যুক্তরাষ্ট্রে এখন কেবল একটি
দল- ডেমোক্রেটিক পার্টি
অন্যটি রিপাবলিকান ‘কাল্ট’
বিশ্বের কোথায়ও গণতন্ত্র তার কক্ষচ্যুত হলে বিশ্ব মোড়ল যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে বড় গলায় কথা বলে। গণতন্ত্র রক্ষার দাবিতে ‘শোর’ তোলে। কিন্তু সামপ্রতিক বছরগুলিতে খোদ যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্রের যে ‘হাল’ তা দেখে মনে হয় এখন সেই মোড়লগিরি করার নৈতিক অধিকার তাদের আর নেই। কেননা ওই দেশেই গণতন্ত্রের বড্ড বেহাল দশা। নিন্দুকেরা বলেন, দশা এখন অনুন্নত তৃতীয় বিশ্বের চাইতে কোন অংশে কম যায় না। এ কথা কিন্তু একেবারে ফেলে দেয়ার নয়। একবার ফিরে তাকাই চলতি সালের ৬ জানুয়ারি ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল হিলের ঘটনায়। বিশ্বের কোন সভ্য দেশে, দেশের জনগণের দ্বারা নির্বাচিত আইনপ্রণেতাদের ঘাঁটিতে এমন অগণতান্ত্রিক, বর্বর আক্রমণের ঘটনা খুব কম ঘটেছে এবং সেই নৃশংস বর্বর আক্রমণে উস্কানি দিয়েছেন খোদ সে-দেশের তখনও ক্ষমতায় অধিষ্টিত থাকা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক পাত্র-দুধে এক ফোঁটা লেবু দিলে দুধের যেমন ‘বারোটা’ বাজে, ঠিক তেমনি কেবল এক ব্যক্তি যে একটি গণতান্ত্রিক দেশের গণতন্ত্রের কেবল বারোটা নয় চৌদ্দটা বাজাতে পারেন তা প্রমাণ করে দিলেন এই অদ্ভুত চরিত্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ধরে নিলাম ট্রাম্প কোন বিচার্যেই একজন স্বাভাবিক ব্যক্তি নন, তার মাথার ঠিক নেই। কিন্তু প্রায় ছয় কোটি মার্কিন জনগণের মাথা কেন গুলিয়ে গেল, যারা তাকে দ্বিতীয়বারের মত ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে চেয়েছিলেন? কেন তারা এমন অন্ধ হয়ে ‘হ্যামিলনের বংশীবাদকের’ মত ট্রাম্পের পেছনে ছুটতে লাগলেন। ট্রাম্পের মুখে উচ্চারিত মিথ্যে কথাগুলিকে সত্য ধরে নিয়ে তার অনুসারীরা তাকে তাদের ‘ত্রাণকর্তা’ হিসাবে পূজা করতে শুরু করলেন। সে ভক্তি এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছায় যে ট্রাম্প যদি তাদের ১০০ তলা ভবন থেকে লাফ দিতে বলেন, তারা তা করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করবেন না। বোধকরি একেই ইংরেজিতে বলে, ‘কাল্টিজম’। এই ‘কাল্ট’ হলো একটি সামাজিক গোষ্ঠী যা এর অস্বাভাবিক ধর্মীয়, আধ্যাত্মিক বা দার্শনিক (অন্ধ) বিশ্বাস দ্বারা বা নির্দিষ্ট ব্যক্তি, বস্তু বা লক্ষ্যতে কাজ করে থাকে। ফলে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে হলেও তিনি কিন্তু এখনো রিপাবলিকান পার্টির সকল ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু। তার এখনো রয়েছে অপ্রতিরোধ্য ক্ষমতা, বলা চলে গোটা রিপাবলিকান দল এখন কেবল তার কথায় নয়, ইশারায় চলে। এখন দলের এক সময়কার রাঘববোয়াল নেতারা বিড়াল বনে গিয়ে ট্রাম্পের পিছু পিছু চলেন। ট্রাম্পের সরাসরি উস্কানির ফলে ৬ জানুয়ারির ক্যাপিটল হিল আক্রমণের ঘটনায় পুলিশ অফিসার সহ চার জন নিহত হলেও রিপাবলিকান পার্টির সকল সংসদ সদস্য ট্রাম্পের সুরে সুর মিলিয়ে বলছেন, ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটাল হিলে তেমন কিছু ঘটেনি। ক্ষমতার কী লোভ! ক্ষমতাকে আঁকড়ে ধরে থাকা চাই। আর এই ক্ষমতা ধরে রাখতে হলে তারা মনে করেন তাদের ট্রাম্পের সমর্থন