হাটহাজারীতে ১৩ বছরের কিশোরী তাসনিমা সুলতানা তুহিনকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে আসামি শাহনেওয়াজ সিরাজ মুন্নাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি অপহরণের দায়ে যাবজ্জীবন ও লাশ গুমের দায়ে তাকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া অপরাধ প্রমানিত না হওয়ায় মামলার অপর দুই আসামি মুন্নার বাবা শাহজাহান সিরাজ ও মা নিগার সুলতানাকে খালাস দেয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে লাশ গুমে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছিল। গতকাল চট্টগ্রামের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক হালিম উল্লাহ চৌধুরী ঘটনার ৩ বছর ২৬ দিন পর এ রায় ঘোষণা করেন।
ট্রাইব্যুনালের পিপি আয়ুব খান আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পুরো বিচার প্রক্রিয়ায় বিচারক ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানায়, হাটহাজারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ছিলেন তাসনিমা সুলতানা তুহিন। থাকতেন শাহজালাল পাড়ার সালাম ম্যানশনের দ্বিতীয় তলায়। সেখান থেকে ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর তুহিনকে অপহরণ করে একই ভবনের চতুর্থ তলার ভাড়া বাসায় নিয়ে গিয়ে প্রথমে ধর্ষণ ও পরে মুখ চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরে প্লাস্টিকে মুড়িয়ে মরদেহ সোফার নিচে লুকিয়ে রাখা হয়। ওই অবস্থায় দুই দিন তুহিনের লাশ পড়ে ছিল। এক পর্যায়ে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা জানাজানি হলে তুহিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ এবং তার দেখানো মতে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রী তুহিনের ভাই আকিব জাবেদ অভিযুক্ত মুন্না ও তার বাবা-মার বিরুদ্ধে হাটহাজারী থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। ট্রাইব্যুনাল সূত্র আরো জানায়, ২০২০ সালের ১০ জুলাই মুন্না ও তার বাবা মার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। একপর্যায়ে আদালত তাদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।