আগের ম্যাচে ব্যাটে-বলে বাংলাদেশকে ভোগানো কেশভ মহারাজ এবার খেলেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ভেস্তে যায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে কম রানে থামানোর আশা। সেঞ্চুরির আগে মহারাজকে থামানো তাইজুল ইসলাম পরে নিলেন আরেকটি উইকেট। বাঁহাতি এই স্পিনারের জন্যই আরও বড় হলো না দক্ষিণ আফ্রিকার রান। পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টের দ্বিতীয় দিন ৪৫৩ রানে থামে স্বাগতিকদের প্রথম ইনিংস। ১৩৫ রানে ৬ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সফলতম বোলার তাইজুল। ৫০ ওভার বোলিং করেছেন।
এতে ১০টি ছিল মেডেন ওভার। দেশের বাইরে এটাই তাইজুলের সেরা বোলিং। গত এপ্রিলে শ্রীলংকায় ৭২ রানে নিয়েছিলেন ৫টি। ক্রিজে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে রান তোলায় মনোযোগী ছিলেন মহারাজ। তাকে সঙ্গ দেন মুল্ডার। তাদের ৮০ রানের জুটি ভাঙেন তাইজুল, দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করে দেন মুল্ডারকে। মহারাজ খেলে যাচ্ছিলেন নিজের মতো করে। যেভাবে খেলছিলেন তাতে সেঞ্চুরি মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। কিন্তু তা হতে দেননি তাইজুল। চমৎকার এক ডেলিভারিতে তাকে বোল্ড করে দিয়ে পূর্ণ করেন ৫ উইকেট। টেস্টে দশমবারের মতো ৫ উইকেট নিলেন তিনি। বাংলাদেশের বিরক্তি বাড়িয়ে আবার ক্রিজে জমে গিয়েছিলেন সাইমন হার্মার।
তাকে বিদায় করে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে টেস্টে দেড়শ উইকেটের সীমানা স্পর্শ করেন তাইজুল। এই উইকেটে বড় অবদান আছে লিটন দাসের। একটু সময়ের জন্য পা তুলেছিলেন হার্মার। সেটাই কাজে লাগিয়ে স্টাম্পড করে দেন লিটন। তাসকিন আহমেদ ইনজুরিতে না পরলে এই ম্যাচ খেলতে হয়তো দেখাও যেতো না তাইজুলকে। তাসকিনের ইনজুরির পর তার বদলে একজন পেসার নাকি একজন স্পিনার এমন আলোচনার পর শেষ পর্যন্ত তাইজুলকে একাদশে ডাকে বাংলাদেশ। সুযোগ পেয়ে কোন মন্ত্রে সফল হলেন জানিয়েছেন তাইজুল।
বলেন, ‘আমি চেষ্টা করেছি। আসলে এই উইকেটে বেশি জোরাজুরি করার কিছু নেই। কারণ, দেখা যাচ্ছে বল একটু স্টাম্পের বাইরে বা ওপরে হলে রান হয়ে যায়। আসলে লাইন-লেংথ ধরে রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। ভালো করে খেয়াল করলে দেখবেন, মধ্যাহ্নভোজের আগে আমি ৫ ওভার করেছি।
তখন আমি বেশি কিছু করার চেষ্টা করিনি। কারণ, ওই সময় রানরেট একটু বেশি ছিল। আমি চেষ্টা করেছি রানরেট কমানোর। এরপর আমি গতির তারতম্যে গিয়েছি। এ রকম একটা পরিকল্পনা ছিল। মধ্যাহ্নভোজের পর এসে চেষ্টা করেছি রান কম দেওয়ার সঙ্গে যেন উইকেটও পাওয়া যায়।’