হাটহাজারীতে সিভাসুর দ্বিতীয় করোনা ল্যাব

স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে আক্রান্তের হার কমে আসবে : নওফেল

হাটহাজারী প্রতিনিধি | রবিবার , ১ নভেম্বর, ২০২০ at ৫:২১ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) উদ্যোগে আরও একটি করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণ ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে শিক্ষা উপ-মন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল সিভাসুর হাটহাজারী রিসার্চ অ্যান্ড ফার্ম বেইজড ক্যাম্পাসে স্থাপিত এই ল্যাব উদ্বোধন করেন।
সিভাসুর উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডেকেট মেম্বার এম এ সালাম। ডা. তাহিয়া আহমদ লুবনার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত করেন মাওলানা হাফেজ আহমদ। এতে উপস্থিত ছিলেন সিভাসুর ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এম নূরুল আবছার খান, ওয়ান হেল্‌থ ইসস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. শারমীন চৌধুরী, রেজিস্ট্রার মীর্জা ফারুক ইমাম, আইকিউএসির পরিচালক প্রফেসর ড. কবিরুল ইসলাম খান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মো. মনিরুল ইসলাম, হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মাসুদ এবং হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এ এস এম ইমতিয়াজ হোসেন, হাটহাজারী প্রেসক্লাব সভাপতি কেশব কুমার বড়ুয়া, সহকারি কমিশনার (ভূমি) শরীফ উল্যাহ ওসি মাসুদ আলম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গবেষণার জন্য যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন- তা বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কখনো দেওয়া হয়নি। এই বরাদ্দের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেসব উন্নতমানের ল্যাব স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে-সেই ল্যাবগুলো এই করোনা মহামারীকালে সাধারণ মানুষের উপকারে আসছে। তিনি বলেন, হাটহাজারীতে সিভাসু কর্তৃক এই কোভিড-১৯ ল্যাব স্থাপনের ফলে বৃহত্তর উত্তর চট্টগ্রামের মানুষ বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। করোনা মহামারীকালে সিভাসুর কোভিড-১৯ ল্যাবের সুবিধা শুধু চট্টগ্রামে সীমাবদ্ধ থাকেনি। এই সেবা কার্যক্রম জামালপুর ও চাঁদপুর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।
শিক্ষা উপ-মন্ত্রী বলেন, যত দ্রুত ও সহজে করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করা যাবে ততই শনাক্তকৃত রোগীর চিকিৎসা প্রদান করা সহজ হবে। ঘাতক এ ব্যাধি যে হারে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে তাৎক্ষণিকভাবে নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দিতে পারলে মৃত্যুর হার অনেকাংশে কমে যাবে। তাছাড়া সরকারের নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেও এ রোগে আক্রান্তের হার কমে আসবে। তিনি আরো বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে গবেষণা যত বেশী হবে ততবেশি গবেষণালদ্ধ জনশক্তি সৃষ্টি হবে। দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টি করতে পারলে আত্মকর্ম সংস্থানের জন্য চিন্তা করতে হবে না। নিজেরাই নিজেদের কর্মসংস্থান করে নিতে পারবে। সরকারি চাকরির জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। তিনি সরকারি দলের ছাত্র সংগঠনের উদ্দেশ্যে বলেন, শুধু নেতাদের পেছনে শ্লোগান দিয়ে স্বাবলম্বী হওয়া যাবে না। তাদেরকে নিজের ও পরিবারের জন্য আত্মপ্রত্যয়ী হিসাবে গড়ে তুলতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহলুদ সাংবাদিকতা পরিহার করে দেশের জন্য কাজ করতে হবে
পরবর্তী নিবন্ধবিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত ৩ নভেম্বর