হল্যান্ড থেকে

দেশ থেকে ফিরে এসে বৃষ্টি, এমন দিনে তারে বলা যায়

বিকাশ চৌধুরী বড়ুয়া | শনিবার , ৩১ মে, ২০২৫ at ৫:৩৮ পূর্বাহ্ণ

সকালে দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা আমার চিরদিনের অভ্যেস। এ জীবনে ক’দিন সুবেহ সাদেকের মুখ দেখেছি সে হাতের কড়িতে গোনা যাবে। দেরিতে ঘুম থেকে ওঠার কারণে বাবার যে কত বকুনি খেয়েছি তার ইয়ত্তা নেই। আজও যখন ঘুম ভাঙলো তখন জানালার পর্দার ফাঁক দিয়ে বাইরের আলো ঘরের ভেতর এসে লুটোপুটি খাচ্ছে। রাতে শুতে গিয়ে প্রতিদিন জানালার পর্দাটা টেনে দেই, তবে পুরোপুরি না, একটু ফাঁক রাখি, যাতে সকালের আলোটা ঘরে প্রবেশ করে। তা না হলে অন্ধকার ঘরে আমার প্রতিদিনের সকাল যে কখন শুরু হতো তা কেবল ‘উনি’ জানেন, যিনি এই জগতের সবকিছু জানেন বলে আমাদের বিশ্বাস। বিছানা ছেড়ে পর্দা সরিয়ে বাইরে দৃষ্টি ছড়িয়ে দিয়ে দেখি বৃষ্টি পড়ছে। বৃষ্টি বলতে দেশে যেবৃষ্টির সাথে আমাদের পরিচয়, সেই বৃষ্টি নয়। ইউরোপের বৃষ্টির চরিত্র ও ধরন ভিন্ন, মাঝেমধ্যে কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া। শিশুর যেমন কান্নার নানা ধরন, বৃষ্টিরও তেমন নানা না হলেও বেশ কিছু ধরন আছে। এখন যে বৃষ্টি পড়ছে সেযেন শিশুর প্যান প্যানানির মত। এ ফুঁফিয়েফুঁফিয়ে কান্না নয়, ফুলেফেঁপে ওঠার মতও কান্না নয়। বিরক্তিকর টিপ টিপ করে পড়া বৃষ্টি। ইউরোপের বৃষ্টি নিয়ে রবি ঠাকুরের চমৎকার একটি বর্ণনা আছে। সেই কবে শত বছর আগে তিনি বিলেতে তার দেখা বৃষ্টির বর্ণনা দিয়েছিলেন, আজ এতগুলি বছর পেরিয়ে এসেও বৃষ্টির সেইধরন অনেকটা তেমন রয়ে গেছে। ‘য়ুরোপপ্রবাসীর পত্র’ গ্রন্থে রবি ঠাকুর তার দেখা বৃষ্টির বর্ণনা দিয়েছেন এইভাবে – ‘মেঘ, বৃষ্টি, বাদল, অন্ধকার, শীত এ আর এক দন্ডের তরে ছাড়া নেই। আমাদের দেশে যখন বৃষ্টি হয় তখন মুষলধারে বৃষ্টির শব্দ, মেঘ, বজ্র, বিদ্যুৎ, ঝড় হয়তাতে একটা কেমন উল্লাসের ভাব আছে; এখানে এ তা নয়, এ টিপ টিপ করে সেই একঘেয়ে বৃষ্টি ক্রমাগতই অতি নিশঃব্দ পদসঞ্চারে চলছে তো চলছেই। রাস্তায় কাদা, পত্রহীন গাছগুলো স্তব্ধভাবেই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভিজছে, কাচের জানালার উপর টিপ টিপ করে জল ছিটিয়ে পড়ছে।ইংল্যান্ড সফরের সময় কবি যে বৃষ্টিকে দেখেছেন তার সাথে দেশেরবৃষ্টির আরো চমৎকার তুলনামূলক বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “লোকের মুখে সময়ে সময়ে শুনতে পাই বটে যে, কাল বজ্র ডেকেছিল, কিন্তু বজ্রে নিজের এমন গলার জোর নেই যে তার মুখ থেকেই সে খবরটা পাই। সূর্য তো এখানে গুজবের মধ্যে হয়ে পড়েছে। যদি অনেক ভাগ্যবলে সকালে সূর্যের মুখ দেখতে পাই, তবে তখন আবার মনে হয় – ‘এমন দিন না রবে, তা জানো’।”

