চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ। সদ্য বিদায়–নেয়া বছরের আখেরি সপ্তাহে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র চট্টগ্রামে প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে ‘প্লাস্টিকের বিনিময়ে বাজার’ শীর্ষক এক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। প্রকল্পটি অভিনব তাতে কোন সন্দেহ নেই। তাতে যে তাৎক্ষণিক সাড়া পাওয়া যায় তা ছিল অনেকটা অভূতপূর্ব। প্লাষ্টিক আমাদের জীবনে নিত্য ব্যবহৃত পণ্যে পরিণত হয়েছে। অনেকটা জেনে শুনে বিষ পান করার মত। তবে এটি বিষের চাইতেও ক্ষতিকর। এই কথাটি আমরা সবাই কমবেশি জানি। কিন্তু জেনেও দোকানে গিয়ে কোন কিছু কেনার পর আশা করি যে দোকানদার প্লাষ্টিক ব্যাগে ভরে কেনা–সামগ্রীটি আমাদের হাতে গছিয়ে দেবেন। আমরা বাসা থেকে চট, কাপড় বা পাটের তৈরি শপিং ব্যাগ নিয়ে যাই না। অথচ ছোট বেলা থেকে বাবাকে দেখে এসেছি হাতে চটের ব্যাগ নিয়ে রিয়াজুদ্দিন বাজার যেতে, কাঁচা বাজার করতে। নিত্যদিনের দেখা এই দৃশ্য বদলে যায় আমরা যখন বড় হলাম তখন। দেখা মেলে যত্রতত্র প্লাষ্টিক ব্যাগের ব্যবহার। এর নানাবিধ ব্যবহারের ফলে পরিস্থিতি এমন এক পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে এটি ছাড়া যেন আমাদের জীবন অচল। প্লাস্টিক ব্যবহার আমাদের দেশে তো বটেই, গোটা বিশ্বের পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট করে চলেছে প্রতিনিয়ত। প্লাষ্টিক এখন বাড়ি, যানবাহন, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, প্যাকেজিং এবং আরো নানা ক্ষেত্রে দেদাসে ব্যবহৃত হয়। দৈনিন্দন বাজারে আমরা মাছ থেকে শুরু করে আলু, ডিম, মাংস, চাল ডাল অর্থাৎ প্রতিটি দ্রব্যাদি কেনার ক্ষেত্রে ব্যবহার করি প্লাস্টিকের ব্যাগ। তারপর ফেলে দেই বাড়ির ময়লার পাত্রে কিংবা রাস্তার ধারে, নালা ও ডোবায়। কেবল কী তাই? আমরা নিত্যদিন নদী, সমুদ্রে মাছ, জলজ প্রাণীকে গলায় প্লাষ্টিক আঁটকে গিয়ে মরতে দেখি। দেখি প্লাষ্টিক ঠোঙা, মাছ ধরার জাল গলায় আঁটকে করুনভাবে সামুদ্রিক পাখি, তিমি ও অন্যান্য জলজ প্রাণীদের শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যুবরণ করতে। এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, প্রতি বছর বিশ্বে ৫০০ বিলিয়ন প্লাষ্টিক ব্যাগ ব্যবহৃত হয়। গোটা বিশ্বে ১৯৫০ সাল থেকে এই পর্যন্ত ৮.৫ বিলিয়ন টনের বেশি প্লাষ্টিক দ্রব্যাদি উৎপাদিত হয়েছে যার ৬০% শতাংশের শেষ–ঠিকানা হয়েছে, হয় জমি কিংবা নালা, নদী, সমুদ্রে। এই প্লাষ্টিক ব্যবহারের ফলে যে কেবল প্রকৃতির ক্ষতি হচ্ছে না, ক্ষতি হচ্ছে মানব দেহেরও।
