চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) রেলস্টেশনে রেস্টুরেন্ট দখলকে কেন্দ্র করে স্থানীয় যুবলীগ নেতা হানিফ ও তার ভাই ইকবাল বাহিনীর হামলা, ভাঙচুর ও শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনার মামলায় আজকের ৬ জনসহ মোট ১১ জন আসামিকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাতে হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাবিবুর রহমান আটকের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ অভিযুক্ত যুবলীগ ক্যাডার হানিফের বোনের জামাইসহ মোট ছয় জনকে আটক করে।
আটককৃতরা হলেন, হাটহাজারী থানাধীন ১নং দক্ষিণ পাহাড়তলীর মাহমুদাবাদের গোল মোহাম্মদ তালুকদার পাড়ার মো. শাহআলমের পুত্র ফরহাদুল আলম (৩১), পৌরসভার মধ্যম পাহাড়তলী আদর্শ গ্রামের ৭ নং ওয়ার্ডস্থ মো. শাহাদাত হোসনের পুত্র মো. রাশেদ (৩৭), ফতেপুর ইউনিয়নের চবি রেলওয়ে কলোনির ৪নং ওয়ার্ডের মৃত সিরাজুল ইসলামের পুত্র যুবলীগ ক্যাডার হানিফের বোনের জামাই মো. জহিরুল আলম (৩৪) প্রকাশ জামাই, ঠাকুরগাঁও জেলার রোহিয়া থানার রাজাগঞ্জ ইউপির আশান নগর ২নং ওয়ার্ডস্থ আবদুল জলিলের পুত্র বর্তমানে চবি ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী মো. সুমন (২৩), কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন থানার দূর্গাপুর এলাকার মৃত দুলাল মিয়ার পুত্র বর্তমানে পৌরসভার ইস্টার্ন আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মো. মনির হোসেন (২৪) এবং ফতেহপুর ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ডের নাথ পাড়ার রতন কুমারের পুত্র ইমন কুমার নাথ (২৩)।
এর পূর্বে হাটহাজারীর উত্তর ফতেয়াবাদ এলাকার মৃত ইদ্রিছ সওদাগরের ছেলে মো. ইলিয়াছ প্রকাশ ফারুক (৪০), হাটহাজারী পৌরসভা পশ্চিম দেওয়ান নগর মৌলভীপাড়া আবুল বশর পোস্ট মাস্টার বাড়ির মহিবুল হকের ছেলে মো. সুমন (২৯), ফতেপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড ইসলামিয়ারহাট সৈয়দপাড়ার মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে মো. ইসতিয়াক আহমেদ (২২), একই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড লাল মিয়া সওদাগর বাড়ির মো. আমির হামজার ছেলে মো. রাশেদ (৩০) ও একই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড পূর্ব ভবানীপুর (মধুপুর) এলাকার ছালেহ আহমদের ছেলে মো. আবু তাহের (৫৫) আটক করেছিলো পুলিশ।
পুলিশ জানায়, এ পর্যন্ত আজকের ৬ জনসহ মোট ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। গত ২১ অক্টোবর ভোরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রেলস্টেশন এলাকায় আপ্যায়ন রেস্টুরেন্ট দখলকে কেন্দ্র করে স্থানীয় যুবলীগ নেতা হানিফ ও তার ভাই ইকবাল বাহিনীর লোকজন হামলা ও ভাঙচুর করে।
একই সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীকেও মারধর করা হয়। এর প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও আশপাশ এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইনে হাটহাজারী থানায় ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২৫ থেকে ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাবিবুর রহমান বৃহস্পতিবার রাতে দৈনিক আজাদীকে জানান, গতকাল এবং আজকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আটক করা ছয় জনকে বিকালের দিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।