কৃষিকে কেন্দ্র করে সমৃদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। বর্তমানে প্রযুক্তির বিশ্বে কৃষিজ পণ্য ঘিরে গড়ে উঠেছে খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্প। সময়ের সাথে দেশে-বিদেশে বাড়ছে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের চাহিদা। এই চাহিদাকে সামনে রেখে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য উৎপাদন শিল্পে বিনিয়োগ নিয়ে আসছেন নতুন নতুন উদ্যোক্তারা। এতে করে স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি সম্প্রসারিত হচ্ছে রপ্তানির বাজারও। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্প সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথে অন্তরায়ও কম নয়। সেই বাধা দূর করতে সরকারের নীতিগত সহযোগিতা প্রয়োজন। পাশাপাশি ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে ভ্যাট, ট্যাঙ কমানোসহ ভ্যাট নীতি ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি প্রক্রিয়াজাত কারখানাগুলোতে প্রযুক্তিগত পরিবর্তন আনতে সরকারি সহযোগিতা চান এ শিল্পের উদ্যোক্তারা।
বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসরস্ এসোসিয়েশন (বাপা) সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৫ সালের পর থেকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য উৎপাদন, বাজারজাত ও রপ্তানি হচ্ছে। শুরুর দিকে ২০টি কারখানায় উৎপাদন হলেও বর্তমানে প্রক্রিয়াজাত খাবার তৈরিতে সারা দেশে ১৪০টির মতো কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিনিয়োগে এসেছেন অনেক গুণগত মানসম্মত উৎপাদকও। খাদ্য প্রক্রিয়ায় ক্রমাগত আধুনিক প্রযুক্তির সংযোজনও হয়েছে।
বর্তমানে দেশে বাজারজাতকরণের পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে ১৪৪টি দেশে ১৩০ আইটেমের প্রক্রিয়াজাত খাদ্য রপ্তানি হচ্ছে। এ খাতে বর্তমানে বছরে প্রায় ২৬৩ মিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় হচ্ছে। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, ৯০ সালের পর থেকে দেশে প্রক্রিয়াজাত খাবারের চাহিদা দিন দিন বিস্তৃত হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে ১৫ হাজার টন প্রসেসড ফুড রপ্তানি করে প্রায় ১ কোটি ২৩ লাখ মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় হয়। ধারাবাহিকভাবে বেড়ে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে আয় হয়েছে প্রায় ৬০ কোটি মার্কিন ডলার। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, সিঙ্গাপুর, চীন, জাপান, দুবাই, সৌদি আরব থেকে শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকাসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য রপ্তানি হচ্ছে। বাংলাদেশের জুস, ড্রিংকস, মুড়ি, চানাচুর, বিস্কুট, আচার, সেমাই, নুডলস, পটেটো ক্রেকার্স, জ্যাম-জেলি, ফুডিং, ক্যান্ডি, মসলা রয়েছে রপ্তানির তালিকায়।
এ খাতের ব্যবসায়ীরা বলছেন, গুণগত মানের পাশাপাশি প্রতিযোগিতামূলক বাজারে কম মূল্যের কারণে বিদেশিরা বাংলাদেশি খাদ্যপণ্য কিনতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। সরকারি সহযোগিতা পাওয়া গেলে এ খাতে বছরে হাজার বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব।
সৈয়দ নুরুল ইসলাম
টেকনোলজি ট্রান্সফার জরুরি, প্রয়োজন সরকারি সহযোগিতা