প্লাষ্টিক ব্যবহারের ভয়াবহতা নিয়ে জনগণের মাঝে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ইউরোপীয় ডায়াসপোরা সংগঠন ‘বাসুগ’ বিগত বছরগুলিতে ইউরোপের কয়েকটি শহরে বেশ কয়েকটি সিম্পোজিয়াম, আলোচনা ও গোল–বৈঠকের আয়োজন করেছিল। সে সমস্ত অনুষ্ঠানে যে সমস্ত তথ্য জানা গিয়েছিল তা ছিল আক্ষরিক অর্থে ভবাবহ। আমরা যে সমস্ত প্লাস্টিক ব্যাগ বা অন্যান্য প্লাষ্টিক দ্রব্যাদি ব্যবহার করে থাকি তা মূলত: ‘নন বায়োডিগ্রেডেবল’ অর্থাৎ প্লাষ্টিক পানি বা মাটির সাথে মিশে যায় না। প্লাষ্টিক পুরোপুরি গলে বা মিশে যেতে সময় নেয় প্রায় ৫০০ বছর। এ থেকে বুঝা যায় প্লাষ্টিক আমাদের জীবনকে, এই গ্রহকে কীভাবে নষ্ট করে চলেছে দিনের পর দিন। আর এই কাজটি জেনে, না–জেনে করে চলেছি আমরা যারা পৃথিবীর সেরা জীব হিসাবে নিজেদের দাবি করি। প্লাষ্টিক গলায় ফেঁসে গিয়ে প্রতিদিন যে অসংখ্য সামুদ্রিক মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণী মারা যাচ্ছে তার জন্যে দায়ী আমরা। প্লাস্টিকের মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু রাসায়নিক, যেমন বিসফেনল এ, থ্যালেটেস ও আগুন প্রতিরোধক। এই সমস্ত রাসায়নিক উপাদান মানুষের স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ‘বাসুগ‘ আয়োজিত এই সমস্ত সেমিনার, সিম্পোজিয়ামে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা প্লাষ্টিক ব্যাগ ব্যবহারের পরিবর্তে চট বা পাটের তৈরী ব্যাগ ব্যবহারের পরামর্শ দেন। কিন্তু চট বা পাটের ব্যাগ ইউরোপে সহজলভ্য নয়। অন্যদিকে, চটের ব্যাগ যে বাজারে রয়েছে সেই ধারণাও ইউরোপে বসবাসকারী অনেকের নেই। জার্মানির বন শহরে অনুষ্টিত বাসুগের এক সিম্পোজিয়ামে বাংলাদেশী বিজ্ঞানী ড. মোবারক হোসেন খান অনলাইনে যুক্ত হয়েছিলেন ঢাকা থেকে। তিনি ওই অনুষ্ঠানে তার উদ্ভাবিত ‘সোনালী ব্যাগ’ আবিষ্কারের কথা উল্লেখ করেছিলেন। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের জন্যে বেশ কিছু সোনালী ব্যাগও তিনি পাঠিয়েছিলেন ঢাকা থেকে। দেখতে সম্পূর্ণ প্লাষ্টিক ব্যাগের মত এই ব্যাগ সম্পর্কে তিনি দাবি করেছিলেন যে, ‘সোনালী ব্যাগ‘ সম্পূর্ণভাবে পরিবেশ– বান্ধব এবং এর কোন ক্ষতিকর প্রভাব নেই। জার্মানিতে অনুষ্ঠিত ওই সিম্পোজিয়ামের বছর দুয়েক পর তিনি হল্যান্ড এসেছিলেন। অত্যন্ত বিনয়ী ও বন্ধুসুলভ এই খ্যাতিমান বিজ্ঞানী ফোনে আমার সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। তিনি উঠেছিলেন বন্দর নগরী রটরডামে তার এক পরিচিতের বাসায়। এক শীতের সন্ধ্যায় স্বস্ত্রীক গিয়েছিলাম তার দেয়া ঠিকানা অনুয়ায়ী সে বাসায়। সেখানে দেখা তার ব্যাংকার স্ত্রী ও তাদের মেয়ের সাথেও। দীর্ঘ আড্ডা হয়েছিল সে সন্ধ্যায় বিজ্ঞানী ড. মোবারক হোসেন খান ও তার স্ত্রীর সাথে। স্বাভাবিক কারণে আমাদের আলাপের গোটা অংশ জুড়ে ছিল তার উদ্ভাবিত ‘সোনালী ব্যাগ’, যা কিনা প্লাস্টিকের পরিবর্তে ব্যবহার করা যায়। তিনি জানিয়েছিলেন ফান্ডের অভাবে কাজটা এগিয়ে নিয়ে যেতে সমস্যা হচ্ছে। বিদায় বেলায় দেশ থেকে সাথে আনা বেশ কয়েকটি নানা সাইজ ও নানা রঙের ‘সোনালী ব্যাগ‘ আমার হাতে দিয়ে বলেন, ‘এই নিয়ে দেখেন ইউরোপে কিছু করা যায় কিনা।’ কিন্তু একই কারণে (ফান্ডের অভাব) আমাদের দিক থেকেও তেমন কিছু আর করা হয়ে উঠেনি। তার দিক থেকে এই নিয়ে আর কোন অগ্রগতি হয়েছে কিনা জানা হয়নি। কথা দিয়েছিলাম দেশে গেলে তার সাথে দেখা করবো। তিনি ফোনও করেছিলেন বার কয়েক। কিন্তু দেশে গেলেও ব্যস্ততার কারণে ব্যাটে–বলে মেলেনি, তার সাথে সাক্ষাৎ আর হয়ে উঠেনি।
