হাটহাজারী থেকে ছিনতাই হওয়া একটি প্রাইভেটকারসহ সালাউদ্দিন (৩০), সজিব বড়ুয়া (৪১) এবং আব্দুল্লাহ হোসেন মামুন (৩২) নামের তিন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে মডেল থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাটহাজারী মডেল থানার উপপরিদর্শক শাকিল হোসেন গ্রেফতারের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বুধবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনস্থ বাকলিয়া থানার নতুন ব্রিজ গোল চত্ত্বর এলাকার হাজী বিরিয়ানী হাউজের পাশ থেকে বাকলিয়া থানা পুলিশের সহায়তায় তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হল, সীতাকুণ্ড উপজেলার লতিফনগর ১০নং ওয়ার্ডস্থ কুতুব মেম্বার বাড়ির শফি ড্রাইভারের পুত্র সালাউদ্দিন (৩০), একই উপজেলার জাফরাবাদের ৭নং ওয়ার্ডস্থ পাকার মাথার আব্বাস মাঝি বাড়ির রফিকুল ইসলামের পুত্র আব্দুল্লাহ হোসেন মামুন (৩২) এবং রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শীলক ইউপির ৭নং ওয়ার্ড এলাকার বড়ুয়া পাড়ার সুকান্ত মাস্টার বাড়ির অনাদি বড়ুয়ার পুত্র সজিব বড়ুয়া (৪১)।
জানা যায়, উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ‘আলাউল ফিলিং স্টেশন’ এর দক্ষিণ পার্শ্বে আলাওল দিঘীর পশ্চিম পাড়স্থ কবরস্থানের সামনে চট্টগ্রাম হাটহাজারী আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর থেকে নগরমুখী খুলনার খালিশপুর থানার উত্তর কাশিপুর এলাকার মো. শাহাদাৎ হোসেনের পুত্র জয়নাল আবেদীন ছগিরের (৪৪) মালিকানাধীন (ঢাকা মেট্রো-গ-২১-৮১৪৫) প্রাইভেটকারটি ঘটনারদিন রাত দুইটার দিকে বাদীকে মারধর করে তার সাথে থাকা নগদ বিশ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানার চরামদ্দির ২নং ওয়ার্ডের মৃত রিয়াজুল ইসলাম মালেকের পুত্র মো. আবদুল্লাহ হাওলাদার (২৭) সহ অজ্ঞাতনামা তিন জন মিলে বাদীকে কাপড় দিয়ে হাত, পা ও মুখ বেধে উক্ত প্রাইভেটকারটি ছিনতাই করে নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে এ ঘটনায় বাদী হাটহাজারী মডেল থানায় মামলা দায়ের করলে (যার নং-০৭) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক শাকিল হোসেন তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে উল্লেখিত স্থান থেকে ঘটনার মূল হোতাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতার হওয়া আসামি সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে ৩টি এবং আসামি আব্দুল্লাহ হোসেন মামুনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৩টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।
হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আবু কাওসার মাহমুদ হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গণমাধ্যমকে জানান, গ্রেফতারকৃতদের বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে এবং মামলার অন্যান্য পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।