প্রক্রিয়াজাত খাদ্য শিল্পকে এগিয়ে নিতে টেকনোলজি ট্রান্সফারের বিকল্প নেই। টেকনোলজি ট্রান্সফারের (প্রযুক্তিগত রূপান্তর) জন্য সরকারি নীতিগত সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করছেন এ শিল্পের বড় বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ওয়েল গ্রুপের সিইও সৈয়দ নুরুল ইসলাম। ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট ভাবনার বিষয়ে তিনি বলেন, এগ্রো বেইজড ইন্ডাস্ট্রির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে টেকনোলজি ট্রান্সফার। সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তির সন্নিবেশ না ঘটায় আমরা এগ্রো বেইজড শিল্পকে সত্যিকার অর্থে আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যেতে পারিনি। কিন্তু সরকারের কিছু সহযোগিতার কারণে আমরা খারাপও করিনি। এ শিল্পকে আরো এগিয়ে নিতে হলে টেকনোলজি ট্রান্সফার করতে হবে। এজন্য সরকারের নীতিগত সহায়তা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, রাঙামাটিতে প্রচুর আনারস উৎপন্ন হয়। সেই আনারস এনে কোল্ড চেইনের মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত করে টিনজাত করে বাজারজাত করার সুযোগ আছে। কিন্তু ওই প্রযুক্তিটা আমরা এখনো আনতে পারিনি। কলা শুকিয়ে (ডিহাইড্রেটেড) প্যাকেটজাত করার সুযোগ আছে। থাইল্যান্ডে এ ধরনের কলা জনপ্রিয়। চট্টগ্রামে প্রচুর পেয়ারা উৎপাদিত হয়। কিন্তু মৌসুমেই সেই পেয়ারা শেষ হয়ে যায়। পেয়ারাগুলোকে ডিহাইড্রেটেড করে সারা বছর খাবারের উপযোগী করার প্রক্রিয়া আমরা এখনো শুরু করতে পারিনি। দুগ্ধজাত পণ্যের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে পারিনি। এসব প্রজেক্ট বেশ বড় হয়, বিনিয়োগও বেশি লাগে। চট্টগ্রামে টিনজাত ফলের একটি প্রজেক্ট করতে গেলে একশ থেকে দেড়শ কোটি টাকা লাগবে। ব্যক্তি পর্যায়ের উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে এত বড় বিনিয়োগ কষ্টসাধ্য। এজন্য সরকারকে সফট লোনের ব্যবস্থা করতে হবে। টেকনোলজি ট্রান্সফারের জন্য সরকারকে পলিসিগত সহযোগিতা দিতে হবে।
তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যে এগ্রো প্রসেসড ফুড রপ্তানির ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ ইনসেনটিভ দিয়েছে। এতে গত ১০ বছরে এ শিল্পে দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে। এটির কারণে এগ্রো বেইজড শিল্প অনেকটা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ থেকে বিস্কুট, চিপস, কুকিজ, ড্রিংকস রপ্তানি হচ্ছে। এগুলোকে অনেক দূর এগিয়ে নিতে হলে আরও সহায়তা দিতে হবে।
ছৈয়দ মুহাম্মদ শোয়াইব হাছান
ভারতের জিএসটির আদলে ভ্যাট সিস্টেম দরকার
বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসরস্ এসোসিয়েশনের (বাপা) সহ-সভাপতি ও হিফস এগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ বিডির স্বত্বাধিকারী ছৈয়দ মুহাম্মদ শোয়াইব হাছান ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট ভাবনায় বলেছেন, ভারতের জিএসটির (গুডস অ্যান্ড সার্ভিস ট্যাক্স) আদলে আমাদের দেশে ভ্যাট সিস্টেমকে সাজানো হলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে। জিএসটিতে মিনিমান ট্যাঙ নামের কোনো ট্যাঙ নেই। স্তরে স্তরে ভ্যাট বসানো হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে এগ্রো বেইজড শিল্পে ১৫ শতাংশ মিনিমাম ট্যাঙ আরোপিত রয়েছে। আগামী ২০২১-২২ বছরের বাজেটে মিনিমাম ট্যাঙ ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হোক।
