হল্যান্ড থেকে

বিকাশ চৌধুরী বড়ুয়া | শনিবার , ১ জানুয়ারি, ২০২২ at ৭:০২ পূর্বাহ্ণ

তিনি হতে চেয়েছিলেন ডাক্তার। ভর্তি পরীক্ষায় টিকেও গিয়েছিলেন। কিন্তু আর্থিক সামর্থ্য বাঁধ সাধলো। ডাক্তার হওয়া হলো না। হলেন শিক্ষক। কিন্তু ১৯৫০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদী সরকার কৃষ্ণাঙ্গ ছেলে-মেয়েদের শিক্ষা-ব্যবস্থা নিয়ে কড়াকড়ি আরোপ করলে তিনি প্রতিবাদ জানিয়ে পদত্যাগ করলেন, হলেন ধর্মযাজক এবং পাশাপাশি আমৃত্যু বর্ণবাদের বিরুদ্ধে এক অনড়, সাহসী ও আপোষহীন এক লড়াকু যোদ্ধা। নিজ জন্মভূমি দক্ষিণ আফ্রিকা ও দেশের বাইরে বিশ্ব পরিমণ্ডলে এক পর্যায়ে হয়ে উঠলেন অন্যায়, অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াকু এক প্রতিবাদী বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। তিনি আর কেউ নন, সদা হাসিমুখ আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু। গত ২৩ ডিসেম্বর ৯০ বছর বয়সে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে আজীবন লড়ে যাওয়া এই কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিস্টিয় ধর্মযাজক মৃত্যুবরণ করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার রাজনৈতিক ক্রান্তিকালে আর্চ বিশপ ডেসমন্ড টুটুর আবির্ভাব না হলে দেশটির আজকের যে অবস্থান তা হতো কিনা তাতে যথেষ্ট সন্দেহ ছিল। নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী এই অবিসংবাদিত নেতা কেবল দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদ ও অন্যায়ের প্রতিবাদ করেননি, বিশ্বের যেখানে অন্যায় দেখেছেন সেখানেই তিনি সোচ্চার হয়েছেন। তিনি ছিলেন সর্বজনশ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। এইজন্যে বোধকরি তার মৃত্যুতে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার স্ত্রী, ভূতপূর্ব মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, ইংল্যান্ডের রানী এলিজাবেথ, বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সহ বিশ্বের বিভিন্ন নেতাকে তার প্রতি অকৃপণভাবে শ্রদ্ধা জানিয়ে শোকবার্তা পাঠাতে দেখি। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার স্ত্রী জিল বাইডেন এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘তার সাহস এবং নৈতিক স্বচ্ছতা দক্ষিণ আফ্রিকায় নিপীড়নমূলক বর্ণবাদ শাসনের প্রতি মার্কিন-নীতি পরিবর্তনে আমাদের প্রতিশ্রুতিকে অনুপ্রাণিত করতে সাহায্য করেছে। তার উত্তরাধিকার সীমানা অতিক্রম করে এবং যুগে যুগে প্রতিধ্বনিত হবে।’ দক্ষিণ আফ্রিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট সিরিল রামফোসা বলেন, ‘তিনি ছিলেন বর্ণবাদ-শক্তির বিরুদ্ধে অসাধারণ বুদ্ধি, সততা এবং অজেয় এক ব্যক্তি। পাশাপাশি বর্ণবাদের অধীনে নিপীড়ন, অবিচার এবং সহিংসতার শিকার যারা হয়েছে তাদের প্রতি এবং বিশ্বজুড়ে নিপীড়িত মানুষের জন্য তিনি ছিলেন সহানুভূতিশীল, কোমল এবং দুর্বল।’ মজার ব্যাপার হলো, মার্ক্সিস্ট-লেলিনিস্ট দলের কাছে তিনি ছিলেন এন্টি-কমিউনিস্ট। তবে তাকে যে যেভাবেই চিনুক, ডাকুক বা জানুক, তার সব চাইতে বড় পরিচয় ছিল তিনি বর্ণবাদ-বিরোধী আন্দোলনের এক মহান নেতা যিনি দেশ ও দেশের বাইরে আজীবন অন্যায়ের প্রতিবাদ করে গেছেন, আমৃত্যু।
