হজের প্রায় সাড়ে ছয় মাস বাকি থাকতেই প্রাথমিক নিবন্ধনের সময়সীমা আপাতত আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সময় আর না বাড়ালে ২০২৫ সালে হজ পালন করতে বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ করা কোটার অর্ধেকের বেশি খালি থেকে যাবে। খবর বিডিনিউজের।
মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের উপসচিব রফিকুল ইসলাম রোববার রাতে এই তথ্য দিয়ে বলেছেন, ‘হজের ডেট এখন আপাতত বাড়বে না। পরবর্তীতেও সময় বাড়ানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
কোটা ফাঁকা থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কেউ যদি না যেতে চায়, আমরা কীভাবে আনব? আমরা তো যথেষ্ট, প্রায় সাড়ে তিন মাস সময় দিয়েছি।’ একইরকম তথ্য দিয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুবকর সিদ্দীক।
তিনি বলেন, ‘হজের জন্য প্রাথমিক নিবন্ধনের সময়সীমা আর বাড়ছে না। নতুন করে সময় বাড়ানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ইতোমধ্যেই যারা নিবন্ধন করেছেন, তাদের অর্থ আমরা সৌদি আরবে পাঠিয়ে দেব। না হয়, পরে তাঁবু বরাদ্দ পেতে অসুবিধে হয়, হোটেল থাকে দূরে। সেজন্য আমরা আগেভাগেই সৌদি আরবের অংশের খরচের অর্থ পাঠিয়ে দেব।’
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৫ জুন হজের আনুষ্ঠানিকতা হবে।
হাইকোটের্র রায়ে বহাল থাকা হজ এজেন্সিগুলোর সংগঠন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সবশেষ কমিটির সভাপতি ফারুক আহমেদ সরদার বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে হজের মূল প্যাকেজের খরচ কমানোর পরও কোটা পূরণ না হলে সেটা তাদের জন্যও অস্বস্তিকর। সৌদি অংশে বড়ো ধরনের কোনো অসুবিধা না হলে আমি আস্থা রেখে বলছি, আমরা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ করে আরেক দফা সময় বাড়ানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। আশা করি সময়টা বাড়বে।’
অর্ধেকের বেশি কোটা পূরণ হয়নি : বাংলাদেশের জন্য ২০২৫ সালের হজে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮টি কোটা নির্ধারণ করে দিয়েছিল সৌদি আরব সরকার। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ পোর্টালের তথ্যানুযায়ী, গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত হজে যেতে প্রাথমিক নিবন্ধন করেছেন ৬৩ হাজার ১৩৮ জন। এর মধ্যে সরকারি মাধ্যমে ‘প্রাথমিক নিবন্ধন’ করেছেন ৪ হাজার ৭৬১ জন আর বেসরকারি মাধ্যমে করেছেন ৫৮ হাজার ৩৭৭ জন। এ হিসাবে প্রায় অর্ধেকের বেশি হজের কোটাই পূরণ হয়নি।