করোনার কারণে প্রায় ১৯ মাস বন্ধ ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। কয়েক দফা সশরীরে পরীক্ষা শুরু হলেও আবাসিক হলসমূহ বন্ধ ছিল। দীর্ঘদিন পর অবশেষে হল খুলেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ সময় শিক্ষার্থীদের ফুল, মাস্ক, স্যানিটাইজার ও চকলেট দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। এদিকে আজ মঙ্গলবার থেকে সশরীরে ক্লাস শুরু হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে।
গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহীদ আবদুর রব হলে চবি উপাচার্য প্রফেসর শিরীণ আখতার শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেন। এরপর ক্রমান্বয়ে এ এফ রহমান, আলাওল, সোহরাওয়ার্দী, শাহ আমানত, শাহজালাল, শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়া, শামসুন নাহার, প্রীতিলতা এবং সুর্যসেন হলে গিয়ে পরিদর্শন ও শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেন উপাচার্য। এ সময় কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে হলে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। কারো জ্বর, সর্দি বা কাশি হলে তাৎক্ষণিক মেডিকেল সেন্টারে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে বলা হয়। দীর্ঘদিন পর হলে উঠতে পেরে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে হল প্রাঙ্গন। ক্যাম্পাসে অন্যরকম সজীবতা। শিক্ষার্থীদের মাঝে আনন্দের জোয়ার বইছে।
প্রীতিলতা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সুজানা মালিহা বলেন, দীর্ঘদিন পর হলে ফিরে আসার অনুভূতি এক কথায় অসাধারণ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। হলে উঠতে পেরে আমরা খুশি।
পরিদর্শনকালে উপাচার্য প্রফেসর শিরীণ আখতার বলেন, দীর্ঘ বন্ধের পর শিক্ষার্থীরা হলে ফিরেছে। তাদেরকে বরণ করতে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন করোনার কারণে শিক্ষার্থীদের যে সেশনজট তৈরি হয়েছে, একাডেমিক কাউন্সিলের সাথে আলোচনা করে অতি দ্রুত তা পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হবে।
শামসুন নাহার হলের প্রভোস্ট ড. লায়লা খালেদা আঁখি আজাদীকে বলেন, সকাল থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা আনন্দের সাথে হলে আসছে। দুপুরে এবং রাতে তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছি। টিকার কার্ড ও হলের আইডি কার্ড বা অনুমতিপত্র দেখিয়ে প্রবেশ করছে শিক্ষার্থীরা।












