ভারতের হরিয়ানার নূহ জেলায় শুরু হওয়া সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা পার্শ্ববর্তী গুরুগ্রাম শহরেও ছড়িয়ে পড়ছে। পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকায় দিল্লিতেও সতর্কাবস্থায় আছে পুলিশ, জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা। গুরুগ্রাম থেকে রাজধানী নয়া দিল্লির দূরত্ব ২০ কিলোমিটারেরও কম।
মঙ্গলবার রাতে গুরুগ্রামের ৭০ নম্বর সেক্টরে একটি আবাসিক কমপ্লেক্সের পাশে বেশ কয়েকটি দোকান ও ঝুপড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এদিন বিক্ষিপ্তভাবে বেশ কয়েকটি সহিংসতার ঘটনা ঘটার পর প্রশাসন বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি করে। অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা এড়াতে কর্তৃপক্ষ পেট্রল ও ডিজেলের খুচরা বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে। তবে অগ্নিসংযোগ ও সংঘর্ষের কিছু ঘটনা ঘটলেও এদিন বড় ধরনের কোনো সহিংসতা হয়নি বলে দাবি করেছে গুরুগ্রামের পুলিশ। খবর বিডিনিউজের।
নাগরিকদের গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো খবরও বিশ্বাস না করার অনুরোধ জানিয়েছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে। গুরুগ্রাম পুলিশের সহকারী কমিশনার বরুণ কুমার দাহিয়া বলেছেন, বুধবার স্কুল, কলেজ, কর্মক্ষেত্র বন্ধ থাকবে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে বার্তা ছড়ানো হয়েছে তা মিথ্যা। সব ধরনের গাড়ি চলাচল করছে, এক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি।
আমেরিকান এক্সপ্রেস, কেপিএমজির মতো কয়েকটি বহুজাতিক কর্পোরেশন কর্মীদের বাসা থেকে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে। সোমবার দিল্লি থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে নূহতে একটি ধর্মীয় শোভাযাত্রা চলাকালে সহিংসতা শুরু হয়। অনেকে এর জন্য ভাইরাল হওয়া একটি আপত্তিকর ভিডিওকে দায়ী করেছেন। একদল উচ্ছৃঙ্খল জনতা পাথর ছুড়ে শোভাযাত্রায় হামলা চালায়। তখন আড়াই হাজারেরও বেশি অংশগ্রহণকারী একটি মন্দিরে গিয়ে আশ্রয় নেয়। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে সহিংসতা আরও বেড়ে যায়। নূহতে শতাধিক গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়। এক পর্যায় সহিংসতা পার্শ্ববর্তী গুরুগ্রামেও ছড়িয়ে পড়ে। নূহে সহিংসতায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।