হেফাজতের হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় হাটহাজারী ও পটিয়ায় ৭টি মামলা হয়েছে। পৃথক এসব মামলায় সহস্রাধিক লোককে আসামি করা হয়েছে। হাটহাজারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও থানায় ২৬ মার্চ হেফাজত নেতাকর্মীদের হামলার ঘটনায় হাটহাজারী থানায় পৃথক ৬টি মামলা হয়েছে। হাটহাজারি থানায় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ চারটি মামলা করেছে। আর উপজেলা ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ভূমি অফিসের পক্ষ থেকে দুইটি মামলা করা হয়েছে। দুটি মামলায় একটিতে ২০০জন, অপরটিতে ২৫০ জন করে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি পটিয়া থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় আরও একটি মামলা হয়েছে।
তবে মামলায় তান্ডবে ক্ষয়-ক্ষতির বিবরণ দিলেও টাকার অংক দেয়া হয়নি। কারণ হিসেবে মামলার বাদিরা জানান, এখনও ক্ষয়-ক্ষতির নিরূপণ চলছে। হাটহাজারী ওসি মো. রফিকুল ইসলামকে মামলা হয়েছে কিনা জানতে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। আমাদের পটিয়া প্রতিনিধি জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরবিরোধী বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার হেফাজতের নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ মিছিলের সময় পটিয়া আল জামেয়া আল ইসলামীয়ার (পটিয়া মাদ্রাসা) ছাত্ররা অতর্কিতভাবে থানা কম্পাউন্ডে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে পটিয়া থানায় গত মঙ্গলবার রাতে একটি মামলা করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিক রহমান।
এ বিষয়ে তারিক রহমান বলেন, ২৬ মার্চ বিকেলে হেফাজতের নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ মিছিল থেকে থানায় হামলা করা হয়। এ হামলায় ৮শ’ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।