প্রয়োজন। ফলে ট্রাম্প যা বলেন তারা তার সুরে সুর মিলিয়ে কিংবা তার চাইতে উচ্চ-সুরে একই কথার পুনরাবৃত্তি করেন। ভিন্ন সুরে কিছু বলেছেন কী সমস্যায় পড়েছেন, এমন কী নিজ গদী হারিয়েছেন, সে আপনি দলের ভেতর যতই ক্ষমতাবান হোন না কেন। গদী হারিয়েছেন রিপাবলিকান দলের নেতৃত্বের তৃতীয় স্থানে থাকা সিনেটর, লিজ চেইনি। তিনি ছিলেন হাউস অব রিপ্রেসেন্টেটিভসে তৃতীয় ক্ষমতাবান ব্যক্তি। তার অপরাধ তিনি সত্যি কথা বলেছেন। তিনি বলেছিলেন, ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটাল হিলে আক্রমণের ঘটনা ঘটেছিল এবং তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ‘ইমপিচ’ করার পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। তার অপরাধ তিনি ট্রাম্পের মিথ্যে ও মনগড়া কাহিনী সঠিক নয় সে কথা প্রকাশ্যে বলেছিলেন। নির্বাচনে পরাজয়ের পর ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, যা এখনো করে চলেছেন যে, ‘নির্বাচনে জোচ্চুরি হয়েছে এবং তার কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে।
যদিও বা দলের কোন কোন নেতা দল থেকে এই অভিজ্ঞ ও সিনিয়র রাজনীতিবিদকে (লিজ চেইনি) বাদ দিতে চাননি, কিন্তু কেউ সাহস করে তার পক্ষে মুখ খুলেননি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের কারণে। হায়রে গণতন্ত্র! কত ঠুনকো যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের রক্ষাকারী আজকের রিপাবলিকান দলের নেতৃবৃন্দ। লিজ চেইনি যুক্তরাষ্ট্রের ভূতপূর্ব ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেইনির মেয়ে, যিনি প্রেসিডেন্ট বুশের অধীনে ২০০১-২০০৯ সাল পর্যন্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। লিজ চেইনি যখন রিপাবলিকান দলে দাপটের সাথে বিরাজ করছিলেন তখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক জন্ম হয়নি। অথচ বিতর্কিত ও রাজনীতির বাইরে থেকে আসা এই ব্যক্তির কাছে তাকে (লিজ) হার মানতে হলো এবং সরে দাঁড়াতে হলো দল থেকে। তবে তিনি বলেন, ‘আমার সাথে যাই ঘটে থাকুক না কেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প যাতে হোয়াইট হাউসের ধারে-কাছে আর আসতে না পারেন তার জন্যে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাব’। এক টিভি সাক্ষাৎকারে লিজ চেইনি বলেন, ‘এটি ভয়ংকর ব্যাপার। ৬ জানুয়ারির মত আক্রমণ আবারো ঘটতে পারে যদি এর কোন বিচার না হয়, যদি এই ঘটনাকে এড়িয়ে যাওয়া হয়। আমাদের ভেবে দেখতে হবে গোটা জাতির জন্যে কী পরিণতি হতে পারে যেখানে একজন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তার পরাজয় এখনো মেনে নেননি এবং ক্রমাগত মিথ্যে কথা বলে আমাদের দেশের নির্বাচন পদ্ধতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছেন। ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিল আক্রমণ ঘটনায় আমরা দেখেছি তিনি কেবল উস্কানি দেননি, এমন কী যখন জরুরি হয়ে পড়েছিল তখনও কোন সাহায্য পাঠাননি এবং ‘স্টপ’ সে কথা তার অনুসারীদের উদ্দেশ্যে বলতে রাজি হননি।’ পৃথক এক সাক্ষাৎকারে লিজ চেইনিকে জিজ্ঞেস করা হয়, হাউস রিপাবলিকান পার্টি নেতা কেভিন ম্যাককার্থি ও রিপ্রেসেন্টেটিভ এলিস স্টেফানিক, যিনি দলের নেতৃত্বে তার স্থলাভিষিক্ত হন, ট্রাম্পকে সমর্থন করায় সমভাবে অপরাধী কিনা। উত্তরে তিনি বলেন, ‘তারা বটে’, তবে তারা যা করেছেন তা করতে আমি রাজি নই। আমাদের সবার একটি দায়িত্ব আছে এই মিথ্যের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো’। মডারেট ভোটিং রেকর্ড থাকা সত্বেও স্টেফানিক কেবল মাত্র ট্রাম্পের অকুন্ঠ সমর্থনের কারণে লিজ চেইনির স্থলাভিষিক্ত হতে সক্ষম হলেন। তিনি ট্রাম্পের একজন কট্টর সমর্থক। ট্রাম্পকে তোষামোদ করে স্টেফানিক বলেন, তিনি রিপাবলিকান পার্টির নেতা। ভোটাররা দলের নেতা নির্ধারণ করে এবং তারা তাকিয়ে আছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ‘ভিশনের’ দিকে। তিনি আরো বলেন, রিপাবলিকান পার্টি ডেমোক্র্যাট পার্টিকে হারানোর লক্ষ্যে বর্তমানে এক এবং ট্রাম্প রিপাবলিকান পার্টির ভবিষৎ-সফলতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। অন্যদিকে লিজ চেইনি তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে বলেন, এখন তার আফসোস হয় যে তিনি গেল- নভেম্বর নির্বাচনে ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছেন। পরবর্তী ২০২৪ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হবেন সে সম্ভাবনা উড়িয়ে না দিয়ে তিনি বলেন, তার বাবা ভূতপূর্ব ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেইনিরও একই মনোভাব। তবে কথা হলো, তার দল কতটুকু তার পেছনে থাকবে, আদৌ থাকবে কিনা সেটিই বড় প্রশ্ন।
এদিকে অনেকটা নির্বাসনে থাকলেও বসে নেই ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ হিসাবে পরিচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার শাসনামলের চার বছরে যুক্তরাষ্ট্র তো বটেই, গোটা বিশ্বের রাজনীতিকে ওলট-পালট করে দিয়েছেন এই ব্যক্তি। কোনকিছুর ধার না ধেরে নিজের খেয়াল-খুশিমত রাষ্ট্র চালিয়েছেন তিনি। সকালে কাউকে নিয়োগ দিয়েছেন তো বিকেলে মতের অমিল কিংবা তার অনুসৃত নীতির বিরুদ্ধে স্রেফ কথা বলায় তাকে চাকরিচ্যুত করেছেন। এমন ভুরি ভুরি ঘটনা ঘটেছে বিগত চার বছরে। আমেরিকায় ‘সকালে হায়ার, বিকেলে ফায়ার’ যে কথাটা প্রচলিত তা স্পষ্ট করে দেখিয়ে দিলেন জনগণের ভোটে নির্বাচিত এই প্রেসিডেন্ট। হোয়াইট হাউস থেকে হেলিকপ্টার না উড়া পর্যন্ত এক ধরনের রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষা করছিল কেবল ডেমোক্র্যাট দলীয় সমর্থকরাই নয়, অপেক্ষা করছিল গোটা বিশ্ব। কেননা তিনি ছিলেন ‘আনপ্রেডিক্টবল’। তিনি এমন ব্যক্তি যিনি বলতে পারতেন, ‘হোয়াইট হাউস ছেড়ে আমি যাব না, দেখি তোমরা কে কী করতে পার’। তিনি চেয়েছিলেন যে ভাবেই হোক ক্ষমতায় থেকে যেতে- ক্যাপিটল হিল আক্রমন করে, এমন কী মার্শাল ল ঘোষণা দিয়ে। শেষ রক্ষা তার হলোনা। তবে বিদায় নিয়ে তিনি বসে নেই। তাবৎ ষড়যন্ত্র করছেন ‘ফলস থিওরির’ মাধ্যমে ক্ষমতায় ফিরে আসার। ইতিমধ্যে নিজ-দখলে নিয়েছেন রিপাবলিকান দলকে। এখন তিনিই রিপাবলিকান দল। তাকে ঘিরেই এখন রিপাবলিকান দল চলে। তার কথায় দলের নেতা থেকে শুরু করে সংসদে মাইনরিটি সংসদীয় দলের নেতা সবাই উঠবস করেন। আর সে জন্যে কেউ কেউ বলেন আমেরিকায় এখন কেবল একটি দল। সেটি হলো ডেমোক্রেটিক পার্টি। রিপাবলিকান পার্টির মৃত্যু হয়েছে। সেটি এখন একটি ‘কাল্ট’ গ্রুপে পরিণত হয়েছে ‘রিপাবলিকান পার্টির’ ব্যানারে, ট্রাম্পের নেতৃত্বে।
