হতাশ ক্ষুব্ধ বিএনপি

| সোমবার , ১০ মে, ২০২১ at ৪:৫৭ পূর্বাহ্ণ

চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি সরকার না দেওয়ায় ‘হতাশ ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছে বিএনপি। গতকাল রাতে ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতালে গিয়ে দলীয় নেত্রীর স্বাস্থ্যের খবর নিয়ে আসার পর এই প্রতিক্রিয়া জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি একই সঙ্গে বলেছেন, খালেদা জিয়ার অবস্থা উন্নতির দিকে বলে তার মনে হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
ফখরুল বলেন, সরকারের এই সিদ্ধান্তে আমরা নিঃসন্দেহে অত্যন্ত হতাশ ও ক্ষুব্ধ। এই কথা অত্যন্ত সত্য কথা যে, একটা মিথ্যা মামলা সাজিয়ে তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্যটা ছিল বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া। এটা আজকে নয়, ১/১১ থেকে এটা শুরু হয়েছে। এটা তো খুব পরিষ্কার যে এই সরকার ১/১১ এর ধারাবাহিকতায় বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দিতে চান। তারই ফলশ্রুতিতে আজকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ফখরুল বলেন, যে ধারাতে দেশনেত্রীর সাজা স্থগিত করেছে, ওই ধারাতেই কিন্তু তাকে বিদেশে যাওয়া বা একেবারেই সাজা-দণ্ড মওকুফ করার যথেষ্ট পরিমাণ সুযোগ সেই আইনের মধ্যে দেওয়া আছে। তারা (সরকার) মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে বাইরে পাঠিয়ে দিতে পারেন, মাফ করে দিতে পারেন। কিন্তু একজন পপুলার পলিটিক্যাল লিডার এবং এদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ও গণতন্ত্রের যুদ্ধের সঙ্গে যিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন, তার জন্য তাদের কোনো মানবতা কাজ করে না।
সরকারের এই সিদ্ধান্তের পেছনে কোনো যুক্তি নেই দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রতিহিংসামূলক রাজনীতিকে চরিতার্থ করতেই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
খালেদা জিয়া কি তবে ‘রাজনীতির শিকার’ হলেন শেষ পর্যন্ত-এক সাংবাদিকের এই প্রশ্নে ফখরুল বলেন, অবশ্যই। শেষ পর্যন্ত বলছেন কেন? তিনি তো রাজনীতির শিকার হয়েই কারাগারে আছেন এবং এখন অন্তরীণই আছেন বলা যেতে পারে।
এখন বিএনপির পদক্ষেপ কী হবে-জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তো পার্টির তরফ থেকে তাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য তখনও আবেদন করিনি, এখনও আবেদন করিনি। তার পরিবার যেটা ভালো মনে করবেন, সেটাই করবেন। পরিবারই ডিসাইড করবে, তারা কী করবে?
উন্নতির লক্ষণ : খালেদা জিয়ার অবস্থা উন্নতির দিকে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, আমি আজকে তাকে দূর থেকে দেখতে গিয়েছিলাম। আমার কাছে বেটার মনে হলো। আল্লাহর কাছে অশেষ রহমত যে, এখন উন্নতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। আপনারা ইতোমধ্যে জেনেছেন যে, তার কিছু কিছু প্যারামিটার বেটার এবং তিনি এখন অঙিজেন ছাড়াই শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছেন এবং সেখানে তার খুব একটা অসুবিধা হচ্ছে না।
তবে শঙ্কা এখনও রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কিন্তু এখনও তার যে লাংগ ও পেটে পানি আসছিল, সেটার জন্য কিন্তু টিউব লাগানো আছে। ডাক্তাররা বলেছেন, পোস্ট কোভিড যে কমপ্লিকেশন, সেই কমপ্লিকেশনগুলো তার পুরো মাত্রাই আছে।
হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের অধীনে বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসা চলছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম ও তিন পার্বত্য জেলায় সেনাবাহিনীর খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
পরবর্তী নিবন্ধদরিদ্রদের সহায়তায় বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে