হিজরি ১০ম সনে বিদায় হজের পর মক্কা থেকে মদিনায় ফেরার পথে রাসূলুল্লাহ (সা.) ১৮ই জিলহজ্ব গাদীরে খুম নামক স্থানে লক্ষাধিক সাহাবির সামনে হযরত আলী (আ.)-কে মুমিনদের ‘মওলা’ হিসেবে ঘোষণা করেন। দিবসটি স্মরণে গতকাল শনিবার নগরীর জিইসি কনভেনশন হলে ‘আঞ্জুমানে আশেকানে আহলে বাইতে রাসূল (সা.)’ সংগঠনের উদ্যোগে র্যালি, আলোচনা সভা ও সেমা মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
বাদে আসর র্যালি শুরুর প্রারম্ভে প্রেসব্রিফিং করেন শাহজাদা সৈয়দ আতিকুল ইসলাম মাইজভান্ডারী (মা.জি.আ)। র্যালিটি জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে দামপাড়া পুলিশ লাইন রোড হয়ে জিইসি কনভেনশন হলে গিয়ে শেষ হয়। এতে সংগঠনের সদস্য ছাড়াও বিপুলসংখ্যক ধর্মপ্রাণ মানুষ অংশ নেন। র্যালি শেষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সৈয়দ গোলাম মোরশেদ মাইজভান্ডারী (মা.জি.আ)। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হযরত শাহসূফী সৈয়দ আলমগীর ফজল মাইজভান্ডারী (মা.জি.আ)। মূখ্য আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাফরউল্লাহ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আহসানুল হাদী (মা.জি.আ)। উদ্বোধনী আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ছোবাহানিয়া কামিল (এম.এ) মাদ্রাসার ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ শাহজাহান। অনুষ্ঠানে সংগঠনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সৈয়দ জিয়াউল হোসাইন (হাফেজনগরী), সভাপতি, আঞ্জুমানে আশেকানে আহলে বাইতে রাসূল (সা.)। এ ছাড়া মাইজভান্ডার দরবার শরীফের পক্ষ থেকে শাহজাদা হযরত ছৈয়দ নুর হোছাইন মাইজভান্ডারী, সৈয়দ নজিবউল্লাহ মাইজভান্ডারী এবং সৈয়দ আতিকুল ইসলাম মাইজভান্ডারী (মা.জি.আ) উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন দরবারের আউলাদে পাক, আলেম–উলামা ও শিক্ষাবিদগণ অনুষ্ঠানটিতে অংশ নেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হযরত শাহসূফী সৈয়দ আলমগীর ফজল মাইজভান্ডারী বলেন, “রাসূল (সা.) আমাদের জন্য রেখে গেছেন দুটি ভারী জিনিস–আল্লাহর কিতাব ও আহলে বাইত। এ দুটির মাঝে কোনো একটি থেকে বিচ্যুত হলে পথভ্রষ্ট হওয়া অবশ্যম্ভাবী।”
তিনি আরও বলেন, “হযরত আলী (আ.) কেবল সাহাবিই নন, বরং তিনি প্রত্যেক মুমিন নর–নারীর মওলা। এ ঘোষণা গাদীরে খুমে ছিল এক ঐশী আদেশ।” অনুষ্ঠান শেষে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন হযরত শাহসূফী সৈয়দ নাঈমউদ্দিন আহমেদ (মা.জি.আ)। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।