিতে নিয়ে গেছেন। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্রের ভাণ্ডার এবং বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ উদ্ধারের তথ্য জানিয়েছে আইডিএফ। তবে হামাস এসবই অস্বীকার করেছে। তারা বলছে, তাদের যোদ্ধারা সেখানে অবস্থান করছেন না। হাসপাতালে থাকা আহত রোগী এবং বাস্তুচ্যুত লোকেরাই হামলায় নিহত হয়েছেন।

ফিলিস্তিনি প্রত্যক্ষদর্শীরা বিবিসিকে বলেন, বন্দুকযুদ্ধ এবং ইসরায়েলি বিমান হামলায় রোগী, চিকিৎসক এবং সেখানে আশ্রিত শত শত লোকের জীবন বিপন্ন। বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে যোগাযোগব্যবস্থা খুবই সীমিত করে আনা হয়েছে। এতে ঘটনাস্থলে অবস্থানরত চিকিত্‌সক ও অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ দুরূহ হয়ে পড়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইফতারে জুস পান করায় বাংলাদেশিকে হত্যা করলেন পাকিস্তানি
পরবর্তী নিবন্ধইউক্রেনের শীঘ্রই ‘পতন’ হতে পারে: ম্যাক্রোঁ