রবির ‘এমন দিন’ বেশি দিন স্থায়ী হয়না গোলার্ধের এ ধারে অর্থাৎ ইউরোপে। এমন দিনের অর্থাৎ রৌদ্রস্নাত দিনের দর্শন মেলে কদাচিৎ। আর তাই সূর্যি মামা দেখা দিলেই য়ুরোপীরা ঘর থেকে বের হয়ে কোথায় যাবে তার হদিস যেন খুঁজে পায় না। কেউ যায় পর্বতে, কেউ সমুদ্রের ধারে। কেউ যদিবা যায় পুবে, কেউ পশ্চিমে, উত্তরেদক্ষিণে। মোট কথা, মেরু কোনটাই বাদ যায়না। এদের দলে এখানে জন্ম ও বেড়ে উঠা আমার আত্মজআত্মজাও রয়েছে। কন্যা গেছে সুদূর জাপান, কোরিয়া, মাস খানেকের সামারছুটিতে। আত্মজ ইউরোপের পুবের একটি দেশে। তারা যখন গেছে তখন বৃষ্টি ছিল না। এই সময়টাতে বৃষ্টি হবার কথা নয়। ইউরোপে এখন সামার। কিন্তু প্রকৃতির মতি গতির কি ঠিক আছে। মানবচরিত্রের মত কত বদল হচ্ছে প্রতিদিন এর রূপ চরিত্র। দেশে এবার ‘ঝর ঝর বরিষে বারিধারা’র সাথে বার কয়েক সাক্ষাৎ হয়েছে। উল্লসিত হয়েছি। তার পেছনে কয়েকটি কারণ ছিল। প্রথমত, মার্চের শেষ থেকে শুরু করে মে মাস ছিল প্রচণ্ড গরম। গ্রীষ্মে অতিষ্ঠ স্বাভাবিক জনজীবন। খুব প্রয়োজন ছাড়া দিনের বেলায় ঘর থেকে বের হইনি। তাই এক সন্ধ্যায় হঠাৎ যখন মেঘের প্রচন্ড গর্জন, সাথে আকাশসাইজের ক্যামেরার বিজলির আলো দেখা দিলো তখন বেশ ভালোই লেগেছিল। কে বলে ‘যত গর্জে তত বর্ষে না?’ মুহূর্তে শুরু হলো আকাশভেঙেপড়া বৃষ্টি। বাসার পেছনের বেলকনির কাচের বড় সুইংডোর খুলে রেলিং ধরে দাঁড়াই। বৃষ্টির ছটা নাকেমুখে এসে লাগে। ভালো লাগে শীতল এই পরশ। গুনগুন করে উঠে মন, ‘ঝর ঝর বরিষে বারিধারা / হায় পথবাসী, হায় গতিহীন, হায় গৃহহারা।’ এই বিরামহীন বারিধারা যখন ঘরের ভেতর থাকা এই আমার মনে উল্লাস সৃষ্টিতে ব্যস্ত, তখন বাইরে যেজন পথে ছিল, কিংবা যার মাথা গোঁজার কোন ঠাঁই নেই, পথই যার ঠিকানা, এমন পরিস্থিতিতে তার দশা কী এই ভেবে মনের ভেতর যে উল্লাসের সৃষ্টি হয়েছিল তা মুহূর্তে মিইয়ে যায়। আকাশে যখন বিদ্যুৎ চমকায় তখন মায়ের কথা খুব মনে পড়ে। ছোটবেলায় আমাদের দূর সম্পর্কের এক কাকা এমন ঘনঘোর বরিষার দিনে, যখন প্রচন্ড শব্দে বিদ্যুৎ চমকাতো বলতেন, ‘তোর মা চমকায়।’ কথাটা যেবয়সে বলা, তখন ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি। পরে বুঝলাম কেন তিনি ওই কথা বলতেন। মায়ের নাম ‘বিজলী’। যিনি এই কথা বলেছিলেন তিনি অনেক আগেই গত হয়েছেন। গত হয়েছেন যাকে উদ্দেশ্য করা এই কথা বলা, সেই ‘বিজলী’, আমার মা।

