কক্সবাজারের চকরিয়ায় ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে খুন হওয়া টেক্সি চালক আজম বাহাদুর হত্যা মামলার আসামি দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)। গতকাল রোববার দুপুরে র্যাবের গণমাধ্যম শাখা থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এর আগে গত শনিবার বিকালে হাটহাজারী উপজেলার চিকনদন্ডী এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন চকরিয়া থানার নাপিতখালী পাড়া ইউনিয়নের মো. ইসহাকের ছেলে ইয়াছিন আরাফাত (২২) ও মো. কাজল (২৪)।
র্যাব জানায়, ভুক্তভোগী কক্সবাজার জেলার চকরিয়ার টেক্সি চালক ছিলেন। ১৩ অক্টোবর স্থানীয় বদরখালী কলেজপাড়া এলাকার যুবক মো. ইয়াছিন তার মাসহ রাসেলের টেক্সিতে করে বদরখালী বাজারে যান। সেখানে ইয়াছিনের বাবার খাবার হোটেল রয়েছে। বাজারে পৌঁছার পর ভাড়া নিয়ে আজম বাহাদুরের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। ওই সময় ভাড়া মিটিয়ে দেওয়ার পর ভুক্তভোগী ইয়াছিনের দোকানে খাওয়ার জন্য যান। সেখানে আবারও তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে অভিযুক্ত আসামি ছুরি দিয়ে রাসেলের বুকে আঘাত করেন। এরপর অন্য আসামিরা আজমকে এলোপাথাড়ি আঘাত করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।
র্যাব আরও জানায়, হত্যাকাণ্ডের পর ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৩ থেকে ৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে মো. ইসহাককে (৫০) গ্রেপ্তার করলেও বাকিরা আত্মগোপনে চলে যায়। এরপর র্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু হয়। এক পর্যায়ে আসামিদের অবস্থান হাটহাজারীতে নিশ্চিতের পর অভিযানে যায়।
র্যাব-৭ সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মো. নূরুল আবছার জানান, গ্রেপ্তারের পর আসামিরা হত্যাকাণ্ডে জড়ির থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠানো হয়েছে।