হল্যান্ড থেকে

দ্বাদশ নির্বাচন ও প্রাসঙ্গিক কিছু কথা

বিকাশ চৌধুরী বড়ুয়া | শনিবার , ১৩ জানুয়ারি, ২০২৪ at ৯:৫৬ পূর্বাহ্ণ

দেশে নির্বাচন এলে সাধারণ জনগণের শংকা বাড়ে। শংকা বাড়ে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর। কেননা কখন কোথায় কার ওপর অত্যাচারের খড়গ নেমে আসে ঠিক নেই। আতংকের মাঝে তাদের অনেকে দিন কাটায়। নির্বাচনকে ঘিরে প্রাক ও নির্বাচনোত্তর সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাস, জ্বালাওপোড়াও, ককটেল ছুঁড়ে মানুষ মারা, চলন্ত বাস, ট্রেনে পুড়িয়ে নিরীহ যাত্রী হত্যার মত অমানবিক ও বর্বর ঘটনা ঘটে। যা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। দেখেছি আবারো রামুর বৌদ্ধ মন্দিরে আগুন লাগানোর অপচেষ্টা, যদিও বা সে আগুন বেড়ে উঠার আগেই থামিয়ে ফেলা সম্ভব হয়েছে। এ সমস্ত ঘটনা ঘটানো হয়েছে নির্বাচনকে ঠেকানোর জন্যে। অথচ দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চালু রাখার জন্যে নির্বাচনের আর কোন বিকল্প নেই। জ্বালাও, পোড়াও, সন্ত্রাস, হত্যা কোনোভাবেই জনগণের অধিকার আদায়ের ‘মাধ্যম’ হতে পারে না। দেশ থেকে আমরা যারা অনেক দূরে আছি, আমাদের উৎকণ্ঠা দেশে থাকা মানুষদের চাইতে কোন অংশে কম নয়। কেননা দেশে আছে আমাদের সবাইমাবাবা, ভাইবোন, বন্ধু, নিকটজন। তাদের জন্যে আমাদের থাকে উদ্বেগ। কথা ছিল নভেম্বরের মাঝামাঝি দেশে যাবো। কিন্তু দেশ থেকে নিকটজনেরা এক সুরে বারণ করে। বলে, ‘সামনে নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে দেশের রাজনৈতিক আবহাওয়া উত্তপ্ত। এই সময় না আসাই বুদ্ধিমানের কাজ। কখন কোথায় কে ককটেল ছুঁড়ে মারে ঠিক নেই। অতএব, এখন এসে কোন কাজ নেই। ঘরের মধ্যে বসে থাকতে হবে। বিরোধী দল অবরোধ, হরতালের ডাক দিচ্ছে কদিন পর পর। ঘরের বাইরে পা দেয়া বিপজ্জনক।’ তারপরও সব নাকে উপেক্ষা করে দেশে গিয়েছিলাম। বন্ধু শফিকুল আলম খানকে ফোন করে জানতে চাই বাস্তব পরিস্থিতি কেমন। আমার শঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘ওই সব কিছু না। দুএকটি ছিটেফোঁটা ঘটনা ঘটছে। চলে আসুন নির্ভয়ে। আমি কাজে গাড়ি নিয়ে বাইরে একটা কাজে গিয়েছিলাম। এইমাত্র ফিরে এলাম বাসায়।’ ভাবলাম, তিনি আওয়ামীসমর্থক, হয়তো তাই বলছেন। কিন্তু দেশে গিয়ে মনে হলো তার কথাই সত্যি। যে কদিন ঢাকা, চাটগাঁ ছিলাম, কাজের কারণে দিনের গোটা সময় ঘরের বাইরে থাকতে হয়েছে। গাড়ি নিয়ে এদিকওদিক যাওয়াআসা করতে হয়েছে। প্রায় দুসপ্তাহের অবস্থানে কোথায়ও কোন দুর্ঘটনার সামনে পড়িনি। এমন না যে একেবারে ঘটেনি। তবে ১৭ কোটি জনগণের দেশে যে ক’টি ঘটনা ঘটেছে তা একেবারে নগণ্য। তবে এইভাবে আগুনে বা বোমার আঘাতে মৃত্যু সে একটি হলেও অনাকাক্ষিত দুর্ভাগ্যজনক।

