হাটহাজারীতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে মারাত্মকভাবে আহত আবদুল হামিদ রুবেল(৩৩) নামে এক ঠিকাদার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ(চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে মারা গেছেন।
তিনি ১২নং চিকনদণ্ডী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউসুফ কোম্পানির বাড়ির মৃত আবদুল কাদেরের পুত্র এবং তিন সন্তানের জনক।
গত শুক্রবার দিবাগত রাতে দুর্বৃত্তরা তাকে বাড়ির এলাকা থেকে ডেকে হামলা করে।
জানা যায়, তার এক ব্যবসায়িক অংশীদারের সাথে তার দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। ধারণা করা হচ্ছে এই বিরোধের জের ধরে তার ওপর হামলায় এই খুনের ঘটনা ঘটতে পারে।
গত শুক্রবার দিবাগত রাতে তাকে তার পরিচিত কিছু লোক তাকে তার বাড়ির এলাকা থেকে ডেকে নতুন পাড়া বাজারে নিয়ে যায়। সেখানে রুবেলকে এলোপাতাড়ি মারধর করে ছুরিকাহত করে। তাকে ছুরিকাহত করার পর দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
উপস্থিত লোকজন আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ(চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে রুবেল নামে এই ঠিকাদারের মৃত্যু হয়।
১২নং ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান তোফাইল আহাম্মদ ঠিকাদার আবদুল হামিদ রুবেলের মৃত্যুর ঘটনা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “নিহত রুবেল ও তার এক অংশীদার মিলে নতুন পাড়াস্থ বিআরটিসি চট্টগ্রাম ডিপোতে ঠিকাদারি করেন। অংশীদার ঠিকাদারের দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের ঠিকাদারি ব্যবসা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল তাদের মধ্যে। এই বিরোধের জের ধরে হয়তো প্রতিপক্ষ গত শুক্রবার দিবাগত রাতে রুবেলকে নতুন পাড়া বাজারে ডেকে নিয়ে হামলা করে। হামলায় তিনি মারাত্মকভাবে আহত হলে উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রুবেল গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে মারা যান। নিহত ঠিকাদার রুবেল তিন সন্তানের জনক।”
হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(তদন্ত) রাজিব শর্মা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “চমেক হাসপাতালে যেহেতু মারা গেছে সেহেতু এটা পাঁচলাইশ থানার অধীনে ময়নাতদন্ত হবে।”
এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।