হাতে বর্ণমালা, মুখে একুশের গান

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৬:৪২ পূর্বাহ্ণ

“কইছে যাহা আমার দাদায়, কইছে তাহা আমার বাবায়; এহন কও দেহি ভাই, মোর মুখে কি অন্য ভাষা শোভা পায়? ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়”। আর মুখের ভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর দমন-নিপীড়ন উপেক্ষা করে যারা রাজপথে নেমে এসেছিলেন, মৃত্যুকে পায়ের ভৃত্য বানিয়ে বন্দুকের নলের সামনে বুক পেতে দিয়েছিলেন, সেইসব বীরদের শ্রদ্ধা জানাতে চট্টগ্রামের আপামর মানুষের সব পথ মিলেছিল একই গন্তব্য, শহীদ মিনারে।
২১ শে ফেব্রুয়ারি রোববার ভোর থেকে চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অভিমুখে হাজারো মানুষের ঢল নেমেছিল। হাতে বর্ণমালা, মুখে একুশের গান। রক্তের পথ পেরিয়ে পাওয়া বর্ণমালা। দুখিনী বর্ণমালা হয়ে উঠেছে প্রাণের বর্ণমালা। ধারণ করেছে প্রতিবাদের রং; এ তো বাংলা ভাষাকে, মায়ের ভাষাকে বুকের গভীরে ধারণ করার প্রতিজ্ঞা।
অভিভাবকরা নিয়ে এসেছেন শিশুদের। ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গাইতে গাইতে নগ্ন পায়ে হাতে ফুল নিয়ে মানুষ ছুটে গেছে স্মৃতির মিনারে। আবার কারও কন্ঠে স্লোগান। কারও হাতে ব্যানার, কেউ বা নিয়েছিলেন লাল-সবুজের পতাকা-ভাষার জন্য আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে পতাকা পেয়েছে বাঙালি। খালি পায়ে ফুল হাতে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মানুষের মিছিল মিলেছে শহীদ মিনারে। মানুষের দেওয়া ফুলে ঢেকে গেছে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার।
করোনাকালে ব্যাপক জনসমাগমের ওপর বিধিনিষেধ থাকলেও শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে উপস্থিতির কমতি ছিল না। বরং সামাজিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হতে দেখা গেছে। সংগঠন থেকে সর্বোচ্চ পাঁচজন এবং ব্যক্তিপর্যায়ে সর্বোচ্চ দুই জনের শ্রদ্ধা নিবেদনের যে নির্দেশনা সিএমপি জারি করেছে, খোদ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র-কাউন্সিলরদেরই সেটা মানতে দেখা যায়নি। পুলিশের বাধাও আটকাতে পারেনি কাউকে। হাজারো মানুষের স্রোতে ভেসে গেছে সেই বিধিনিষেধ। নারী-পুরুষ, শিশু, শ্রেণী-পেশা, রাজনীতি- নেই কোনো ভেদাভেদ, সবাই সারি বেঁধে গিয়েছিলেন শহীদ মিনারে। তৈরি হয় প্রভাত ফেরীর দীর্ঘ সারি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হওয়ায় শুধু বাংলাদেশি নন, চট্টগ্রামে অবস্থানকারী বিদেশি নাগরিকদেরও দেখা গেছে শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে।
একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি প্রথম শ্রদ্ধা জানান সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। মেয়রের পরেই শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, সিএমপি কমিশনার সালেহ্‌ মোহাম্মদ তানভীর, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মহানগর কমান্ডার মোজাফফর আহমেদ, সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ।
এরপর পর্যায়ক্রমে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ, চিটাগং সিনিয়রস’ ক্লাব, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ট্যুরিস্ট পুলিশ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা, রেলওয়ে পুলিশ, জেলা আনসার কমান্ডার, ফায়ার সার্ভিস, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার, পরিবেশ অধিদফতর, পরিচালক স্বাস্থ্য, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
২১ ফেব্রুয়ারি ভোর থেকে আবারো শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আপামার মানুষ ছুটে গেছে শহীদ মিনারে। রাষ্ট্রভাষা বাংলার জন্য পাকিস্তানি শাসকের বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন, ফুল দিয়ে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাই কমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী। এ সময় তার সঙ্গে দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘মাতৃভাষার জন্য তরুণরা জীবন দিয়েছে, এটা বিরল ঘটনা। আমার এজন্য গর্ব হয় যে, আমি যে ভাষায় কথা বলি, সে ভাষার জন্য তরুণরা জীবন দিয়েছে। বাংলা আমার মাতৃভাষা, আমার গর্ব।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনসহ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মাছলেম উদ্দিন আহমদ এমপিও শহীদ মিনারে ফুল দিয়েছেন। যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকেও আলাদাভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।
মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে ফুল দেন। জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরাও শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। সিপিবি কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. শাহআলমের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। ওয়ার্কার্স পার্টি চট্টগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌহানের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। জাসদ, বাসদ, ন্যাপসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
একুশে ফেব্রুয়ারি ভোরে ব্যতিক্রমী ‘বর্ণমালা মিছিল’ বের করে ছাত্র ইউনিয়ন, চট্টগ্রাম জেলা শাখার নেতাকর্মীরা। এছাড়া জেলা যুব ইউনিয়ন, যুব মৈত্রী, ছাত্র মৈত্রীসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী, চট্টগ্রাম জেলা সংসদ, প্রমা, বোধন, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের নেতারা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
সকাল দশটায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়াও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। প্রশাসনিক ভবন ও হলসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং কালো ব্যাজ ধারণ করা হয়। এর আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয় শোক র‌্যালি।
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে নগরীর জিইসি মোড়ে ক্যাম্পাসে স্থাপিত শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। শ্রদ্ধা নিবেদনের আগে সমবেতদের উদ্দেশে উপাচার্য ড. অনুপম সেন বলেন, বাঙালিই বিশ্ব-ইতিহাসে প্রথম ভাষার জন্য রক্তদান করে। বাঙালির ভাষার জন্য এই রক্তদান ভাষাকে সর্বমানবের ভাষার অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠা দিয়েছে। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামের বীজ ভাষা আন্দোলনেই অঙ্কুরিত হয়েছিল।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. গৌতম বুদ্ধ দাশের নেতৃত্বে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রথম প্রহরে ক্যাম্পাসে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। চট্টগ্রাম কলেজ, সরকারি হাজী মুহম্মদ মহসিন কলেজ, চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ, এনায়েত বাজার মহিলা কলেজ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নিজ ক্যাম্পাসে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এদিকে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি কবিতা উৎসব, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভাসহ নানা আয়োজনে নগরীতে মহান একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে।
সাদার্ন ইউনিভার্সিটি পালন করলো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবস। এ উপলক্ষে কর্মসূচির মধ্যে ছিল-সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিতকরণ এবং বিশেষ আলোচনা সভা। ভার্চুয়াল আলোচনা সভা উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. নুরুল মোস্তফার সভাপতিত্বে অনলাইনে যুক্ত হন উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর সরওয়ার জাহান, বিভিন্ন বিভাগের উপদেষ্টা, বিভাগীয় প্রধানগণ, শিক্ষক ও কর্মকর্তারা।
চুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেছেন, একুশ ফেব্রুয়ারির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বিশ্বের বুকে বাঙালির একটি স্বকীয় অবস্থান তৈরি করেছে। তিনি ২১ ফেব্রুয়ারি চুয়েট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। পুরকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রবিউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম, যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আহম্মদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী এবং অধ্যাপক ড. রণজিৎ কুমার সূত্রধর। আরো বক্তব্য দেন, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ, প্রভোস্ট সৈয়দ মাসরুর আহমেদ, অধ্যাপক ড. সজল চন্দ্র বনিক, আমিন মোহাম্মদ মুসা, মো. জামাল উদ্দিন। শুরুতে মহান ভাষা শহীদদের স্মরণে দোয়া ও মুনাজাত করা হয়। এর আগে দিবসটি উপলক্ষ্যে দিনের প্রথম প্রহরে সকাল সাড়ে ৭টায় ক্যাম্পাসের উত্তর গোল চত্ত্বর হতে প্রভাতফেরীর মাধ্যমে দিনব্যাপী কর্মসূচি শুরু হয়। এতে নেতৃত্ব দেন উপাচার্য।
মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগ : মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, মহান ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই বাঙালি জাতির স্বাধীনতার বীজ বপন করেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাই ভাষা আন্দোলন আমাদের জাতীয় অস্তিত্বের ঠিকানা। তিনি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর চশমা হিলস্থ বাসভবনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মহা নগর মহিলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় সভপতির বক্তব্যে এসব বক্তব্য রাখছিলেন। নীলু নাগের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য দেন, মালেকা চৌধুরী, খুরশিদা বেগম, হাসিনা আক্তার টুনু, অ্যাড. রোকসানা আক্তার, কাউন্সিলর হুরে আরা বিউটি, লায়লা আক্তার এটলী প্রমুখ।
