হযরত গাউছুল আজম (রা.) এর তরিক্বত বিজ্ঞানসম্মত

জমিয়তুল ফালাহ ময়দানে তরিক্বত কনফারেন্সে মোর্শেদে আজম

| মঙ্গলবার , ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ at ১০:২৫ পূর্বাহ্ণ

প্রিয় রাসূল (.) আইয়্যামে জাহেলিয়ত যুগে এসে গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত মানব সম্প্রদায়কে যে দর্শন দিয়ে হেদায়তের পথে নিয়ে এসেছেন তা ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রিয় নবীজি (.) যে দর্শনআদর্শনিয়ামত দিয়ে মানুষকে হেদায়ত করেছেন সেই নিয়ামতসমূহ কালের পরিক্রমায় এসে পৌঁছেছে খলিলুল্লাহ, আওলাদে মোস্তফা, খলিফায়ে রাসূল (.) হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর কাছে। তিনি তাওয়াজ্জুহ তথা অন্তর্দৃষ্টির মাধ্যমে প্রিয় রাসূল (.) এর নূরে বাতেন দিয়ে অন্ধকার ক্বলবকে আলোকিত করে ক্বলবে সলিমে পরিণত করেছেন। খলিফায়ে রাসূল (.) হযরত গাউছুল আজম (রা.) এর তরিক্বতসর্বকালে সমাদৃত এবং বিজ্ঞানসম্মত। ফলশ্রুতিতে গুনাহে লিপ্ত মানুষ তাওবায়ে নসুহার মাধ্যমে ফিরে আসে সিরাতুল মোস্তাকিমের দিকে, সুন্নাতে মোস্তফার শাশ্বত পথে। একজন সাধারণ মানুষ হযরত গাউছুল আজম (রা.) এর তরিক্বতে অন্তর্ভুক্ত হলে এমনভাবে পরিবর্তিত হয় যা প্রতিদিনের জীবনযাপনে স্পষ্ট হয়ে উঠে। নফসানিয়ত তথা পশুত্বকে বর্জন করে অর্জন করে ইনসানিয়ত তথা মনুষ্যত্বের অমূল্য নিয়ামত। দরুদে মোস্তফা ও সুন্নাতে মোস্তফার অনুশীলনে পরিণত হয় আশেকে রাসূলে। এই মকবুল তরিক্বতে রয়েছে প্রতিদিন এগারশত এগারবার দরুদ শরীফ, কখনো ক্বাজা হলে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে আদায়, ফয়েজে কোরআন, মোরাকাবা, জিকিরুল্লাহর অনুশীলন, তাওয়াজ্জুহবিলগায়েবের মাধ্যমে মহিলারা নিজ ঘরে বসে প্রিয় রাসূল (.) এর নূরে বাতেন গ্রহণ করার অপূর্ব সুযোগ। প্রিয় রাসূল (.) এর এই নূরে বাতেন গ্রহণ করার জন্য মহিলাদের দরবারে আসতে হয় না, দরবার থেকে হযরত গাউছুল আজম (রা.)-কেও কোন মহিলার সামনে যেতে হয়নি। এই নিয়ামত দরবারে আজও পাওয়া যাচ্ছে। যুগোপযোগী এবং বিজ্ঞানময় এমন তরিক্বত বর্তমান পৃথিবীতে বিরল। এই তরিক্বতের সুধা পান করে আবালবৃদ্ধবণিতা হেদায়তের পথে নিজেদেরকে পরিচালিত করছে। বিশেষ করে যুব সম্প্রদায় দলে দলে এই তরিক্বত গ্রহণ করে নিজেদেরকে এমনভাবে গঠন করছে যা রীতিমত বিস্ময়কর। এ যেন খলিফায়ে রাসূল (.) এর করে যাওয়া মহান বাণীর বাস্তবায়ন– ‘হে যুবক! নামাজ পড়, রোজা রাখ, নবী করিম (.) এর উপর দরুদ পড়, মাতৃভূমি শান্ত কর’। অশান্ত এ পৃথিবীতে গাউছিয়্যতের এ আহ্বান যেন শান্তি প্রতিষ্ঠার অবিস্মরণীয় আহ্বান।

গতকাল সোমবার জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ ময়দানে ঐতিহাসিক তরিক্বত কনফারেন্সে হাজারো মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে প্রধান মেহমানের বক্তব্যে কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবারের মোর্শেদ আওলাদে রাসূল (.) আল্লামা অধ্যক্ষ শায়খ ছৈয়্যদ মোর্শেদে আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলী এসব কথা বলেন।

চবি সিনেট সদস্য ও সংগঠনের মহাসচিব প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুরের সভাপতিত্বে তরিক্বত কনফারেন্সে উদ্বোধক ছিলেনসিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জমিয়তুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব আল্লামা শাব্বির আহমদ মোমতাজী ও চবি গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. জালাল আহমদ।

বক্তব্য দেন, মুফতি মাওলানা কাজী মুহাম্মদ আনোয়ারুল আলম ছিদ্দিকী, মাওলানা মুহাম্মদ আবদুস সবুর, মাওলানা মুহাম্মদ ফোরকান, মাওলানা মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন নুরী, মাওলানা মুহাম্মদ রকিব উদ্দিন, মাওলানা মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন ও মাওলানা মুহাম্মদ গোলাম রাব্বানি ফয়সাল।

মিলাদকিয়াম শেষে প্রধান মেহমান দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তিসমৃদ্ধি এবং কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবারের প্রতিষ্ঠাতা হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহুর ফুয়ুজাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমুরাদপুরে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার, যুবককে ১০ বছরের কারাদণ্ড
পরবর্তী নিবন্ধলুঙ্গি ফেলে হাতকড়াসহ পালাল আসামি