হাইভোল্টেজ ম্যাচে মোহামেডানের বড় জয়

স্পোর্টস ডেস্ক | রবিবার , ১৬ মার্চ, ২০২৫ at ৪:৫৩ পূর্বাহ্ণ

প্রথম ম্যাচে গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে হারের পর বদলে গেছে মোহামেডান। ঢাকা লিগের হাইভোল্টেজ ম্যাচে শনিবার লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে হারিয়ে টানা চতুর্থ জয় তুলে নিয়েছে তারা। শনিবার শক্তিশালী দল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে ৯৪ রানে জয়লাভ করে মোহামেডান। আগে ব্যাটিং করে মোহামেডান ২৫৩ রান সংগ্রহ করে। জবাবে মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাসকিন আহমেদের বোলিংয়ে রূপগঞ্জের ইনিংস ১৫৯ রানেই থেমে যায়। এই জয়ে মোহামেডান টেবিলের তিনে উঠেছে।

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় মোহামেডান। তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ২৫৩ রান সংগ্রহ করতে পারে তারা। মাঝারি মানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের ওপেনার তানজিম হাসান তামিম (১১) দ্বিতীয় ওভারেই মিরাজের শিকার হন। পঞ্চম ওভারে তাসকিনের শিকারে পরিণত হন সৌম্য সরকার। ৪ বল খেলে কোনও রান তুলতে পারেননি এই বাঁহাতি। এক ওভার ব্যবধানে সাইফও (১১) সাজঘরে ফেরেন। তাকে বিদায় দেন তাইজুল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলে আসার পর সব পেসারদের বিশ্রাম দিয়েছিল বিসিবির মেডিকেল বিভাগ। বিশ্রাম শেষে সবাই ম্যাচে ফিরলেও অপেক্ষায় ছিলেন তাসকিন। শনিবার সেই অপেক্ষা দূর হয়েছে। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে মাঠে নেমে দারুণ বোলিং করেছেন তিনি। ৩৩ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়ে রূপগঞ্জের ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে দিয়েছেন। এছাড়া রূপগঞ্জের ব্যাটিং লাইনআপ গুঁড়িয়ে দিতে ভূমিকা রেখেছেন মিরাজও। অবশ্য ৫৭ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর জাকের আলী অনিক ও শেখ মেহেদী হাসান মিলে মোহামেডানকে চাপে ফেলে দিয়েছিলেন। দু’জনের ৫৮ রানের ইনিংসের পর স্বস্তি ফিরে মোহামেডানের ড্রেসিং রুমে। ৪৬ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলে আউট হন জাকের আলী। এরপর তাসকিনের তৃতীয় শিকার হিসেবে মেহেদী ৪৬ রানে আউট হতেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় মোহামেডান। ৩৭.২ ওভারে রূপগঞ্জ ১৫৯ রানে থেমেছে। মিরাজ ৩৮ রানে চার উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন। তাসকিনের শিকার তিনটি উইকেট। এছাড়া সাইফউদ্দিন দুটি ও তাইজুল ইসলাম নেন একটি উইকেট।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে তামিম ইকবাল ও রনি তালুকদার মিলে মোহামেডানের শুরুটা একেবারে খারাপ করেননি। দলীয় ৪৮ রানের মাথায় ওপেনার তামিমকে (২৮) হারায় তারা। এরপর রনি ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন মিলে ২৯ রানের জুটি গড়েন। রনি আউট হন ৩৬ রানে। তৃতীয় উইকটে অঙ্কন ও তাওহীদ মিলে ৬৩ রানের জুটি গড়ে কিছুটা হলেও প্রতিরোধ গড়েন। ৬৭ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন অঙ্কন। এরপর মুশফিকুর রহিম () ও আরিফুল ইসলাম (১৫) দ্রুত আউট হলে চাপে পড়ে মোহামেডান। মুশফিক তৃতীয়বারের মতো ব্যাটিং করতে নেমে ব্যর্থ হয়েছেন। ৬ষ্ঠ উইকেটে মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাওহীদ হৃদয় মিলে ৪৬ রানের জুটি গড়ে মোহামেডানের স্কোর দুইশ রানে নিয়ে যান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান আসে তাওহীদের ব্যাট থেকে। ৭৬ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৬৬ রানের ইনিংস খেলেন মিডল অর্ডার এই ব্যাটার। এছাড়া মিরাজের ২৬ বলে ২৫, সাইফ উদ্দিনের ১৬ বলে অপরাজিত ১৯ রানে মোহামেডান ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫৩ রান সংগ্রহ করে। লিজেন্ডেস অব রূপগঞ্জের বোলারদের মধ্যে শরিফুল ইসলাম ৩৮ রানে নেন চারটি উইকেট। এছাড়া তানজিম হাসান নাকিব দুটি এবং সৌম্য সরকার, চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও শেখ মেহেদী হাসান প্রত্যেকে একটি করে উইকেট নিয়েছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধস্বাধীনতা দিবস স্ট্যান্ডার্ড রেটিং দাবা টুর্নামেন্ট শুরু
পরবর্তী নিবন্ধঅতীত স্মৃতি মনে রেখে এবার সেট-পিসে মনোযোগী বাংলাদেশ