তিনি বলেন, আমাদেরটি এগ্রো বেইজড শিল্প। এগ্রো প্রসেসড ফুড রপ্তানিতে অনেক বাধা রয়েছে। বিশেষত আমাদের পণ্যের গুণগত মানের পাশাপাশি বিদেশিরা আমাদের কাছে আসছে কম মূল্যের জন্য। আন্তর্জাতিক বাজারে চীন, থাইল্যান্ড কিংবা ভিয়েতনামের সাথে পাল্লা দিতে কষ্ট হয়ে যায়। ওইসব দেশে নগদ সহায়তার ডিউটি ড্রব্যাক সুবিধা রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে কেউ নগদ সহায়তা পেলে তারা ডিউটি ড্রব্যাক সুবিধা পান না।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে প্যাকেজিং পণ্য উৎপাদন হয় না। খাদ্যের ফ্লেভার উৎপাদিত হয় না। এসব কাঁচামাল শতভাগ আমদানি করতে হয়। স্থানীয় বাজারে বিক্রিযোগ্য পণ্য উৎপাদনের জন্য কাঁচামাল আমদানিতে যে হারে শুল্ক দিতে হয়, রপ্তানি পণ্য উৎপাদনের জন্য কাঁচামাল আমদানিতে একই হারে শুল্ক দিতে হয়। এতে পণ্যের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। তাই ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে এগ্রো প্রসেসড ফুডের রপ্তানি আয়ের ১০ শতাংশ হিসেবে আমদানিতে ডিউটি ড্রব্যাক সুবিধা রাখা প্রয়োজন। অন্যথায় রপ্তানি পণ্যের আমদানিকৃত কাঁচামালের ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা রাখা হোক।
তিনি বলেন, ভারতে একসময় ভ্যাট ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা ছিল। তারা ভ্যাটের পরিবর্তে জিএসটি সিস্টেম চালু করেছে। জিএসটিতে কোনো মিনিমাম ট্যাঙ রাখা হয়নি। একেক পণ্যে একেক হারে ট্যাঙ আরোপ করেছে। জিএসটি চালু করার পর ভ্যাটের হার কমিয়ে আদায় নিশ্চিত করার কারণে রাজস্ব ফাঁকি শূন্যের কাছাকাছি চলে এসেছে। অথচ আমাদের দেশে এগ্রো বেইজড ফুডের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ভ্যাট ১৫ শতাংশ রাখা হয়েছে। এতে ভ্যাট ফাঁকির প্রবণতা বেশি। একেক পণ্যের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় হারে ভ্যাট আরোপ করা গেলে ভ্যাটের আওতা বাড়বে এবং ভ্যাট ফাঁকির প্রবণতা কমে আসবে। বাজেটে ভ্যাটের বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।
মো. শহীদুল ইসলাম
কাঁচামাল আমদানিতে ডিউটি ড্রব্যাক সুবিধা চাই
কিষোয়ান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য শিল্পটি কৃষিনির্ভর শিল্প। স্থানীয় পর্যায় থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ থেকে শুরু করে রপ্তানি পর্যন্ত অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। ভ্যাট কমানোসহ প্রতিবন্ধকতা দূর করে বাজেটে প্রয়োজনীয় নীতি সহযোগিতা দিতে হবে। এছাড়া রপ্তানিযোগ্য কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে ডিউটি ড্রব্যাক সুবিধা দিলে খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্প আরো সম্প্রসারিত হবে।
এ উদ্যোক্তা বলেন, কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি কাঁচামাল (কৃষিজ পণ্য) নেওয়া সম্ভব হয় না। কারণ এই কাঁচামালে ভ্যাট আরোপ করা আছে। সব কৃষক ভ্যাট নিবন্ধিত নন। সে কারণে ভ্যাট নিবন্ধিত মধ্যস্বত্বভোগী প্রতিষ্ঠান থেকেই কাঁচামাল কিনতে হয়। এতে যেমন কৃষকরা সরাসরি উপকৃত হয় না, তেমনি মধ্যস্বত্বভোগী থাকায় কাঁচামালের মূল্য বেড়ে যায়। এতে এ শিল্পের পণ্য উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যায়। ২০২১-২২ বছরের বাজেটে স্থানীয় বাজারের কাঁচামালের ওপর আগে থেকে আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট কমিয়ে ৫ শতাংশে কমিয়ে আনা হোক।
