নগরের হাজারী গলিতে বলরাম চক্রবর্তী বলরাম নামে এক ব্যক্তি টাকার বিনিময়ে করোনার টিকা দিচ্ছেন, এমন অভিযোগ ওঠার পর তা খতিয়ে দেখতে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)।
আজ রোববার (১১ জুলাই) গঠিত কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে মেয়র বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশনা দেয়া হয়। এ বিষয়ে অফিস আদেশ জারি করেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম।
চসিকের সচিব খালেদ মাহমুদকে আহবায়ক করে গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব করা হয় স্পেশাল ম্যজিস্ট্রেট জাহানারা ফেরদৌসকে। কমিটির অন্য সদস্যরা হচ্ছেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুমনী আক্তার, চসিকের আইন কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. ওয়াজেদ চৌধুরী অভি।
এদিকে হাজারী গলি এলাকায় বলরাম চসিকের ‘অস্থায়ী পরিচ্ছন্ন কর্মী’ বলে পরিচিত। তবে বলরাম চসিকের কর্মচারী নন বলে দৈনিক আজাদীকে জানিয়েছেন চসিকের উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো. মোরশেদুল আলম চৌধুরী।
হাজারী গলিতে টিকা মারার অভিযোগ ওঠার পর গত ৬ জুলাই চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী দৈনিক আজাদীকে বলেন, সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে যেসব টিকা দেয়া হয় তার নথিপত্র সংরক্ষিত থাকে। আমাদের কাছে টিকার সব ভায়ালের হিসাব আছে। হিসাবের বাইরে কিছু নাই। তাই সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে দেয়া টিকা বাইরে যাওয়ার সুযোগ নাই।
তিনি বলেন, হাজারী গলিতে টিকা দেয়ার যে কথা বলা হচ্ছে তা যদি সঠিক হয় তাকে আইনের আওতায় আনা উচিত। সে যে হোক না কেন। সে টিকা পেয়েছে কোথায়? ভায়ালে পানি ঢুকিয়ে মানুষকে মারছেন কি না সেটাও তো দেখা দরকার। তাছাড়া মানুষই বা ওখানে টিকা মারতে যাবেন কেন? সরকারি বাদে অন্য কোথাও থেকে তো টিকা মারার ব্যবস্থা নাই। তাহলে দুই পক্ষই সমান অপরাধী।