বাঁশখালী উপজেলায় পাহাড়ি এলাকায় হাতির হামলায় নিহত, আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত ৭ পরিবারের সদস্যদের মাঝে সরকারি ভাবে ১৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়। গতকাল শনিবার উপজেলা অফিসার্স ক্লাব হলরুমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তারের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য আলহাজ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংক্ষরণ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা দ্বীপান্বিতা ভট্টাচার্য্য। জলদী অভয়ারন্য রেঞ্জ ও চাম্বল বনবিট কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখের সঞ্চানলায় এতে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক আবদুল গফুর, মহিউদ্দিন চৌধুরী খোকা, চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী, কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু সালেক, মৎস্য কর্মকর্তা মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, চেয়ারম্যান ইবনে আমিন, ইসরাফিল হক, জোবাইর চৌধুরী, আকতার হোছাইন প্রমুখ। এ সময় বন্যহাতির হামলায় নিহত পরিবারের পক্ষে পুইছড়ি এলাকার আনোয়ারা বেগমকে ৩ লক্ষ টাকা, দিপ্তী দেবকে ৩ লক্ষ টাকা, শাহ আলমকে ৩ লক্ষ টাকা,চাম্বল এলাকার ছেনোয়ারা বেগমকে ৩ লক্ষ টাকা,ফসলের ক্ষয়ক্ষতি বাবদ নুরুল আলমকে ৪০ হাজার টাকা,হারুনুর রশিদকে ৩৫ হাজার টাকা, মো. রাশেদকে ৪৫ হাজার টাকা, মো. হোসেনকে ৪০ হাজার টাকা মোট ১৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়। সভায় সংসদ সদস্য আলহাজ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, বন সুরক্ষিত রাখলে হাতি কখন ও লোকালয়ে আসবে না, অনেক সময় হাতি মেরে দাঁত বিক্রি করে অনেকে, পাহাড়ে অবৈধ দখল করে ঘর করে থাকলে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে হবে। হাতি লোকালয়ে যাতে আসতে না পারে তার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে। হাতির গন্তব্যে যাওয়ার পথ সুরক্ষিত রাখতে হবে। এ লক্ষ্যে জনপ্রতিনিধি ও সাধারন জনগনকে এগিয়ে আসতে হবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।