নগরীর সদরঘাট এলাকায় মারধর, গুলি বর্ষণ, ককটেল ও বিভিন্ন বিস্ফোরক দ্রব্য দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটানোর অভিযোগে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ ২৬৫ জনের বিরুদ্ধে
মামলা হয়েছে। এতে অজ্ঞাত আরো ৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। গত সোমবার রাতে মোহাম্মদ মোমেন হোসেন জয় নামে এক ব্যবসায়ী বিস্ফোরক আইনে মামলাটি দায়ের করেন। তিনি লোহাগাড়া উপজেলার বাসিন্দা।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন সাবেক হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাবেক সংসদ সদস্য মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, সাবেক এমপি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, সাবেক সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, সাবেক এমপি আবদুচ ছালাম, কুমিল্লার সাবেক সিটি মেয়র তাহসিন বাহার সূচনা, সাবেক এমপি মুজিবুর রহমান, সাবেক এমপি মহিউদ্দিন বাচ্চু, সাবেক এমপি আবু রেজা নদভী, তার স্ত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরী ও যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর।
সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রমিজ আহমদ বলেন, মামলাটি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ৪ আগস্ট সকাল ১১টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১০টা পর্যন্ত তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছিলেন। সে সময় নগরীর সিটি কলেজের সামনে থেকে ইসলামিয়া কলেজ মোড়সহ আশপাশের অলি–গলি থেকে বাঁশের লাঠি, কাঠের লাঠি, ইট–পাথর, লোহার রড ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ সজ্জিত হয়ে আসামিরা এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে এবং গুলি বর্ষণ, ককটেল ও বিভিন্ন বিস্ফোরক দ্রব্য দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতংক সৃষ্টি করে। এছাড়া আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী নারী শিক্ষার্থীদের মারধর, অশ্লীল গালিগালাজ ও অশ্লীল ইঙ্গিত করা হয়। উপস্থিত জনতার সামনে নারী শিক্ষার্থীদের হেনস্থা করা হয় এবং গণধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়। আসামিরা ঘটনাস্থলের আশপাশে থাকা দোকানদার–কর্মচারীদের ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তাসহ শান্তিপূর্ণ মিছিলে অংশগ্রহণকারী ছাত্র–জনতা ও সাধারণ জনমানুষের মনে ভীতি সঞ্চারের জন্য সড়কে থাকা বাস, সিএনজি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দিয়ে আনুমানিক ১০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতিসাধন করে।