রাস্তার জায়গায় নির্মাণ করা ঘর গুঁড়িয়ে দিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল নগরের শেরশাহ কলোনির ৪ নং সড়কে পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী। একই অভিযানে টেক্সটাইল মোড় থেকেও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এদিকে পরিচ্ছন্ন বিভাগের উদ্যোগে চান্দগাঁও থানার পাঠানিয়া গোদা এলাকার সড়ক–ফুটপাত থেকেও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেতৃত্ব দেয়া মারুফা বেগম নেলী দৈনিক আজাদীকে বলেন, শেরশাহ কলোনির চার নম্বর সড়কের জায়গায় অবৈধভাবে স্থাপনা গড়ে তোলা হয়। অভিযানে সেটা উচ্ছেদ করি। টেক্সটাইল মোড়ে ফুটপাত ও নালার উপর অবৈধভাবে ছয়–সাতটি দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। এতে পথচারীর চলাচলে বিঘ্ন ঘটছিল। সেগুলোও উচ্ছেদ করা হয়। পরে রেয়াজুদ্দিন বাজারস্থ মরিয়ম বশির মার্কেটের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন
অপসারণ কার্যক্রম তদারকি করা হয় বলেও জানান তিনি।
পাঠানিয়া গোদায় অভিযান : এদিকে চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের উদ্যোগে পুরাতন চান্দগাঁও থানার পাশে পাঠানিয়া গোদা সড়ক থেকে ৩০–৩৫ টি দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়। চসিকের উপ–প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী দৈনিক আজাদীকে বলেন, সড়কটিতে একটার পর থেকে দোকানপাটে বিকিকিনি শুরু হয়। তবে দোকানের কাঠামো এবং যেসব ভ্যানগাড়িতে করে বেচাকানা হয় তা সবসময় থাকে। মানে দোকানদাররা মালামাল নিয়ে গেলেও স্থাপনা থেকে যায়। এতে সড়ক সংকুচিত হয়ে পড়েছে। মানুষের চলাচলে সমস্যা হয়। যানজট লেগে থাকে। ব্যবসায়ীদের অনেকবার বলার পরও শুনেনি। তাই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। তারা যদি নির্দিষ্ট সময় ব্যবসা করে সব নিয়ে চলে যায় তাহলে পথচারীর সমস্যা হবে না।