বর্ণবাদের বিরুদ্ধে আর এক অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার সাথে ডেসমন্ড টুটুর ছিল বন্ধুত্বের সম্পর্ক। নেলসন ম্যান্ডেলা যখন আজীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার জেলে তখন জেলের বাইরে দেশ ও বিশ্বব্যাপী-আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অন্যতম ভূমিকা পালন করেন টুটু। দুজনেই- ডেসমন্ড টুটু ও নেলসন ম্যান্ডেলা- নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী। টুটু পান ১৯৮৪ সালে এবং ম্যান্ডেলা ১৯৯৩ সালে। অবশ্য নেলসন মান্ডেলার সাথে এই পুরস্কার ভাগাভাগি করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ভূতপূর্ব প্রেসিডেন্ট ফ্রেডেরিক উইলিয়াম ডি ক্লার্ক। দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে আইন করে ‘বর্ণবাদ’ প্রথা চালু করা হয়। এতে সবিশেষ অবদান রেখেছিলেন ওলন্দাজরা অর্থাৎ ডাচরা। দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাচদের আগমন ঘটে ১৬৫২ সালে। অবশ্য তার আগে সে দেশে আসে পর্তুগিজরা। সে আর এক ইতিহাস। সে কথা অন্য কোন এক সময় লেখা যাবে। দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদ প্রথা চালুর ফলে কৃষ্ণাঙ্গ জনগোষ্ঠীকে দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বাদ দেয়া হয়, তাদের সকল সামাজিক, রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। কেবল তাই নয় নিজ দেশে কৃষ্ণাঙ্গরা সংখ্যাগুরু হওয়া সত্ত্বেও তাদের রাষ্ট্রীয় সমস্ত সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়, দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাদের প্রবেশাধিকার ও চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদের প্রসঙ্গ যখন কোন আলোচনা বা লেখায় উঠে আসে তখন প্রাসঙ্গিকভাবে মহাত্মা গান্ধীর নামও উঠে আসে। দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, আফ্রিকীয় ও দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাসকারী ভারতীয়দের ‘অধিকার’ আন্দোলনে তিনি সে দেশে গড়ে তুলেছিলেন ‘সত্যাগ্রহ’। মহাত্মা গান্ধী ১৮৯৩ সালের ৭ জুন দক্ষিণ আফ্রিকায় ট্রেনের প্রথম শ্রেণিতে চড়ে ডারবান থেকে প্রিটোরিয়া যাচ্ছিলেন। এক শেতাঙ্গ যাত্রী প্রথম শ্রেণি কক্ষে গান্ধীর উপস্থিতি মেনে নিতে পারলেন না এবং গান্ধীকে আদেশ দেন ট্রেনের তৃতীয় শ্রেণিতে চড়ে যাবার জন্যে। গান্ধী তা মানতে অস্বীকার করেন এবং তাকে ট্রেন থেকে জোর করে পিটারমারিজবুর্গ স্টেশনে নামিয়ে দেয়া হয়। গান্ধী সেদিন গোটা রাত সেই স্টেশনে কাটিয়েছিলেন। ওই ঘটনা মহাত্মা গান্ধীকে দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদ বৈষম্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা এবং পরবর্তীতে ভারতে স্বাধীনতার জন্যে বৃটিশদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে অনুপ্রাণিত করে। জীবনের ২১টি বছর (১৮৯৩-১৯১৪) মহাত্মা গান্ধী কাটিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। মাঝে মধ্যে ভারতে বেড়াতে ও প্রয়োজনে এসেছিলেন। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়েছিলেন ওকালতি করার জন্যে। গান্ধীকে যেমন কেবল গায়ের বর্ণের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকায় এই হেনস্তার মুখোমুখি হতে হয়েছিল, অনেকটা সেই জাতীয় ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে। ঘটনাটি ঘটেছিল বৃটিশ শাসনামলে, ভারতে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ট্রেনের প্রথম শ্রেণিতে চড়ে তার বাবা, মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে কোন এক স্টেশনে টিকেট চেকার এলো। তাদের দেখে কালো-বর্ণের যাত্রী প্রথম শ্রেণিতে চড়ে যাচ্ছে, তা পছন্দ হলো না। তাদের কাছে ব্যাপারটি অবিশ্বাস্য মনে হলো। চেকার টিকেট চাইলে মহর্ষি টিকেট বাড়িয়ে দিলেন। রবি ঠাকুর তখনও ১২ পেরোননি, কিন্তু তার ভালো শারীরিক গঠনের কারণে চেকারের মনে হলো ফাঁকি দেবার জন্যে তার (রবি) হাফ-টিকেট করা হয়েছে। মহর্ষির উত্তরে চেকারের সন্দেহ দূর হলো না। তিনি স্টেশন থেকে আর একজন সহকর্মীকে ডেকে আনলেন। তারও একই কথা। শেষে রেগে বিরক্ত হয়ে মহর্ষি টাকা বাড়িয়ে দিলেন। চেকার বাকি টাকা ফেরত দিলেন মহর্ষির হাতে। মহর্ষি এতটাই রেগে গিয়েছিলেন ও নিজেকে অপমানিত বোধ করেছিলেন যে ফেরত দেয়া বাকি টাকাগুলি তিনি স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ছুঁড়ে মারেন। চেকার অবাক চোখে তাকিয়ে থাকেন। যাই হোক, বলছিলাম ডেসমন্ড টুটুর কথা।
ডেসমন্ড টুটু অনেক বছর বৃটেনে কাটিয়ে ১৯৭৫ সালে একেবারে ফিরে আসেন জন্মভূমি দক্ষিণ আফ্রিকায়। পরের বছর তিনি লেসেথোর বিশপ মনোনীত হন। দক্ষিণ আফ্রিকায় ইতিমধ্যে গণ আন্দলোন তীব্র হতে থাকে। টুটু বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীকে লেখেন, ‘ভয়াবহ ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে জনবসতিতে। অশান্তির অশনি সংকেত দেখা যাচ্ছে।’ এই সাবধানবাণী পাঠানোর এক মাস পর সোয়েটো উত্তাল হয় উঠে এবং গণঅভ্যুত্থানে ৬০০ বেশি ব্যক্তির প্রাণহানি ঘটে। ডেসমন্ড টুটু নোবেল পুরস্কার পাবার পর ঘরে-বাইরে তার গ্রহণযোগ্যতা আরো বেড়ে যায়। ১৯৮৮ সালে তিনি ক্যাপ টাউনের আর্চ বিশপ হিসাবে মনোনীত হন। এই প্রথম কোন এক কৃষ্ণাঙ্গ দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যাংলিকান গির্জার প্রধান মনোনীত হলেন। টুটু বর্ণবাদী আন্দোলনের সাথে আরো জড়িয়ে পড়লেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পার্লামেন্টে বর্ণবাদ-বিরোধী ‘পিটিশন’ নিয়ে যাওয়ার সময় টুটুকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তী বছর কেপ টাউনে ডেসমন্ড টুটু ২০ হাজার জনতার এক মিছিলে নেতৃত্ব দেন। সময় গড়িয়ে চলে। মোড় নিতে শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদী নীতিতে। প্রেসিডেন্ট ডি ক্লার্ক বর্ণবাদী আইন শিথিল করতে শুরু করেন। অবশেষে, ২৭ বছর পর ১৯৯০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি জেল থেকে মুক্তি পান নেলসন ম্যান্ডেলা। চার বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন নেলসন ম্যান্ডেলা। