নাইমুর রহমান নামের গুলশান ডিগ্রি কলেজের এক শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় জনপ্রিয় নাট্যনির্মাতা রাফাত মজুমদার রিংকুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্লাহ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। খবর বাংলানিউজের।
গত সোমবার রাতে গুলশান এলাকা থেকে মামলার সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন গুলশান থানার উপ–পরিদর্শক রাজু আহমেদ। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিলসহ জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে সিডি পর্যালোচনায় আদেশের জন্য রেখেছেন। জানা যায়, নাইমুর রহমান (২২) গুলশান ডিগ্রি কলেজের একজন ছাত্র এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেন। ১৯ জুলাই গুলশান থানার শাহাজাদপুর মেইন রোডে ছাত্র–জনতার আন্দোলনে যোগ দেন তিনি। পরে বিকেল চারটার পর ৪০০ থেকে ৫শ জন যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ–সংগঠনের নেতাকর্মীরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর অবৈধ অস্ত্র দিয়ে গুলি ছুড়ে। তাদের গুলিতে অনেক আন্দোলনকারী ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের মধ্যে নাইমুর রহমানও ছিল। পরে তার বাবা ৬৪ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক চিফ হুইফ নুরে আলম চৌধুরী লিটন, সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান, সাবেক বিদুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, সাবেক তথ্য ও সমপ্রচার প্রতমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক এমপি নুর মোহাম্মদ প্রমুখ।