হাটহাজারী উপজেলায় সামপ্রতিক সময়ে প্রবল বর্ষণের ফলে বন্যায় শতকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। পৌরসভা, ইউনিয়ন এবং বিভিন্ন দপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে ১০২ কোটি টাকার ক্ষতির তালিকা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিয়াজ মোর্শেদ (অতিরিক্ত দায়িত্ব)।
পৌরসভা ও উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তর সূত্রে জানা যায়, পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়নে রাস্তাঘাট, কৃষি, মৎস্যখাত ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পৌরসভার ১২টি সড়ক, ধলই ইউনিয়নে ১টি, ফরহাদাবাদে ৪টি, মির্জাপুরে ৫টি, নাঙ্গলমোড়ায় ২টি, ফতেপুরে ৩টি, মেখলে ৭টি, গড়দুয়ারায় ৪টি, উত্তর মাদার্শায় ১টি, দক্ষিণ মাদার্শায় ৫টি, চিকনদন্ডীর ৪টি সড়ক, শিকারপুরে ১টি, বুড়িশ্চরে ১টি, গুমানমর্দনে ১টি সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাছাড়া পৌরসভার বাদমতল, মদুনাঘাট, আজিজিয়া মজিদিয়াসহ আরো ৬টি সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফারুক মাইদুজ্জামান জানান, এবারের বন্যায় ১৩৫ একর পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এতে প্রায় চার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে চাষিদের।
উপজেলা প্রকৌশলী জয়শ্রী দে বলেন, উপজেলার প্রায় প্রতিটা ইউনিয়নে বন্যার পানিতে ৪৮.৭ কিলোমিটার পাকা সড়ক নষ্ট হয়ে গেছে। জরুরি তহবিল না থাকায় দ্রুত সংস্কার করতে পারছে না উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়। ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কারে ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকা লাগবে। ইতোমধ্যে তালিকা সম্পন্ন করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন সিকদার বলেন, উপজেলায় বন্যায় রোপা আমন, বীজতলা, শাকসবজি সবকিছুর ক্ষতি সাধিত হয়েছে। কৃষি অফিসের তথ্যমতে ৩৮৭ হেক্টর আউশ, আমন বীজতলা, রোপা আমন, শাকসব্জি তলিয়ে গেছে। যার ক্ষতির পরিমাণ ৭ কোটি ১৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। একইসাথে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কিছু পোল্ট্রি ফার্মের মালিক।
পৌর প্রকৌশলী বেলাল আহম্মেদ খান বলেন, ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ বি এম মশিউজ্জামান জানান, তালিকা পেয়েছি। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তালিকাটা পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।
আশা করছি সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সবার সাথে সমন্বয় করে ক্ষতি সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।