চট্টগ্রাম বন্দর টোল রোড ছয় লেনে উন্নীত করার কাজ সড়ক পরিবহন বিভাগই করবে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে সড়কটি ছয় লেনের করা হবে। তবে সড়কটি নির্মাণকালে বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয়তার ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে। গতকাল রোববার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বন্দর কেন্দ্রিক যানবাহনের চাপ সামাল দিতে বন্দরের নিউ মুরিং কন্টেনার টার্মিনাল থেকে সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের কাছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক পর্যন্ত ১২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার দীর্ঘ টোল রোড নির্মাণ করা হয়। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে প্রায় ১শ কোটি টাকা ব্যয়ে দুই লেনের সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছিল ২০০৭ সালে। সম্প্রসারণের প্রয়োজন দেখা দিলে সড়ক বিভাগ এটিকে ছয় লেনে উন্নীত করার প্রকল্প গ্রহণ করে। বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব অর্থায়নে রাস্তাটি করে টোল ফ্রি করে দেওয়ার প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু গতকালের বৈঠকে বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে রাস্তাটি এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই সাথে রাস্তাটি নির্মাণের দায়িত্বও সড়ক বিভাগের হাতে দেওয়া হয়। সড়ক বিভাগ বিদ্যমান দুই লেনের সড়কটিকে ছয় লেনে উন্নীত করবে। তবে রাস্তাটিতে বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয়তাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে। বন্দর কর্তৃপক্ষের বে টার্মিনালের সাথে রাস্তাটি যুক্ত করা হবে। এতে বাড়তি কোনো কাজের প্রয়োজন দেখা দিলে তা সড়ক বিভাগ প্রকল্পে অন্তর্ভুুক্ত করে নেবে।