যাই হোকসব আলোচনাসমালোচনা শেষে দেশে দ্বাদশ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। দেশের কয়েকটি জায়গায় বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে নির্বাচন বানচাল করতে, জনগণের মনে ভীতি সৃষ্টি করতে, যাতে ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট না দেন সে জন্যে রাস্তায় নেমেছে বিরোধী দল। সে দিক থেকে বিরোধী দল বা গোষ্ঠী কিছুটা সফল হয়েছে সে স্বীকার করতেই হবে। ভোটের দিন হরতাল ডেকেছিল ভোটবিরোধী দলগুলি। ভোটের আগের পরের দিন ছিল ছুটি। ভোট দিতে গিয়ে খামাখা কেন বিপদের মুখে পড়া এই ভাবনা থেকে অনেকে ভোট দিতে যাননি যেমন সত্যি, আবার ছুটির কারণে অনেকে নিজ বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন সেটিও সত্যি। অনেকে আবার এই মনে করে ভোট কেন্দ্রে যাননি, সরকারি দল তো এমনিতে জিতে যাবে। গিয়ে কী লাভ ! সব কিছু মিলে শহর ছিল অনেকটা খালি। পত্রিকার রিপোর্টে দেখা যায়, শহরের চাইতে ভোটকে নিয়ে উচ্ছাস ছিল গ্রামাঞ্চলে তুলনামূলকভাবে বেশি। আমি নির্বাচনপর্যবেক্ষক নই। সাধারণ নাগরিক হিসাবে আমার দৃষ্টিতে বা বিচার্যে এবারের নির্বাচনে প্রথমে যদি কাউকে বাহবা দিতে হয়, দিতে হয় নির্বাচন কমিশনকে। নির্বাচনে কী পরিমাণ ভোটার ভোট কেন্দ্রে আসবে বা কী পরিমাণ ভোট পড়বে তা দেখভাল করার কাজ কমিশনের নয়। আগের কমিশনগুলির চাইতে এবারের নির্বাচন কমিশন অনেক দক্ষতা ও সাহসের সাথে নির্বাচন পরিচালনা করেছে সে কথা বলতেই হয়। বেশ কজন বাঘা বাঘা সরকারি দলের নেতাদের মনোনয়ন বাতিল করা থেকে শুরু করে নির্বাচনের দিন ভয়ভীতি দেখানোর কারণে কারো কারো প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। কোথায়ও কোথায়ও কারচুপি হয়েছে সে অস্বীকার করার উপায় নেই। আমাদের দেশে এমন কোন নির্বাচন হয়নি, কী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কিংবা ক্ষমতাসীন দলের অধীনেসব সময় কারচুপি হয়েছে, ব্যালট বক্স লুট হয়েছে, ভোট জালিয়াতি হয়েছে, সংঘর্ষ হয়েছে, মানুষ মারা গেছে। সেই সমস্ত ভোটঅনুষ্ঠানে সংঘটিত অঘটনের তুলনায় এবার যা হয়েছে তা অতি নগণ্য। নির্বাচন কমিশন, সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শক্ত অবস্থানের কারণে এবার ভোট সুষ্ঠুভাবে হয়েছে বলে মন্তব্য করেন ইংল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে যাওয়া বৃটিশ পলিটিক্যাল এনালিস্ট, ক্রিস ব্লাকবার্ন। বৃটিশ এই সাংবাদিক নির্বাচনপর্যবেক্ষক দলের অন্যতম সদস্য হিসাবে নির্বাচনের দিন কয়েক আগে বাংলাদেশে গিয়েছেন। উল্লেখ্য, গেল বছর মে মাসে বৃটিশ এই পলিটিক্যাল পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিক ‘ইউরোপীয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং’ টিমের অন্যতম সদস্য হিসাবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সফর করেছিলেন। একাত্তর সালে পাক বাহিনী তাদের স্থানীয় দোসরদের সহায়তায় বাংলাদেশে যে গণহত্যা ঘটিয়েছিল তা পর্যবেক্ষণ করতে এই টিম বাংলাদেশ সফর করেছিল। ডাচ পার্লামেন্টের প্রাক্তন সদস্য হেরি ফান বোমেলের নেতৃত্বে এই টিমে আমারও থাকার সৌভাগ্য হয়েছিল। ক্রিস ব্লকবার্নের কাছে ভোটের পরদিন জানতে চেয়েছিলাম, তার দৃষ্টিতে ভোট কেমন হলো। হোয়াটসাপে বার্তা পাঠিয়ে তিনি লিখলেন, ‘নির্বাচন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। একটি কার্যকর ও দায়িত্বশীল বিরোধী দল না থাকা একটি কঠিন বিষয় ছিল। কিন্তু ইসি মোটামুটি সন্তুষ্ঠ, আমরাও।’

