চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বন্ধ আবাসিক হলের সিট দখল নিয়ে ছাত্রলীগের দু’টি পক্ষের মধ্যে মারামারিতে দু’জন আহত হয়েছে।
তারা হলেন ২০১৯-২০ শিক্ষার্বষের শিক্ষার্থী সাব্বির ও সীমান্ত। পরের জন দর্শন বিভাগের ছাত্র।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে সোহরাওয়ার্দী হলের এ ঘটনায় আহত দু’জনকেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। বিডিনিউজ
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, এ এফ রহমান হলের কক্ষ দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক উপ-গ্রুপ ভিএক্স ও একাকার সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে সোহরাওয়ার্দী হলে একাকার গ্রুপের দুই সমর্থককে মারধর করে ভিএক্স গ্রুপ সমর্থকরা।
ভিএক্স গ্রুপের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, “কক্ষ দখল সংক্রান্ত কোনো ঝামেলা হয়নি। আমাদের প্রথম বর্ষের কিছু কর্মী রাতে সোহরাওয়ার্দী মোড়ে জড়ো হয়েছিল। পরে বাকবিতণ্ডা থেকে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি সিনিয়ররা মীমাংসা করে দিয়েছে।”
একাকার গ্রুপের নেতা সালেহ আকরাম বাপ্পি বলেন, “গভীর রাতে ভিএক্স কর্মীদের অতর্কিত হামলায় আমাদের দুই কর্মী আহত হয়েছে। রবিবার প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, “রাতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। পরে প্রক্টরিয়াল বডি বিষয়টি সমাধান করেছে। আহতদের একটি লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।”
বন্ধ আবাসিক হলে শিক্ষার্থীরা কীভাবে অবস্থান করে জানতে চাইলে প্রক্টর বলেন, “আমরা বিভিন্ন সময় হলে তল্লাশি চালিয়ে তাদের বের করে দেই। কোনো শিক্ষার্থীরই এসময়ে হলে থাকার সুযোগ নেই। ভবিষ্যতেও তল্লাশি করা হবে।”
করোনাভাইরাস মহামারীর প্রাদুর্ভাব শুরু হলে গত বছরের ১৮ মার্চ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো বন্ধ করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশকিছু হলে ছাত্রলীগের কর্মীরা অবস্থান করছে।