হামলার প্রতিবাদে আজ সব বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভের ডাক

| মঙ্গলবার , ১৬ জুলাই, ২০২৪ at ৭:১৭ পূর্বাহ্ণ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দফায় দফায় সংঘর্ষ, মারামারি ও ছাত্রলীগের হামলার পর প্রতিবাদ কর্মসূচি হিসেবে দেশজুড়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা। আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টায় দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীরা এ কর্মসূচি পালন করবে। কোটা সংস্কারের এক দফা দাবি আদায়ের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার এবং হামলাকারীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবিও জানিয়েছে তারা।

গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় পুলিশের নিরাপত্তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল সংলগ্ন সড়কে সংবাদ সম্মেলন করে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। খবর বিডিনিউজের।

তিনি বলেন, আজকের হামলা, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার ও কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে আগামীকাল (আজ) সারা দেশে সকল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান থাকবে, এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করে বড় ধরনের গণজমায়েত তৈরি করুন এবং বৃহত্তর গণ আন্দোলনের দিকে আমাদের যেতে হবে। এই আন্দোলন আর শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নাই। এই আন্দোলন যখন সরকারের পক্ষ থেকে পরিকল্পনা করে, উস্কানি দিয়ে দমন করার চেষ্টা করা হয়েছে, সকল মানুষকে এই আন্দোলনে নেমে আসতে হবে। আগামীকাল আমরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করব। এরপর আমরা সারা দেশে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করব।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অংশে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে নাহিদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে আজকে একটি মর্মান্তিক দিন। আজকে পরিকল্পিতভাবে বহিরাগত ও অছাত্রদের এনে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। আমাদের নারী শিক্ষার্থীরা আহত হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা খবর পেয়েছি, আমাদের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ২০২৫ জনের অবস্থা খুবই ক্রিটিক্যাল। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, আজকে সারা দেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। আমরা মনে করি, এই হামলা পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। আমরা বেশ কয়েকদিন ধরে বলছি, সরকার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন পরিকল্পনা করছে এই আন্দোলনকে সহিংসভাবে দমন করার জন্য। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এভাবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমন করা সম্ভব নয়।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে আন্দোলনের এ সমন্বয়ক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের অবমাননা করে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেই বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে আমাদের আজকের কর্মসূচি ছিল। আমরা এই প্রেস ব্রিফিং থেকে বলছি, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য আমরা প্রত্যাখ্যান করছি এবং নিন্দা জানাই। আমরা আশা করেছিলাম, তিনি দেশে ফিরে কোটা সংস্কারের যৌক্তিক পথ দেখাবেন, তা না করে তিনি আন্দোলনকারীদের রাজাকারের নাতিপুতি বলে ইঙ্গিত করেছেন। এটি নিন্দনীয় এবং এর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে প্রকাশ্যে দুঃখ প্রকাশ করা উচিত। একই সঙ্গে আমরা দেখছি, শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়েও তিনি কটূক্তি করেছেন। আমরা এটিরও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজবাব দিতে ছাত্রলীগই যথেষ্ট : কাদের
পরবর্তী নিবন্ধঅভ্যন্তরীণ নৌ রুটে পণ্য পরিবহনে বিধিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