এবারের নির্বাচনে বেশ কিছু ‘চমক’ ছিল। তার মধ্যে অন্যতম, ক্ষমতাসীন দল ও জোটের প্রায় তিন ডজন ‘বাঘা বাঘা’ নেতার অপেক্ষাকৃত কম ক্ষমতাবান বা অপরিচিত প্রার্থীর কাছে ধরাশায়ী হওয়া। নির্বাচনবিরোধীরা দাবি করেন এই নির্বাচন একতরফা বা ভাগাভাগির নির্বাচন হয়েছে। এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে অন্য পক্ষের মন্তব্য, তেমনটি হলে ক্ষমতাসীন দলের কয়েক মন্ত্রী সহ, বাঘা বাঘা কয়েক নেতা কিছুতেই নির্বাচনে হারতেন না। নৌকা প্রতীকে হেরেছেন তিন মন্ত্রী। হেরেছেন ক্ষমতাশীল আওয়ামী লীগ নেতা, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কোচেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, কুষ্টিয়া থেকে তিনবারের সংসদ সদস্য প্রাক্তন তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, পিরোজপুর ২ আসন থেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মনজু, সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সন্তান বিকল্পধারার নেতা, বি মাহী চৌধুরী, চট্টগ্রাম ১২ আসন থেকে সামশুল হক চৌধুরী, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, রংপুর থেকে জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙা, চট্টগ্রাম ১৫ আসনে দুবারের সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নদভী, নেত্রকোনা ৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল, বরগুনা ১ আসন থেকে সাতবার দলীয় মনোনয়ন পাওয়া হেভিওয়েট আওয়ামী প্রার্থী দেবনাথ শম্ভু, এমনি আরো কয়েকজন। এই সমস্ত হেভিওয়েট যে নির্বাচনে এমনভাবে হেরে যাবেন বোধকরি তারা নিজেরাও ভাবতে পারেননি। সেই জন্যে তারা যেমন অনেকটা হতবাক, তেমনি নানা প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে তাদের এই পরাজয়। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক ও স্থানীয় ভোটারদের মতে, এদের বেশির ভাগ হারার পেছনে মূল যে কারণ তা হলো, গেল নির্বাচনে বিজয়ী হবার পর থেকে স্থানীয় জনগণের সাথে তাদের কোন যোগাযোগ ছিল না অর্থাৎ জনবিচ্ছিনতা, তৃণমূলের সমস্যাসমাধানে উদাসীনতা, এবং নিজের উপর অতিরিক্ত বিশ্বাস। পাশাপাশি তাদের জিতিয়ে আনতে কেন্দ্রের নির্দেশে স্থানীয় প্রশাসন থেকে উদ্যোগের অভাব, যা বিগত নির্বাচনগুলিতে দেখা যেত। স্থানীয় প্রশাসন অনেকটা নিরপেক্ষ ছিল বলে, অনেক স্থানে আওয়ামীসমর্থকরা আক্রমণের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগের এক নেতা। তারপরও অনেকের কাছে এদের হারার ব্যাপারটি প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে এবং তারা কোনভাবেই এই ব্যাপারে হিসাব মেলাতে পারছেন না। যারা সরকারকে দোষী প্রমাণ করতে উঠে পড়ে লেগেছেন, যারা নির্বাচনকে ‘বানরের পিঠা ভাগাভাগি’ বলে দাবি করে সান্ত্বনা পাবার চেষ্টা করছেন তারা বলছেন, ‘এই সমস্ত ছিল সরকারের নির্বাচনী কৌশল মাত্র। নির্বাচন নিরপেক্ষ হয়েছে প্রমাণ করার জন্যে কিছু কিছু হেভিওয়েট সরকারি প্রার্থীকে হারানো হয়েছে।’