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথমবারের মত কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট। এবং প্রথমবারের মত দক্ষিণ আফ্রিকার জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট, নেলসন ম্যান্ডেলাকে। ডেসমন্ড টুটু জীবনে এই প্রথম ভোট দিলেন। ভোট দেয়ার অভিজ্ঞতাকে তিনি ‘প্রেমে পড়ার’ সাথে তুলনা করেন। ম্যান্ডেলাকে দেশের নতুন রাষ্ট্রপতি হিসেবে পরিচয় করানো ছিল তার জীবনের সবচেয়ে বড় মুহূর্ত। সে সময়- সি এন এন-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি আসলে ঈশ্বরকে বলেছিলাম, আমি এখন মারা গেলে আমার আপত্তি নেই।’ কিন্তু তার কাজ তখনও অসমাপ্ত রয়ে গেছে। প্রেসিডেন্ট ম্যান্ডেলা তাকে ‘ট্রুথ এন্ড রেকোনসিলিয়েশন কমিশনের’ (টি আর সি) প্রধান হিসাবে নিয়োগ দেন। যার অন্যতম কাজ ছিল বর্ণবাদী-সময়ে যে সমস্ত মানবাধিকার লংঘন করা হয়েছে তা তদন্ত করে সত্য বের করা এবং শাস্তি ও ক্ষমার মধ্য দিয়ে একটি সমঝোতার দিকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। ১৯৯৮ সালে এই কমিশন সরকারের কাছে রিপোর্ট পেশ করে। ডেসমন্ড টুটু ফিরে যান শিক্ষকতা পেশায়। দু’বছর আটলান্টায় এমোরি ইউনিভার্সিটিতে ভিজিটিং প্রফেসর হিসাবে যোগ দেন। বেশ কয়েকটি বই লেখেন এই সময়ের মধ্যে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ‘নো ফিউচার উইথআউট ফরগিভনেস (১৯৯৯), ‘গড ইজ নট এ ক্রিশ্চিয়ান’ (২০১১) এবং শিশুদের জন্যে লেখেন ‘ডেসমন্ড এন্ড দ্য ভেরি মীন ওয়ার্ড’ (২০১২)। ডেসমন্ড টুটু ২০১০ সালে সরকারি কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখেন, কিন্তু তারপরেও তাকে দেখা যায়, প্রয়োজনে প্রতিবাদ জানাতে, দেশে ও বিদেশে। সময়ের প্রয়োজনে তিনি বিতর্কিত স্থান নিতে পিছু হটেননি। তিনি ২০১৪ সালে ইসরায়েলকে বয়কট করার আহবান জানিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে মার্কিন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ এবং বৃটিশ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারকে ইরাক-যুদ্ধ ঘিরে তাদের কর্মের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে ‘জবাব দিতে হবে’। সমস্ত প্রশংসা এবং খ্যাতি সত্ত্বেও তিনি সিএনএনকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে, তিনি নিজেকে একজন ‘মহান মানুষ’ হিসাবে মনে করেন না। ‘একজন মহান মানুষ কি?’ তিনি বলেছিলেন, ‘আমি শুধু জানি যে আমি অবিশ্বাস্য, অবিশ্বাস্যরকম সুযোগ পেয়েছি।’ তিনি হাস্যরস করতেন প্রচুর। রসিকতা করে বলেন, “আমার এত অনুসারী হওয়ার বিশেষ কারণ থাকতে পারে। সেটি হয়তো আমার নাক বড় হওয়ায় ওরা আমাকে পছন্দ করে এবং আমার এই সহজ নাম, ‘টুটু’।”

লেখক : সাহিত্যিক, কলামিস্ট

পূর্ববর্তী নিবন্ধনতুন বছরে দৃঢ় হোক সামাজিক ও পারিবারিক বন্ধন
পরবর্তী নিবন্ধবছরের পালাবদল ও অর্জন-প্রত্যাশার প্রবহণ