আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম–৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ নির্বাচন কমিশনে হলফনামা জমা দিয়েছেন। হলফনামায় তিনি পেশা উল্লেখ করেছেন শিক্ষকতা ও ব্যবসা, বর্তমানে একাদশ জাতীয় সংসদের এমপি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী। শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করেছেন পিএইচডি। হলফনামায় হাছান মাহমুদ কৃষিখাত থেকে বাৎসরিক আয় দেখিয়েছেন ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা, বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান ও অন্যান্য ভাড়া বাবদ নিজ নামে বাৎসরিক আয় দেখিয়েছেন ১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা এবং তাঁর উপর নির্ভরশীলদের আয় দেখিয়েছেন ২ লাখ ১০ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে নির্ভরশীলদের আয় ২ লাখ ৭৪ হাজার টাকা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত থেকে নির্ভরশীলদের আয় ১ লাখ ৫২ হাজার টাকা, ব্যাংক ও অন্যান্য খাতে সম্মানি বাবদ আয় দেখিয়েছেন ১ লাখ ২২ হাজার ২৬৩ টাকা, নির্ভরশীলদের আয় দেখিয়েছেন ৪ লাখ ২১ হাজার ৩৩৩ টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজ নামে মোহাম্মদ হাছান মাহমুদের নগদ টাকা আছে ৫ লাখ ১০ হাজার টাকা, স্ত্রীর নামে আছে ৪০ হাজার টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিজ নামে জমা ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা, স্ত্রীর নামে ৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা, বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এঙচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির শেয়ার নিজ নামে ৭ লাখ ১২ হাজার ২৫০ টাকা এবং স্ত্রীর নামে মেসার্স বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসেস কোম্পানিজের শেয়ার ৯৭ হাজার ৯৫০টি শেয়ার প্রতিটি ১০ টাকা হারে ৯৭ লাখ ৯ হাজার ৫০০ টাকা, ৯৭ লাখ ৬৯ হাজার ৫০০ শেয়ার প্রতিটি ১০ টাকা হারে ৯ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার টাকা, নির্ভরশীলদের নামে ৫০ হাজার শেয়ার প্রতিটি ১০ হারে ৫ লাখ টাকা, স্বর্ণ ও অন্যান্য মূল্যবান ধাতু ও পাথর নির্মিত অলঙ্কার নিজ নামে উল্লেখ করেছেন ৫ ভরি ও স্ত্রীর ৫০ ভরি। এসব বিয়ের সময় উপহার হিসেবে পেয়েছেন উল্লেখ করেছেন। এছাড়া ইলেকট্রনিক সামগ্রী নিজ নামে ৭০ হাজার টাকা ও নিজ নামে ৪৫ হাজার টাকার আসবাবপত্র রয়েছে উল্লেখ করা হয়। মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক থেকে ঋণ দেখিয়েছেন ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা, অন্যান্য জামানতবিহীন ঋণ ৯১ লাখ টাকা এবং ভাইদের কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা ঋণসহ মোট ২ কোটি ২৮ লাখ টাকা ঋণ রয়েছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করেন। স্থাবর সম্পদের মধ্যে ৩১০ শতক কৃষি জমি পরিবার থেকে দানপত্র হিসেবে পেয়েছেন বলে উল্লেখ করেন। এছাড়া অকৃষি জমি হিসেবে নিজ নামে পাঁচলাইশ থানার খুলশী মৌজায় ১৬ লাখ ৯৫ হাজার টাকায় ৬ কাঠা জমি, পূর্বাচলে ৭ দশমিক ৫ কাঠা প্লট (২০০১ সালে প্রবাসী বাংলাদেশী কোটায় আবেদনকৃত ২০০৭ সালে বরাদ্দপ্রাপ্ত এবং কিস্তির মাধ্যমে পরিশোধের পর ২০১৯ সালে রেজিস্ট্রিকৃত)। এছাড়া স্ত্রীর নামে গাজীপুরে ৩ কাঠা জায়গার দাম উল্লেখ করেছেন ৩ লাখ ৮৫ টাকা। এছাড়া নিজ নামে পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত দুই কাঠা জমির চার ভাগের এক অংশ, বর্তমানে দালান নির্মাণের জন্য হস্তান্তরিত। স্ত্রীর নামে সিরাজদ্দৌলা রোডে দালানসহ এক গন্ডার একটু বেশি জায়গা, ক্রয়মূল্য দেখিয়েছেন ৩৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া নিজ নামে ৫.৬ কাঠা জমির ওপর দালান, দানপত্র সুত্রে প্রাপ্ত, মূল্য নাই, একটি ডুপ্লেঙ ঘরের মূল্য দেখিয়েছেন ৪৭ লাখ ৮৩ হাজার টাকা (২০০৪ সাল থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে কিস্তিতে ক্রয়কৃত)।