হাত ও পায়ের রগ কাটা, হালিশহরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের লাশ

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২১ অক্টোবর, ২০২৫ at ৫:১৮ পূর্বাহ্ণ

নগরীর বন্দর থানাধীন বে টার্মিনাল এলাকা থেকে শামীম মাকসুদ খান জয় (২৬) নামে এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার শরীরে জখমের চিহ্ন মিলেছে। হাত ও দুই পায়ের রগ কাটা অবস্থায় পাওয়া গেছে তাকে। গত রোববার রাতে বন্দর থানাধীন হালিশহরের আনন্দবাজার আউটার রিং রোড সংলগ্ন বে টার্মিনালের প্রস্তাবিত স্থানে সাগরতীরের কাশবনের ভেতর থেকে শামীম মাকসুদ খান জয়ের লাশ পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে কী কারণে, কারা খুন করেছে, তা বলতে পারছে না নিহত শিক্ষার্থীর পরিবার ও পুলিশ।

নিহতের পিতা শহীদুল ইসলাম খান জানান, শামীম আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। দুপুরে তার মুঠোফোনে একটি কল এসেছিল। এরপর চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়েছিল। তবে মুঠোফোন বাসায় রেখে গিয়েছিল।

খবর পেয়ে প্রথমে হালিশহর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। পরে প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর বিষয়টি বন্দর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এই ঘটনায় নিহতের পিতা শহীদুল ইসলাম খান বাদী হয়ে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অপরাধীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানা গেছে।

পুলিশ জানায়, আনন্দবাজার আউটার রিংরোড সংলগ্ন বে টার্মিনালের সাগরতীরে কাশবনের ভেতরে হাত পায়ের রগ কাটা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন শামীম। রাতে স্থানীয় কয়েকজন দেখতে পেয়ে টহলরত পুলিশ সদস্যদের খবর দেন। প্রথমে হালিশহর থানা পুলিশ শামীমকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে খবর পেয়ে দিবাগত রাত দুইটার দিকে পরিবারের লোকজন শামীমের লাশ শনাক্ত করেন।

শামীমের গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলায় হলেও নগরের বন্দর আবাসিকের বড়পোল এলাকায় তার মাবাবাসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বসবাস করতেন বলে পুলিশ জানায়।

বন্দর থানার ওসি আফতাব উদ্দিন আজাদীকে জানান, এ ঘটনায় নিহতের পিতা শহীদুল ইসলাম খান বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি এটা খুনের ঘটনা হতে পারে। ভিকটিমের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। আমরা অপরাধীদের শনাক্তের চেষ্টা করছি। অভিযান চলছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসন্ত্রাসী ছেলের অত্যাচারে বাড়ি ছাড়া বাবা-মা ও ভাইসহ সাত পরিবার
পরবর্তী নিবন্ধওএসডি ৯ সচিবকে পাঠানো হলো অবসরে