হাটহাজারীতে সালিশি বৈঠকে একজনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

হাটহাজারী প্রতিনিধি | রবিবার , ৩ আগস্ট, ২০২৫ at ৮:১৮ পূর্বাহ্ণ

হাটহাজারীতে সালিশি বৈঠকে ফখরুল ইসলাম (৫৮) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ নুর আলম (৪২) ও মো. মুসলিম (৪৫) নামে দুই জনকে আটক করেছে। গতকাল শনিবার হাটহাজারী মডেল থানার উপপরিদর্শক ইমরান গণমাধ্যমকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে হাটহাজারী থানাধীন সন্দীপ কলোনির আমতলী এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত ফখরুল ইসলাম ওই এলাকার ফয়জল মাওলার পুত্র।

জানা গেছে, গত মাসের ২৭ জুলাই স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিহত ফখরুলের মেয়েকে ওই এলাকার রিফাত ও তার সহযোগীরা জোরপূর্বক তুলে নিয়ে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নিয়ে যায়। পরে সেখানে রিফাত জোরপূর্বক তাকে বিয়ের রেজিস্টারে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এদিকে ভিক্টিমের পরিবার মেয়েকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ঘটনার দিন রাতেই হাটহাজারী মডেল থানায় জিডি করেন। এরপর হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ নোয়াখালীর সুবর্ণচর থেকে সেখানকার থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে হাটহাজারীতে এনে তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করে। পরে গত শুক্রবার রাতে ছেলেমেয়ে উভয় পক্ষ একটি সমাধানের জন্য সন্দীপ কলোনির আমতলী এলাকায় সালিশ বৈঠকে বসে। সেখানে এলাকার সমাজ প্রতিনিধি মেয়ের কাছ থেকে ঘটনা সম্পর্কে জানার সময় ছেলে পক্ষ এবং মেয়ে পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও সংঘর্ষ লেগে যায়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে মেয়ের বাবা ফখরুল ইসলামের উপর হামলা চালালে তিনি অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত স্থানীয় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাটহাজারী মডেল থানার উপপরিদর্শক ইমরান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়। থানার সেকেন্ড অফিসার উপপরিদর্শক নাজমুল হাসান জানান, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।

হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী তারেক আজিজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে আসলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলেও জানান তিনি উল্লেখ করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচাক্তাই-কালুরঘাট রিং রোডে হচ্ছে বিনোদন কেন্দ্র
পরবর্তী নিবন্ধপ্রথমে জটলা সৃষ্টি, এরপর মোবাইল ও টাকা ছিনতাই