হাটহাজারীর মন্দাকিনীতে সরোয়ার আযম (২৭) নামে এক ব্যবসায়ীর গলাকাটা মরদেহ দোকান থেকে উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
আজ বুধবার (২ জুন) সকালে লাশটি উদ্ধার করা হয়। তার নাম মো. সরোয়ার আযম বলে জানা গেছে।
তিনি মন্দাকিনী এলাকার নজর মোহাম্মদ চৌধুরী বাড়ির মরহুম মুক্তিযোদ্ধা সামশুল আলমের পুত্র।
গত কয়দিন পূর্বে ধলই ইউনিয়নে তার বিয়ের কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়েছিল। আগামী ১৮ জুন তার বিয়ের অনুষ্ঠানের কথা ছিল।
১নং ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর জানান, মরহুম মুক্তিযোদ্ধা সামশুল আলমের ২য় ছেলে মো. সরোয়ার আযম বাড়ির পাশে একটি মুদির দোকান করে। কয়েকদিন পূর্বে ধলই এলাকায় তার বিয়ের কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়েছিল। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ভাত খাওয়ার পর সে তার দোকানে ঘুমায়। আজ বুধবার সকালে দোকান বাহিরে থেকে তালা বন্ধ ছিল। স্থানীয় লোকজন মনে করেছিল সে হয়তো বাড়িতে বা বাহিরে কোথাও গেছে। দোকান খুলতে বিলম্ব দেখে স্থানীয়রা তার বাড়িতে খবর নিতে গিয়ে দেখে সে বাড়িতেও নেই। পরে তার ভাই এসে দোকানের চালার টিন খুলে তার গলাকাটা লাশ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ এসে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণের ব্যবস্থা করে।
ঘটনার সংবাদ অবহিত হয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহদাত হোসেন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম পিবিআই-এর একটি তদন্ত দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
ওসি (তদন্ত) রাজিব শর্মা ঘটনার খবর পেয়েছেন বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
লাশ উদ্ধারকারী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. সেলিম ভূঁইয়া জানান, ঘটনার সংবাদ পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছেন। হত্যার কারণ উদঘাটনের জন্য তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এদিকে, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার নূরুল আলম মুক্তিযোদ্ধা সামশুল আলমের পুত্র হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করে অবিলম্বে দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।