তিনি বলেন, এগ্রো প্রসেসড পণ্য রপ্তানির ওপর ২০ শতাংশ ইনসেনটিভ দেয় সরকার। এই ইনসেনটিভের ওপরও পুনরায় ১০ শতাংশ এআইটি (অগ্রিম কর) কাটা হয়। আগে সেটা ৫ শতাংশ ছিল। এখন ইনসেনটিভের ওপর আরোপিত এআইটি কমিয়ে আনা হোক। তাছাড়া এ শিল্পের পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ কাঁচামাল দেশীয় উৎস থেকে ব্যবহার করা হয়। অবশিষ্ট ২০ শতাংশ কাঁচামাল ও প্যাকেজিং বিদেশ থেকে আমদানি করে ব্যবহার করতে হয়। এক্ষেত্রে ২০ শতাংশ আমদানির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ট্যাঙ দিতে হয়। খাদ্যপণ্যের কেমিক্যাল, প্যাকেজিংসহ আমদানিতে ক্ষেত্রবিশেষে ২০ থেকে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত ডিউটি দিতে হয়। পোশাক শিল্পে কাঁচামাল আমদানি করে উৎপাদিত পণ্য রপ্তানি করলে ব্যবসায়ীরা ডিউটি ড্রব্যাক সুবিধা পান। এগ্রো প্রসেসড শিল্পের জন্য ডিউটি ড্রব্যাক সুবিধা দেওয়া হলে এ শিল্পের আরো সম্প্রসারণ ঘটবে। সব মিলিয়ে ১০ শতাংশ ডিউটি ড্রব্যাক সুবিধা দিলে এ খাতের ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন।
মুহাম্মদ কফিল উদ্দিন
দ্বৈত ভ্যাট রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে
ফুলকলি ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক ও পিউরিয়া ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ কফিল উদ্দিন বলেছেন, খাদ্য তৈরির কাঁচামালের ওপর ভ্যাট দিতে হয়। উৎপাদিত পণ্যের ওপরও ভ্যাট আছে। আবার বছরের একেক সময়ে ভ্যাট
আদায়কারী কর্তৃপক্ষ নানা কৌশলের আশ্রয় নিয়ে নতুন নতুন ভ্যাট আরোপ করে। এতে একই পণ্যের ভ্যাট কয়েকবার দিতে হয়। দ্বৈত ভ্যাটের এই প্রক্রিয়াটা বর্তমানে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য শিল্প সম্প্রসারণে প্রধান অন্তরায়। আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে দ্বৈত ভ্যাট রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে।
তিনি বলেন, খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পটি কৃষিজ পণ্যনির্ভর শিল্প। এ শিল্পে প্রায় ৮০ শতাংশ কাঁচামাল ব্যবহার হয় দেশীয় উৎস থেকে। অন্যগুলো বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। বিদেশ থেকে কাঁচামাল আমদানি করে বন্দর দিয়ে ছাড় করাতে দীর্ঘসূত্রতায় পড়তে হয়। এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সরকারের নীতিগত সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য শিল্পও অংশীদার। এ শিল্পে কর্মসংস্থানও রয়েছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক। এই শিল্প সম্প্রসারণ করা গেলে নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। তাই এগ্রো বেইজড এই শিল্পের সম্প্রসারণে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে। করোনাকালীন সরকার শিল্পের জন্য প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। অথচ এগ্রো প্রসেসড শিল্পে আমরা কোনো প্রণোদনা পাইনি। এ শিল্পের জন্য ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে আলাদা প্রণোদনা রাখার দাবি জানান তিনি।