পবিত্র রমজান মাসে নিরীহ ফিলিস্তিনি মুসলমানদের উপর ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে হাটহাজারীতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ। গত শুক্রবার বাদে জুমা হেফাজতে ইসলাম হাটহাজারী উপজেলা শাখার ব্যবস্থাপনায় পৌরসভার ডাক বাংলো চত্বরে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। হেফাজতের হাটহাজারী উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আলী কাসেমীর সভাপতিত্বে ও উপজেলা হেফাজতের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা এমরান সিকদার, যুগ্ম সম্পাদক মোরশেদ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আসাদুল্লাহ আসাদের যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতের সহকারী মহাসচিব মাওলানা জাফর আহমদ।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ইসরায়েলিরা পবিত্র এই মাসের ১৮ রমজান সেহরীর সময় নিরীহ ফিলিস্তিনি মুসলমানদের উপর বোমা হামলার মাধ্যমে ঘুমন্ত অবস্থায় শত শত মুসলমানদের হত্যা করে। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি বলেন, এখন মুসলমানদের ঐক্যের সময় এসেছে। বিশ্বের সকল মুসলমানকে একত্রিত হয়ে ইসরায়েলকে বিশ্বের মানচিত্র থেকে মুছে ফেলতে হবে। হেফাজতের এই সহকারী মহাসচিব বলেন, ইসরায়েল যেভাবে ফিলিস্তিনি মুসলমানদের জন্য বিষফোঁড়া, তদ্রুপ জৈনবাদী ভারত বাংলাদেশ ভূ–খণ্ডের জন্য বিষফোঁড়া। ওরা বাংলাদেশকে তিলে তিলে শেষ করে দেওয়ার পাঁয়তারা করছে। এই ভারতের বিরুদ্ধে সকল বাঙালি মুসলমানকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তাদের সকল পণ্য বর্জন করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মুফতি মোহাম্মদ আলী কাসেমী বলেন, ইসরায়েল মুসলমানদের উপর হামলা বন্ধ না করলে আমাদের শরীরের শেষ রক্ত কণা পর্যন্ত আমরা ওদের বিরুদ্ধে লড়ে যাব। তিনি বাংলাদেশ সরকারকে মুসলিম বিশ্বের সাথে যোগাযোগ করে ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়জী, কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মো. আহসানুল্লাহ, কার্যনির্বাহী সদস্য হাটহাজারী পৌরসভার সভাপতি মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম মেহেদী, মাওলানা মুফতী বশিরুল করিম, আবু তাহের রাজিব, রাশেদুল ইসলাম, মাওলানা ইকবাল গড়দুয়ারী, হাফেজ মহিউদ্দিন, ছাত্রনেতা আবরার কাউসার ও মাওলানা জিয়াউদ্দিন জিয়া। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ আওয়ামী লীগ ইসলাম ও দেশের স্বার্থ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে উল্লেখ করে অনতিবিলম্বে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানান। সমাবেশ পরবর্তী একটি বিক্ষোভ মিছিল বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় ডাকবাংলো চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।