মা ও শিশু হাসপাতাল : মা ও শিশু হাসপাতাল পরিবারের উদ্যোগে গত ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হয়। এই উপলক্ষে সকালে মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজ, মা-শিশু ও জেনারেল হাসপাতাল, মা ও শিশু হাসপাতাল নার্সিং ইনস্টিটিউট ও শামসুন নাহার খান নার্সিং কলেজ, হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটি ও গভর্নিং বডি, ইন্টার্নী চিকিৎসক ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের পক্ষ থেকে হাসপাতাল ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল চত্বরে স্থাপিত অস্থায়ী শহীদ বেদিতে আলাদা আলাদা পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এই উপলক্ষে হাসপাতাল ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল চত্বরে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর (ডা.) অসীম কুমার বড়ুয়ার সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কার্যনির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মো. মোরশেদ হোসেন। বক্তব্য দেন, কার্যনির্বাহী কমিটির জেনারেল সেক্রেটারী ডা. আঞ্জুমান আরা ইসলাম, জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারী ডা. মো. আরিফুল আমীন, ট্রেজারার মো. রেজাউল করিম আজাদ, ইঞ্জিনিয়ার মো. জাবেদ আবছার চৌধুরী, মো. আহছান উল্যাহ, এস এম কুতুব উদ্দিন, হাসপাতালের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. নূরল হক, জেনারেল সার্জারী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর (ডা.) খন্দকার বোরহানউদ্দিন, নার্সিং কলেজের প্রিন্সিপাল স্মৃতি রানী ঘোষ, নার্সিং ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল ঝিনু রানী দাশ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন অবস অ্যান্ড গাইনি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সালমা আক্তার শিমু ও কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. চিন্ময় বৈদ্য।
ইডিইউ : ২১ ফেব্রুয়ারি ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি (ইডিইউ) আয়োজন করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের। ভোরে উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সিকান্দার খানের নেতৃত্বে প্রভাতফেরীর মধ্যদিয়ে ইডিইউ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, ভাষা আন্দোলন বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা ছিলো না। বাঙালির দীর্ঘ স্বাধীকার আন্দোলনের সূত্রপাত ছিলো বায়ান্ন, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের ভিত গড়ে দিয়েছিলো। রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়ার সঞ্চালনায় ও স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. মো. নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে মুখ্য আলোচক ছিলেন স্কুল অব বিজনেসের অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. মোহাম্মদ রকিবুল কবির, স্বাগত বক্তব্য দেন, স্কুল অব লিবারেল আর্টসের অ্যাসোসিয়েট ডিন মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, প্রক্টর ও সহকারী অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান, অর্থনীতির সহকারী অধ্যাপক অনন্যা নন্দী প্রমুখ।
শোভনদন্ডী ডিগ্রি কলেজ : ভাষা দিবস উপলক্ষে পটিয়ার শোভনদন্ডী ডিগ্রি কলেজ ও শোভনদন্ডী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কলেজ অধ্যক্ষ মো. হামিদ হোসাইন। অধ্যাপক বিধান চক্রবর্ত্তীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষানুরাগী সদস্য মফজল আহমদ চৌধুরী। প্রধান বক্তা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. আবুল হাসান খোকন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিগ্রি কলেজের আজীবন দাতা এরশাদুল আলম, জমিদাতা এমএ মোনাফ, অধ্যাপক যদুরঞ্জন চৌধুরী, খোরশেদ আলম, মিজানুর রহমান, মোরশেদুল আলম, জসীম উদ্দীন, আবু বক্কর প্রমুখ। বক্তব্য রাখেন অধ্যপক এজেডএম আহসান উল্লাহ, অধ্যাপিকা ফারজানা করিম, সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. ওসমান গনি, শিক্ষক প্রদীপ চক্রবর্ত্তী ও মাওলানা মোহাম্মদ আবছার উদ্দীন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকুয়েতে দণ্ডিত পাপুলের সংসদ সদস্য পদ বাতিল
পরবর্তী নিবন্ধবঙ্গবন্ধু করে দিয়ে গেছেন, তা ধরে রাখতে হবে : প্রধানমন্ত্রী