আপাতঃদৃষ্টিতে রিপাবলিকান পার্টির সমস্ত নেতৃত্ব ট্রাম্পের আনুগত্য স্বীকার করে নিয়েছেন বলে মনে হলেও আসলে তেমনটি নয়। অনেকেই আছেন যারা ২০২২ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে পুনরায় লড়বেন। যে সমস্ত এলাকায় এই মধ্যবর্তী নির্বাচন হবে সে সমস্ত এলাকা হলো ট্রাম্প-অনুরাগীদের রাজ্য। সে-সমস্ত এলাকায় ও ভোটারদের কাছে ট্রাম্প ‘মেসিয়ার’ মত অর্থাৎ ত্রাণকর্তা। ডেমোক্র্যাক্ট দল থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্যে যেন ট্রাম্পই একমাত্র ব্যক্তি। অতএব নির্বাচনী বৈতরিণী পার হবার জন্যে তার (ট্রাম্প) আশীর্বাদ চাই। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ট্রাম্প থেকে মুক্তি এখনো ‘দিল্লী দূরঅস্ত’। কেননা তিনি যে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অর্থাৎ ২০২৪ সালে আবার দাঁড়াবেন সে অনেকটা নিশ্চিত। যে সমস্ত ব্যক্তির লাজ-শরমের বালাই নেই তাদের সুবিধা এই, কে কী মনে করে, তার সম্পর্কে কে কী বলছে, এমন কী গোটা বিশ্ব কী ভাবছে, তাতে তাদের কিছু যায় আসে না। তা না হলে তাকে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও বিশ্ববাসীর কাছে এমন হেনস্তা হতে হয়েছে, এতো সমালোচিত তিনি হয়েছেন, তার বিরুদ্ধে এত এত অভিযোগ, তাতে তার বিন্দু পরিমাণ লজ্জ্বা শরম থেকে থাকলে তিনি কেবল রাজনীতি নয়, যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে পালাতেন। কিন্তু এসব কিছু হয়নি, হবে না। নির্বাচনে পরাজয়ের পর সপ্তাহ কয়েক নিভৃতে সময় কাটানোর পর তিনি ফিরে এসেছেন দ্বিগুন শক্তিতে। যদিওবা টুইটার ও ফেইস বুক তার একাউন্ট বন্ধ করে দেয়ার ফলে বাইরে তার উপস্থিতি আগের মত টের পাওয়া যায়না। সাধারণত নির্বাচনে পরাজয়ের পর দল পর্যালোচনা করে কেন তাদের পরাজয় হলো এবং আলোচনা করে পরবর্তী নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করতে কী কী করণীয়। বারাক ওবামার (দ্বিতীয় দফায়) কাছে মিট রমনি হেরে যাবার পর তেমনটি ঘটেছিল। তবে এবার তেমনটি ঘটেনি। ডোনাল্ড ট্রাম্প তাদের দলের নেতাদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন যে আগামী নির্বাচনে জিততে হলে “আমাদের মারমুখী স্টাইলে এগুতে হবে। আমাদের বর্ণবাদী থিওরী ও অদৃশ্য ষড়যন্ত্রের কথা ছড়িয়ে এগুতে হবে”। আর একটি কারণ ট্রাম্প যদি পেনসিলভেনিয়া ও উইনকন্সিনে আর মাত্র এক ভাগ এবং মিশিগানে আরো তিন পয়েন্ট ভালো করতেন তাহলে ২০২০ সালের নির্বাচন জো বাইডেনের পক্ষে যেত না। ফলে রিপাবলিকান দলের নেতারা মনে করেন, তার (ট্রাম্প) রয়েছে বিশাল ভোট ব্যাংক এবং তাকে কিছুতেই খেপানো যাবেনা। ট্রাম্প যদি ২০২৪ নির্বাচন নাও করেন (যদিও বা সে সম্ভাবনা খুব কম) তারপরও রিপাবলিকানরা জানেন তার (ট্রাম্প) প্রভাব যথেষ্ট। রিপাবলিকান দলীয় সিনেটর স্কট দেশজারলাইস বলেন, ‘তার রয়েছে বিরাট প্রভাব। এখনো তার অনেক ক্ষমতা। আসন্ন ২০২২ মধ্যবর্তী নির্বাচনে আমি মনে করি তার প্রভাব অনেক থাকবে। তিনি এখনো রিপাবলিকান দলে শক্তিশালী ‘ফ্রন্ট-রানার’। দেখা যাক কোথায় গিয়ে দাঁড়ান ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেটি দেখার জন্যে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে ২০২৪ সাল তক।
লেখক : প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট