হাটহাজারীতে ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকায় রাস্তায় নেমেছে শিক্ষার্থীরা। এসময় বিকালের দিকে পৌরসদরের বাস স্টেশন এলাকায় উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও মেখল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন ও যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব জিএম সাইফুলের নেতৃত্বে একদল বিএনপি কর্মী যানজট নিরসনে কাজ করতে দেখা গেছে।
এতে যান চলাচলে অনেকটাই গতি ফিরেছে। একই সঙ্গে সড়কে সেই চিরচেনা যানজট না থাকায় স্বস্তি দেখা গেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বুধবার সকাল থেকে সদরের কলেজ গেট, বাজার, বাস স্টেশন, বাজারে সড়কে যানজট নিরসনে কাজ করছে শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও মডেল থানা সহ বিভিন্ন এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা দৈনিক আজাদীকে জানায়, হাটহাজারীতে কোনো ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্বে না থাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হলে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছিল। এ কারণে তারা গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে যানজট নিরসনের জন্য কাজ করছে।
হাটহাজারী মডেল থানায় কিছু দুর্বৃত্তের হামলার ঘটনায় থানা ভেতর ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে ইটের খোয়াসহ বিভিন্ন সামগ্রী। আজ বিকালে শিক্ষার্থীরা এসব ময়লা-আবর্জনা সরিয়ে ঝাড়ু দেয়।
বেলচা দিয়ে রাস্তার পাশের ময়লা, ফুটপাতে পড়ে থাকা আবর্জনা পরিষ্কার করে পৌরসভার ময়লার স্তূপে রাখা হচ্ছে।’ এ কর্মসূচি চলমান থাকবে বলেও জানায় শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে হাটহাজারী মডেল থানায় কোনো পুলিশ সদস্য নেই।
এদিকে মঙ্গলবার রাতে বিএনপি কর্মীরা সারারাত ধরে উপজেলার কাটিরহাটের পশ্চিমে শীতলা বাড়িসহ বিভিন্ন এলাকার হিন্দু বাড়ী, মন্দির পাহারা দেয়।
জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপি নেতা সাবেক চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন ও যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব জিএম সাইফুল দৈনিক আজাদীকে বলেন, গতকাল রাতেও আমরা হাটহাজারীর মেখলের হিন্দু ভাইদের তীর্থস্থান শ্রী শ্রী পুন্ডরীক ধাম পাহারা দিয়েছি। কিছু দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন স্থানে বিশৃঙ্খলা করছে আমরা সেগুলো প্রতিহত করতে মাঠে আছি।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর সারা দেশের মত হাটহাজারী উপজেলাজুড়েও উত্তেজনা তৈরি হয়। এ সূযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু দুর্বৃত্ত উপজেলা পরিষদ ভবনসহ ভবনের বিভিন্ন অফিস কক্ষ, উপজেলা পরিষদ ভবনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু মুরাল,থানা, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান,বাসা বাড়ীতে এবং বিভিন্ন ইউপি ভবনে হামলা চালায়। ওইদিন থানায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশের গুলিতে অনন্ত ৬ জন আহত হয়।