দিনকার বৃষ্টির কথা বলছি, সেদিনের বৃষ্টি যেন আশীর্বাদ হয়ে ঝরেছিল। গরমে অতিষ্ঠ মানুষের জীবনে কিছুটা স্বস্তি এনে দিয়েছিল। এরপর আরো দু’সন্ধ্যা ও রাতের বেলা পড়েছিল মুষলধারে বৃষ্টি। সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরের অনেক রাস্তা ডুবে যায় পানির নিচে। সৃষ্টি করে অসহনীয় দুর্ভোগ। জনগণের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হয়। সেই প্রায় চল্লিশ বছর আগে ডেইলি লাইফে সাংবাদিকতা করতে গিয়ে বৃষ্টিতে জনগণের ভোগান্তির উপর রিপোর্ট করতে গিয়ে লিখতাম– ‘শহরের বেশ কিছু এলাকা যেমন, কাতালগঞ্জ, বাকলিয়া, কাপাসগোলা, ষোলশহর, আগ্রাবাদ, হালিশহর, চকবাজার, বহদ্দারহাট হাঁটুসমান পানির নিচে চলে গেছে।’ গেল সপ্তাহে একটি বাংলা দৈনিকের প্রতিবেদনে দেখলাম ঠিক একই ধাঁচের রিপোর্ট। যে এলাকার নাম উল্লেখ করলাম, কয়েক দশক পর এসেও দেখি ওই সমস্ত এলাকার দুর্ভোগ এখনো কাটেনি, ঠিক তেমনি রয়ে গেছে। প্রতিবেদনে লিখেছে– ‘বৃষ্টিপাতের কারণে নগরীর বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলে জলজটের সৃষ্টি হয়েছে। কোথায়ও হাঁটুপানিতে তলিয়ে গেছে সড়ক। আবার নিচু এলাকার বিভিন্ন বাসাবাড়ির নিচতলায়ও পানি ঢুকে পড়েছে।’ সীমাহীন দুর্গতি। তারপরও বর্ষা আমাকে আপ্লুত করে। টিনের ছাদে বৃষ্টি পড়ার শব্দ মনের মধ্যে এক ধরনের অজানা আনন্দের সৃষ্টি করে। মনের ভেতর যে ভাব তা মনের অন্দর থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। বাইরে এসে লুটোপুটি খেলতে চায়। মনে পড়ে সেই ছোট বেলায় পড়া– ‘আকাশ জুড়ে মেঘের খেলা,/কোথায় বা সীমানা / দেশে দেশে খেলে বেড়ায়,/কেউ করে না মানা। / বাদলা হাওয়ায় মনে পড়ে ছেলেবেলার গান/ বিষ্টি পড়ে টাপুর দুপুর,/নদেয় এলো বান।’ মনে পড়ে একবার স্কুল ছুটিতে গ্রামের বাড়ি গেছি। বেশ কিছুদিন ছিলাম সেবার। বর্ষাকাল। কয়েক দিন ধরে ঝুপ ঝুপ করে যেন আকাশ ভেঙে বৃষ্টি পড়ছে। বাড়ির পেছনে পুকুর। তখনও সেই পুকুরে সান বাঁধানো ঘাট হয়নি। ছিল খেজুর গাছ কেটে বানানো একটি ঘাট। আমাদের স্কুলকলেজ সময়ে গ্রামে এই ধরণের ঘাট প্রায় দেখা যেত। এই পুকুরেই আমার সাঁতার শেখা। বাড়ির সামনের দিকটায় একটু এগিয়ে গিয়ে যে সরকারি মাটিররাস্তা তার ধারে বেশ বড় আকারের একটি পুকুর। বৃষ্টি পড়ছে, আর আমরা কজন সমবয়েসী, খালি গায়ে মাথায় বৃষ্টি নিয়ে এক দৌড়ে সেই পুকুরের ধারে গিয়ে ঝাঁপ দিতাম। সাঁতার কাটতাম অনেকক্ষণ। জ্বর, সর্দিকাশি বা অন্য কোন ব্যামো কোনদিন ধারে কাছে আসেনি। মায়ের দিক থেকেও কোন নিষেধ ছিলনা। কী যে এক অনাবিল আনন্দ ছিল সে সব দিন, বলেকয়ে বুঝানো যাবেনা। আজকের প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের কাছে বর্ষার এই বর্ণনার কোন আকর্ষণ আছে বলে মনে হয়না। তাদের কাছে হয়তো মনে হতে পারে এ আর এমন কী, কারো কারো কাছে এও মনে হতে পারে, এ স্রেফ পাগলামি বা অনুর্বর মস্তিষ্কের অনুর্বর চিন্তাভাবনা। বৃষ্টি কি কেবল আনন্দের? না, বৃষ্টি দুঃখেরও। বৃষ্টিকে নিয়ে চার্লি চ্যাপলিনের একটা উক্তি অনেকের মত আমাকেও ভাবায়। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি সব সময় বৃষ্টিতে হাঁটতে পছন্দ করি, তাই কেউ আমাকে কাঁদতে দেখেনা।’ চার্লি চ্যাপলিনের অভিনয় আমাদের হাসায়। কিন্তু তার এই কথায় টের পাই, তার হাসির ভেতরে লুকিয়ে আছে কান্না। আমাদের সকলহাসির ভেতর কি কেবলি আনন্দ? কত কান্না লুকিয়ে আছে মানুষের কান্নার ভেতর। মানুষের কত কিছুই অজানা থেকে যায়, এই যেমন হাসির ভেতর লুকিয়ে থাকা কান্না। বৃষ্টির ফোঁটার ছন্দময় পটভূমি হলো পৃথিবীর হৃদস্পন্দন। বৃষ্টি, বৃষ্টিপড়ার শব্দ মানুষকে ভাবিয়ে তোলে, তার সুপ্ত কবি ভাবকে জাগিয়ে তোলে। তাই তো শুনি– ‘এমন দিনে তারে বলা যায় /এমন ঘনঘোর বরিষায়। / এমন দিনে মন খোলা যায় / এমন ঘনঘোর বরিষায়।/ এমন মেঘস্বরে, বাদলঝরঝরে / হীন তমসায়, বিজুলি থেকে থেকে চমকায়। / যে কথা রহিয়া গেল মনে / সে কথা আজি যেন বলা যায় /এমন ঘনঘোর বরিষায়।’ কী মনে হয়? বলা যায় কি?