এই নিয়ে জানতে চেয়েছিলাম মুক্তিযোদ্ধা ও এক সময়কার সাংবাদিক ও সরকারি কর্মচারী শফিকুল আলম খানের কাছে। তার মন্তব্য, ‘অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সফলভাবে সমাপ্ত হয়েছে। এই নির্বাচন প্রতিহত করার জন্যে বিরোধী দল গত এক বছর ধরে মাঠেময়দানে খুব সক্রিয় ছিল। গত ২৯ নভেম্বর থেকে গত এক মাস তারা হরতাল থেকে শুরু করে সপ্তাহে টানা পাঁচ দিন অবরোধ/হরতালের ডাক দিয়েছে। শত শত বাস, গাড়িতে আগুন দিয়েছে। ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। রেল লাইনের ট্রেক খুলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে। ভোটের আগের দিন ত্রিশটির বেশি ভোট কেন্দ্রে আগুন দিয়েছে। তারা ভোট সেন্টারে না আসার জন্যে নানা ভয়ভীতি দেখিয়েছে ভোটারদের। অন্যদিকে তারা দেশেবিদেশে গোয়েবলসীয়কায়দায় মিথ্যা প্রচারণা চালিয়েছে।’ ভোটার উপস্থিতি কম কেন এই ব্যাপারে জানতে চাইলে রাউজানের এই বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘এত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ভোটের হার ছিল ৪০ শতাংশের উপর। এর মধ্যে ৫% অনিয়ম বা জাল ভোট এবং ৫ শতাংশ জাতীয় পার্টির ভোট ধরলে, বাকি ৩০ ভাগ আওয়ামী লীগের। এর উপর প্রায় ১৫% ভোটার ভোট কেন্দ্রে যায়নি।’ এই প্রসঙ্গে তার বক্তব্য, ‘আমার পরিবারে মোট ৪ ভোট। কিন্তু ভোট দিয়েছি কেবল আমি একা। এইভাবে ১০% ভোট যদি যোগ করি তাহলে আওয়ামী লীগের ভোট হয় প্রায় ৪০%, তারপর সুইংভোটারদের কথা বাদই দিলাম। সে হিসাবে বিএনপি সহ অন্যান্য দল নির্বাচনে এলেও আওয়ামী লীগের বিজয় ছিল নিশ্চিত।’ তার ধারণা বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে ১২০ বেশি আসন পেতো। তিনি বলেন, “বিএনপি বা বিরোধী দল যদি নির্বাচনে আসতো তাহলে প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হতে পারতো। ইতিবাচক রাজনীতিতে সংসদে থাকলে আন্দোলন বেগবান হতো, রাজনীতি অন্য ধরণের হতো, গণতন্ত্র আরো শক্তিশালী হতো। বাস্তবতা হলো, হরতাল, ভাঙচুর আর অবরোধের রাজনীতি এই যুগে ‘ভোঁতা’ হয়ে গেছে। জনগণ এখন অনেক সচেতন। জ্বালাওপোড়ার রাজনীতি জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে।” সব শেষে বলি, সবার ঊর্ধ্বে দেশ। অনেক রক্ত, অনেক ত্যাগের বিনিময়ে একাত্তরে এ দেশের জন্ম। দেশ কোন বিশেষ দলের নয়। দলবল নির্বিশেষে সবার দেশের কল্যাণে, জনগণের কল্যাণে, গণতন্ত্রকে বেগবান করার জন্যে কিছু না কিছু ছাড় দেবার মত উদারতা থাকতে হবে। তবেই না দেশ যে গতিতে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে চলেছে, সে চলা আরো বেগবান হবে। মনে রাখতে হবে, গণতন্ত্র হলো সরকারব্যবস্থার একটি জীবন্ত ব্যবস্থা যা বারবার নতুন করে উদ্ভাবনের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যেতে পারে। আফটার অল সরকার হলো, ‘অফ দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল’। লেখক : সাহিত্যিক, সাংবাদিক, কলামিস্ট

পূর্ববর্তী নিবন্ধনিষ্পাপ প্রাণীকে ভালোবাসুন
পরবর্তী নিবন্ধআদবের বাদশাহ : নজির আহমদ শাহ