হাটহাজারীতে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির জাতীয় গ্রিডের ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে করে নগরীর সঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। দুর্ঘটনার ফলে তীব্র গরমের মধ্যে নগরীর বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটে। গতকাল শনিবার বিকাল ৫টার দিকে হাটহাজারী–মদুনাঘাটের ১৩২ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে কারেন্ট ট্রান্সফরমারের (সিটি) বিস্ফোরণে গ্রিড বিপর্যয় হয়। অত্যধিক গরমে এ বিস্ফোরণ হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন পিডিবির প্রকৌশলীরা।
সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকে। পুরোপুরি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত লেগে যায়। দাবদাহের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ না থাকায় গরমে নগরবাসীর ভোগান্তি বাড়ে।
জানা গেছে, হাটহাজারী জাতীয় গ্রিড সাব–স্টেশনের দুটি ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ হয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এই গ্রিড সাব–স্টেশনের সাথে মদুনাঘাট গ্রিড সাব–স্টেশনেরও সংযোগ রয়েছে। এই ট্রান্সফরমার থেকে চট্টগ্রাম তথা বিশেষ করে দক্ষিণ চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। ফলে এখানেও এর প্রভাব পড়ে।
চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী এম রেজাউল করিম আজাদীকে বলেন, হাটহাজারী জাতীয় গ্রিড সাব–স্টেশনের (কারেন্ট ট্রান্সফরমার) ট্রান্সফরমারে বিকালে বিস্ফোরণ হয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে ১৩২ কেবি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চট্টগ্রামে বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। কিছু্ক্ষণের মধ্যে ধাপে ধাপে বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক হতে থাকে। জাতীয় গ্রিড সাব–স্টেশনটি হাটহাজারী ১০০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের কাছে।
হাটহাজারী প্রতিনিধি জানান, হাটহাজারী জাতীয় গ্রিড সাব–স্টেশনের ২৩০ কেবি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা মো. শাহজাহান বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনেন। ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি রক্ষা পায়। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রাথমিকভাবে ৫ লক্ষ টাকা হবে।
হাটহাজারী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী নেওয়াজ আহমেদ খান বলেন, বিকাল ৫টার দিকে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এই ট্রান্সফরমারের সাথে মদুনাঘাট সাব–স্টেশনের সংযোগ রয়েছে। এই ট্রান্সফরমার থেকে চট্টগ্রাম, বিশেষ করে দক্ষিণ চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। ঘটনার পর পর বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে দ্রুত কাজে লেগে যায়।