হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালে আবারো রোগী ভর্তি শুরু হয়েছে। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ২য় ইউনিট হিসেবে এখানে রোগী ভর্তি দেয়া হচ্ছে। তবে প্রাথমিক ভাবে জেনারেল হাসপাতাল থেকেই রোগীদের এখানে স্থানান্তর করা হচ্ছে। প্রথম দিন (গতকাল) জেনারেল হাসপাতাল থেকে ৩ জন রোগীকে হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্বে থাকা চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। সিভিল সার্জন বলেন, এটি জেনারেল হাসপাতালের ইউনিট টু হিসেবে পরিচালিত হবে। আইসোলেশনে ৬০টি শয্যা প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া ৬টি আইসিইউ শয্যা ও ৬টি এইচডিও শয্যা প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে ভেন্টিলেটর রয়েছে ৪টি। আইসিইউ সেবা চালুর লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ১০ জন ডাক্তার ও ১৬ জন নার্সকে প্রশিক্ষন দেয়া হয়েছে জানিয়ে সিভিল সার্জন বলেন, তাদের এক দফায় প্রশিক্ষন শেষ হয়েছে। এখন আরেক দফা প্রশিক্ষন চলছে। আইসিইউ চালুর জন্য আমরা সব প্রস্তুতি শেষ করেছি। ডোনেশন হিসেবে এক দাতার কাছ থেকে জেনারেটর চেয়ে নিয়েছি। সেন্ট্রাল অঙিজেন লাইন না থাকায় অঙিজেন সিলিন্ডারই এখানে ভরসা। তবে অঙিজেন সিলিন্ডার রিফিলের ব্যবস্থাও হয়েছে। মোটকথা, হলি ক্রিসিন্টে হাসপাতালে এখন আমরা অন্তত দুজন রোগীকে আইসিইউতে সেবা দিতে পারবো। আর এইচডিওতে রেখে অঙিজেন সেবা দেয়া যাবে। টুকটাক কিছু কাজ বাকি থাকলেও অল্প সময়ের মধ্যে সব গুছিয়ে আনা হবে। জেনারেল হাসপাতাল, চমেক হাসপাতালসহ সরকারি সব হাসপাতাল এখন রোগীতে ঠাসা। তাই হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালে রোগী ভর্তি শুরু করতে হয়েছে বলেও জানান সিভিল সার্জন।
উল্লেখ্য, সরকারি ব্যবস্থাপনায় গত বছর চালু করা হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালে দশটি আইসিইউ শয্যা প্রস্তুত বলা হলেও প্রশিক্ষিত এবং প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে এসব আইসিইউ চালু করা যায়নি। গত বছর চট্টগ্রাম জুড়ে একটি আইসিইউর জন্য হাহাকারের মাঝেও হলি ক্রিসেন্টের এসব আইসিইউতে সেবা পায়নি রোগীরা।
তবে শঙ্কাজনক পরিস্থিতি মোকাবেলায় এ হাসপাতালের আইসিইউ শয্যাও সচলে বেশ কিছুদিন ধরে জোর চেষ্টা চালিয়ে আসছে স্বাস্থ্য বিভাগ। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের দ্বিতীয় ইউনিট হিসেবে এখানে আইসিইউ সেবা চালুর চেষ্টায় সংশ্লিষ্টরা। হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালের আইসিইউ শয্যাগুলো চালুর বিষয়টি একটা চ্যালেঞ্জ বলে মনে মানছেন সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। তিনি বলেন, গত বছর এসব আইসিইউতে সেবা দেয়া যায়নি। তাই এবার সেটি আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে এসেছে। আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েই কাজ শুরু করেছিলাম। এখন মোটামুটি প্রস্তুত করে তুলতে পেরেছি। অন্তত কয়েকজন রোগীকে হলেও এখানকার আইসিইউতে রেখে সেবা দেয়া যাবে।