হাটহাজারী পৌরসভার একটি বিল্ডিংয়ের বাউন্ডারি দেওয়াল টপকে ভেতরে ঢুকে দারোয়ানের কক্ষের তালা ভেঙে দুটি মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে গেছে চোর চক্র।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টার দিকে হাটহাজারী মডেল থানায় এ ঘটনায় একটি অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
এর আগে সোমবার দিবাগত রাতে আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে পৌরসদরের দেওয়াননগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ফতেপুর ইউনিয়নের পশ্চিম পট্টি এলাকায় বাড়ি করে থাকেন দীর্ঘদিন ধরে মৃত চাঁন গাজীর পুত্র প্রবাসী ফরহাদ। তিনি ৭/৮ দিন পূর্বে দেশে এসে তার বন্ধু মো. আলী মর্তুজার কাছ থেকে নেয়া লাল রংয়ের টিভিএস রাইডার রেজিঃ নং- চট্টমেট্রো-হ-২২-২৯৫৫), ওই বিল্ডিংয়ের ভাড়াটিয়া মো. মামুন উদ্দীনের কালো ও ধূসর বর্ণের রেজি. নাম্বার চট্টমেট্রো-হ-২০-৪৩৩০ টিভিএস মোটরসাইকেল গাড়ী ২টি প্রতিদিনের মতো গত সোমবার রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে পৌরসভার ০৩নং ওয়ার্ডস্থ পূর্ব দেওয়ান নগরস্থ ১নং পিডিবি সাব স্টেশনের পূর্ব পাশের “গাজী নূর ভবন” এর বাউন্ডারির ভেতর দারওয়ানের কক্ষে লক করে কক্ষের দরজায় এবং গেইটে তালা দিয়ে যে যার রুমে চলে যায়।
পরে মঙ্গলবার সকাল ৬ টার দিকে ঘুম থেকে উঠে নিচে গেলে দেখা যায় কক্ষের দরজার এবং গেইটের তালা ভাঙ্গা। সাথে সাথে দৌঁড়ে গাড়ী রাখা কক্ষে গিয়ে দেখেন সেখানে রাখা মোটরসাইকেলগুলো নাই। পরে বিল্ডিংয়ের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, অজ্ঞাতনামা মুখ বাধা ২ চোর বিল্ডিংয়ের দেওয়াল টপকিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে কক্ষের ও গেইটের দরজার তালা এবং গাড়ি ২টির লক ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। খবর পেয়ে হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ভিকটিম প্রবাসী ফরহাদ ও মামুন মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে দৈনিক আজাদী কে জানান, যেভাবে বাউন্ডারির ভেতর ঢুকে, সিসি ক্যামেরার তার কেটে, কক্ষের ও গেইটের তালা ভেঙে নিখুঁত ভাবে দুটি মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে গেলো তাতে বুঝা যাচ্ছে এরা পেশাদার চুর চক্র। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারও দাবী করেছেন।
প্রবাসী ফরহাদের কাজিন লোকমান মঙ্গলবার বিকালের দিকে দৈনিক আজাদী কে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ফরহাদের জন্মস্থান রাউজানে। তবে ফতেপুর ইউনিয়নে বাড়ি করে এখানেই আছেন দীর্ঘদিন ধরে। এ ঘটনায় হাটহাজারী মডেল থানায় অভিযোগ করেছে তারা। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিদর্শন করে গেছেন।
জানতে চাইলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সুমন মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে দৈনিক আজাদী কে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর পাওয়ার পর আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিভিন্ন আলামত, সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। ওই চক্রকে সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার ব্যাপারে তদন্ত চলছে বলেও জানান তিনি।