সুখের বিষয় পরিবেশ সচেতনায় সামপ্রতিক সময়ে বাংলাদেশে সরকারি উচ্চ পর্যায়ে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করলাম। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনাকে ‘প্লাষ্টিক–মুক্ত অঞ্চল’ হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দ রিজওয়ানা হাসানের নেতৃত্বে নেয়া এই পদক্ষেপটি যে একটি অনুপ্রেরণামূলক উদাহরণ স্থাপন করেছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। আশা করি অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়েও অনুরূপ পদক্ষেপ নেয়া হবে সামনের দিনগুলিতে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র যখন ‘প্লাস্টিকের পরিবর্তে বাজার’–এর মত চমৎকার একটি অনুপ্রেরণামূলক উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন, তিনি চাইলে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয়ের মত চসিককেও ‘প্লাষ্টিক মুক্ত এলাকা’ হিসাবে ঘোষণা দেয়া যায় কিনা এই নিয়ে চিন্তা–ভাবনা করতে পারেন। উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ঘোষণা দিয়েছিলেন যে দেশের সুপারমার্কেটগুলিতে পলিথিন ও পলিপ্রোপিলিন শপিং ব্যাগ ব্যবহার ও বিতরণ ১ অক্টবোর থেকে নিষিদ্ধ করা হবে। সেই ঘোষণা কতটুকু কার্যকর হয়েছে বা হচ্ছে জানা নেই। তবে ঘোষণা বাস্তবায়িত হচ্ছে কিনা তা তদারকির জন্যে রাজধানীর কয়েকটি বাজারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গিয়েছিলেন বলে পত্র–পত্রিকায় জেনেছি। এই প্রসঙ্গে কেউ কেউ এই বলে অভিমত প্রকাশ করেন যে, কেবল খুচরা বাজারে গেলেই প্লাষ্টিক ব্যাগ ব্যবহার বন্ধ করা যাবেনা, দীর্ঘদিনের এই সমস্যা সমাধানে এর গোড়ায় যেতে হবে। যেখানে এর উৎপাদন সেই পয়েন্টে গিয়ে দেখতে হবে, এর উৎপাদন কীভাবে বন্ধ করা যায়, বন্ধ করলে এর বিকল্প কী সেটিও দেখতে হবে। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রসেস। হুট্ করে কিংবা রাতারাতি ব্যবহার বা উৎপাদন বন্ধ করা সম্ভব নয়। তবে নিঃসন্দেহে বর্তমান সরকারের এই পদক্ষেপ প্রশংসার দাবি রাখে এবং এই উদ্যোগকে স্থায়ী রূপ দিতে গেলে এটি একটি জাতীয় আন্দোলনের অনুঘটক হিসাবেও কাজ করবে বলে ধারণা।
ফিরে আসি চসিক ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের ‘প্লাষ্টিকের পরিবর্তে বাজার প্রকল্পে’। প্রকল্পটি পাইলট আকারের হলেও এর মধ্যে সম্ভাবনার আলো দেখি। পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে জানতে পারি, প্রকল্পের উদ্বোধনী দিনেই মোট ৫ মেট্রিক টন পরিত্যক্ত প্লাষ্টিক সংগ্রহ করা হয়। এগুলি সংগ্রহ করেছেন স্থানীয় প্রান্তিক পরিবারের সদস্যরা যাদের সংখ্যা প্রথম দিন ছিল ৫০০। প্রান্তিক লোকজন প্লাস্টিক জমা দিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় বাজার করতে পেরে উচ্ছসিত বলে সংবাদে প্রকাশ। ধারণা আগামীতে অন্যান্যরাও উৎসাহী হয়ে উঠবেন এবং চসিক ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের এই প্রকল্প এগিয়ে যাবে। আবারো বলতে হয়, চট্টগ্রাম নগরীতে সামান্য বৃষ্টি হলে যে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় তার পেছনের অন্যতম কারণ প্লাস্টিক ব্যাগ ও ব্যাগে ময়লা–আবর্জনা ভর্তি করে নালা–নর্দমা, খাল–ডোবায় ফেলা। প্লাস্টিককে শহরের জলাবদ্ধতার মূল কারণ হিসাবে আখ্যায়িত করে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘প্লাষ্টিক–পলিথিনের কারণে শহরের বিভিন্ন খাল–নালায় পানি জমে থাকে। প্লাষ্টিক–পলিথিন যদি আমরা বর্জন করতে পারি, তাহলে জলাবদ্ধতার স্থায়ী একটি সমাধান আমরা পাবো। আমরা যদি প্লাস্টিক ব্যবহার না করি, শহরকে প্লাষ্টিক–মুক্ত রাখতে পারি তাহলে একটি সুন্দর ইকো–ফ্রেন্ডলি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবো।’ রিসাইক্লিং–র উপর গুরুত্ব আরোপ করে সিটি মেয়র বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্লাষ্টিক পানির বোতলের পরিবর্তে জগ বা কাঁচের গ্লাস ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এর মধ্যে দিয়ে ধীরে ধীরে প্লাস্টিকের ব্যবহার অনেক কমে যাবে বলে তার ধারণা। বর্তমানে ইউরোপের প্রায় দেশে বিশেষ করে জার্মানি, সুইডেন, ফিনল্যান্ডে প্লাষ্টিক ব্যবহার অনেকটা কূন্যের পর্যায়ে। সেখানে রেস্টুরেন্ট–হোটেলে পানি বা কফি দেয়া হয় কাচের গ্লাস বা কাচের জগে, কফি বা চা কাচ বা কাগজের কাপে। লেখা শেষ করবো একটি ঘটনার উল্লেখ করে। আজ থেকে ৩৩ বছর আগে সন্ধ্যাকালীন ডাচ ভাষা স্কুলে সহপাঠিনী ছিল এক জার্মান তরুণী। কফি ব্রেকের সময় আমরা সবাই যখন অটোমেটিক মেশিন থেকে চা বা কফি খেতে প্লাষ্টিক কাপ ব্যবহার করতাম, তখন ওই তরুণীকে দেখতাম বাসা থেকে আনা কাঁচের কাপ নিয়ে চা বা কফি খেতে। খাওয়া শেষে সে কাপটি ধুঁয়ে ব্যাগে ভরে নিতো। ভাবি সেই তিন দশক আগে ওই জার্মান তরুণীটি পরিবেশ নিয়ে কী সচেতন ছিল। অথচ তখন আমাদের অনেকের মাঝে এই কথাটা ভুলেও মাথায় আসেনি যে আমরা পরিবেশ নষ্ট করে চলেছি। পরিবেশ সম্পর্কে, প্লাষ্টিক ব্যবহারের ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেনতা জাগিয়ে তুলতে হবে আমাদের দেশের জনগণকে, নগরবাসীকে। এই দায়িত্ব কেবল সরকার বা চসিকের একার নয়, তাদের একার পক্ষে সম্ভবও নয়। জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে কোন কালক্ষেপণ না করে। আমি যদি আমার বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখি তাহলে গোটা শহর, গোটা দেশ পরিছন্ন ও সুন্দর হয়ে উঠবে আপনাতেই। তাই আসুন এই কাজটি আমরা সবাই মিলে আমাদের নিজ নিজ ঘর থেকেই শুরু করি। কথায় আছে, ‘চ্যারিটি বিগিন্স এট হোম’।
(২৬–১২–২০২৪)
লেখক : সাংবাদিক, সাহিত্যিক, কলামিস্ট