ফিরে আসি কল্পলোক থেকে বাস্তবে। চীনের দুঃখ ছিল ‘হোয়াং হো’। একটা সময় এর দুকূল ছাপিয়ে বন্যা আসতো। লক্ষ লক্ষ মানুষ ভেসে যেত এই বন্যায়। তবে চীন এই দুঃখকে জয় করেছে। আমাদের দুঃখ অত বড় না। বৃষ্টিতে যে পানি জমে, তাতে কোন দুর্ঘটনা না ঘটলে মানুষ মরে না। তবে সীমাহীন দুর্ভোগ হয় তাতে কোন সন্দেহ নেই। আমি আশাবাদী। এই পরিস্থিতির উন্নয়ন হবে। পত্রিকান্তরে জানতে পারি, চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা সমস্যা দূরীকরণে ১৬ হাজার ৭৭১ কোটি টাকার চারটি মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে খাল পুনঃখনন, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, রেগুলেটর স্থাপন এবং সড়ক নির্মাণ। জানা গেছে, ৩৬টি খালের মধ্যে এই পর্যন্ত ২২২৪টি খালের কাজ শেষ হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আশাবাদী পরিস্থিতির উন্নয়ন দৃশ্যমান হবে। আমরাও আশা করি পরিস্থিতির উন্নয়ন হবে। এই প্রসঙ্গে হল্যান্ডের পরিস্থিতি নিয়ে কিছু উল্লেখ করা অসমীচীন হবে না বলে ধারণা। হল্যান্ড সমুদ্র সীমার নিচে, গোটা দেশের প্রায় ৬০% ভাগ। একটা সময় পানি ওলন্দাজদের জীবনও দুর্বিষহ করে তুলেছিল। ১৯৫৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি এক ভয়াবহ বন্যায় ১.৮৩৬ লোক মারা গিয়েছিল, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ৪৩,০০০ বসতবাড়ি, ভেসে গিয়েছিল অনেক গবাদি পশু। সেটি ছিল হল্যান্ডের ইতিহাসে সব চাইতে বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়। এরপর শুরু হয় ওলন্দাজদের পানিকে জয় করার যুদ্ধ। তারা উদ্ভাবন করে পানিকে ঠেকানোর ‘ডাইক’ বা বাঁধ গড়ে তোলার ব্যবস্থা। এই পানি নিয়ন্ত্রণ ও মনিটর করার জন্যে গড়ে তোলা হয় জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে পানি নিয়ন্ত্রণ বোর্ড। হল্যান্ডের যে কোন শহরে দেখবেন ছোটছোট খাল, নালা, এমন কী চাষাবাদের জন্যে যে জমি সেখানেও দেখা যায় পানি নিষ্কাশনের বিশেষ ব্যবস্থা। দেশব্যাপী পানিকে এমন এক জটিল পদ্ধতিতে (ডাইক বা বাঁধ) নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে যে এখন প্রতি দশ হাজার বছরে হল্যান্ডে মাত্র একবার বন্যা হবার সম্ভাবনা রয়েছে বলে পানি বিশেষজ্ঞরা জানান। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের কোন কোন রাজ্যে প্রতি একশত বছরে একবার বন্যা হবার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ইদানীং, বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রায় ফিবছর যুক্তরাষ্ট্রের কোন না কোন রাজ্যে বন্যা ঘটে চলেছে।

লেখক : সাংবাদিক, সাহিত্যিক, কলামিস্ট

পূর্ববর্তী নিবন্ধসকলের প্রিয় মিন্টু ভাই
পরবর্তী নিবন্ধবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিক উদ্যোগ অনিবার্য